অনুচ্ছেদ : যোগ-ব্যায়াম

যোগ-ব্যায়াম


ব্যায়াম শব্দের অর্থ শরীরচর্চা। মানব দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নড়াচড়া বা চালনা করাকে শরীরচর্চা বলে। আধুনিক যুগে যোগ-ব্যায়াম শরীরচর্চার ক্ষেত্রে একটি উন্নত মাধ্যম। যোগ-ব্যায়াম সম্পন্ন করার জন্য দৈনন্দিন কর্ম সূচিতে আলাদা কোন সময়ের প্রয়োজন হয় না। এ ব্যায়ামটি রাতে ঘুমাতে গেলে কিংবা ভোরে ঘুম থেকে উঠার সময় বিছানায় সম্পাদন করা সম্ভব। যোগ-ব্যায়ামের সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যোগাযোগ খুব ঘনিষ্ঠ। এ ব্যায়াম করলে দেহ থাকে সুস্থ মন থাকে প্রশান্ত। এটি মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গি চিনতে ও আবেগের পরিবর্তন ঘটায়। যারা যোগ-ব্যায়াম করে থাকেন তাদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও নিশ্বাস ও দ্রুত হৃৎস্পন্দনকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। এমনকি রক্তচাপ কমায়। যারা যোগব্যায়াম করে থাকেন তারা প্রাণশক্তিতে ভরপুর এবং ইতিবাচক মনের অধিকারী হন। এটি মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও এর ভূমিকা অপরিসীম। অর্থাৎ যোগ-ব্যায়াম এমন একটি উন্নত প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে মানুষের দেহ ও মনকে স্বাভাবিক গতিতে পরিচালনায় সহায়তা করে থাকে। আমাদের দেশে যোগ-ব্যায়ামের সাথে মানুষের পরিচিতি নাই। এ জন্য এ ব্যায়ামটি ছাত্রজীবনেই আয়ত্তকরা উচিত। যোগ-ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে কর্মজীবনে কর্মচাপের মধ্যেও প্রত্যহ যোগ-ব্যায়াম করলে সুস্থ দেহে প্রশান্ত মন নিয়ে সুখী জীবন-যাপন সম্ভব। অনেক প্রকারের যোগ-ব্যায়াম রয়েছে। তাদের মধ্যে ধনুরাসন, ত্রিকোনাসন, পবনমুক্তসন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post