নারী শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে বাবা ও মেয়ের মধ্যে সংলাপ
নারী শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে বাবা ও মেয়ের মধ্যে একটি সংলাপ রচনা করো।
শাহানা : বাবা আজকের পেপার দেখেছ?
মি. সামাদ : এখনো দেখিনি মা, কোনো বিশেষ খবর আছে কি?
শাহানা : এইচএসসি পরীক্ষার্থী এক মেয়ে ও তার পরিবারের গল্প আছে
বাবা।
মি. সামাদ : বিশেষ কোনো ব্যাপার ছাড়া তুই তো আমায় বলতি না।
শাহানা : যে গ্রামে পরিবারটি থাকে সেখানে খুব কম বয়সেই মেয়েদের
বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু ওই মেয়েটির প্রবল ইচ্ছা ও তার পরিবারের আগ্রহের
কারণেই সে এইচএসসি পর্যন্ত আসতে পেরেছে। তার বাবার ইচ্ছা মেয়েকে আরো পড়াশোনা
করানো।
মি. সামাদ : নারী শিক্ষার গুরুত্ব তাহলে মানুষ বুঝতে শিখেছে।
সমাজের পরিবর্তন হচ্ছে।
শাহানা : হ্যা বাবা, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধারণাগুলো যেতে সময়
লাগছে। কিন্তু সুফল আসতে শুরু করেছে; তাই না?
মি. সামাদ : ঠিকই বলেছিস, যে দেশের মানুষ নারীর ক্ষমতায়নকে এত
শ্রদ্ধা করে; সে দেশে নারী শিক্ষা প্রসার তো সময়ের ব্যাপার মাত্র।
শাহানা : বাবা, তুমি কী সুন্দর করে বললে; আসলেই তো আমাদের দেশে
নারীরা সব স্থানেই নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করছে।
মি. সামাদ : শুধু দেশে নয় রে মা, পড়াশোনা করে মেয়েরা এখন
বাইরেও যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে বাংলাদেশের মেয়েরা
নেতৃত্ব দিচ্ছে।
শাহানা : হ্যা বাবা, মেয়েরা তো এখন এভারেস্টেও চড়ছে।
মি. সামাদ : এগুলো সম্ভব হয়েছে শুধু পড়াশোনায় মেয়েদের
অগ্রগতির কারণে।
শাহানা : অবৈতনিক শিক্ষা আর উপবৃত্তি এক্ষেত্রে দারুণ ভূমিকা
রেখেছে।
মি. সামাদ : আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষও এখন মেয়েদের পড়ানোর
চেষ্টা করছে।
শাহানা : সব মেয়েরা পড়াশোনা করছে, ভাবতেই ভালো লাগছে।
মি. সামাদ : তোকেও অনেক পড়াশোনা করতে হবে।
শাহানা : বাবা, তাহলে আমাকে তুমি বাইরে পড়তে পাঠাবে নিশ্চয়ই।
মি. সামাদ : তুই যদি সেই সুযোগ করতে পারিস, তবে অবশ্যই বাইরে
পড়তে পাঠাব।
No comments