নারী শিক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে বাবা ও মেয়ের মধ্যে সংলাপ

নারী শিক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে বাবা ও মেয়ের মধ্যে সংলাপ তৈরি করো।


সীমা : বাবা শুনেছ, মা বলল আমাকে নাকি আর কলেজে যেতে হবে না।

বাবা : কেন রে মা?

সীমা : প্রথমত, আমাদের অভাবের সংসার। পড়ার খরচ জোগাতে কষ্ট হবে। দ্বিতীয়ত, একটা মেয়ের যতটুকু পড়াশোনা জানা দরকার, আমার নাকি তা হয়ে গেছে।

বাবা : তোর মা বললেই তো আর হবে না। অর্থের অভাবে তোর পড়ালেখা আমি বন্ধ করব না।

সীমা : কষ্ট হবে না?

বাবা : না রে মা, আমার যত কষ্টই হোক, আমি তোকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করব। কোনো জাতিকে শিক্ষিত করে তুলতে হলে, নারীকে আগে শিক্ষিত করা উচিত।

সীমা : তোমার সাথে আমি একমত বাবা। প্রত্যেক মানুষই তার জীবনের প্রথম শিক্ষাটা পায় মায়ের কাছ থেকে।

বাবা : সে জন্যেইতো বললাম, মা শিক্ষিত হলে জাতিও শিক্ষিত হবে। সমাজের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য, এমনকি পৃথিবীর জন্য যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলে নারী শিক্ষা।

সীমা : কিন্তু আমাদের দেশের অবস্থা তো বেহাল। স্কুলের গণ্ডি পেরোবার আগেই অনেক মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। পড়ালেখার বদলে ওদের ঘর সংসার করতে হয়।

বাবা : আমাদের পিছিয়ে পড়ার মূল কারণগুলোর মধ্যে এটিও একটি। তবে এখন কিন্তু মানুষ সচেতন হচ্ছে। সরকারও নারী শিক্ষার প্রতি জোর দিচ্ছে।

সীমা : শুধু সরকার জোর দিলেই তো হবে না বাবা। সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে বাবা-মাকে।

বাবা : হ্যা রে মা, এখন বাবা-মায়েরাও সচেতন হচ্ছে। তারাও বুঝতে পারছে, তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তুলতে হলে নারী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তুই কলেজে যা মা। আমি কাল-পরশুর মধ্যে তোর সমস্ত বেতন পরিশোধ করে দেব।

সীমা : ধন্যবাদ বাবা। তুমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post