মার্চের দিনগুলি

অনুচ্ছেদ : ইন্টারনেট

ইন্টারনেট


আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সবচেয়ে বিস্ময়কর মাধ্যম। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে এটা একটি প্রযুক্তিনির্ভর তথ্যবহুল মাধ্যম। বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেট একটি বহুল-আলোচিত গতিশীল মাধ্যম। এটা একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক কার্যক্রম (যোগাযোগ সম্পর্ক স্থাপন কার্যক্রম)। এটা কম্পিউটারের সাহায্যে পরিচালিত হয়। ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে চোখের পলকে সারা বিশ্বের সংবাদ ও মতামত আমাদের নিকট এসে পৌঁছে। ইন্টারনেটের সংবাদ প্ররিক্রমা বিধান সংবলিত নির্দেশাবলির মাধ্যমে আমরা খুব সহজে ও দ্রুত বিশ্বের যেকোনো দেশের সংবাদপত্রসমূহ পড়তে পারি। টেলিনেট সফ্টওয়্যার আমাদের দেশ-বিদেশে অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে সাহায্য করে। ফাইল আদানপ্রদান সংক্রান্ত নির্দেশাবলি থাকার কারণে আমরা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ফাইল আদান প্রদান করতে পারি। ইন্টারনেটে গল্প করা সংক্রান্ত নির্দেশাবলি থাকায় আমরা যে কোন স্থানে বসে আমাদের প্রিয়জনদের সাথে গল্প করতে পারি। অতএব, আমরা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের খুঁটিনাটি কাজগুলো থেকে শুরু করে ব্যবসায়-বাণিজ্য, ব্যাংক, বিমা, অফিসের কাজকর্ম, গবেষণা, প্রযুক্তি ও শিক্ষা সংক্রান্ত প্রায় সকল কাজই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সমাধা করতে পারি। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলাই ইতোমধ্যে ইন্টারনেট কর্মসূচির আওতায় এসে গেছে। ইন্টারনেট উন্নত জীবন ও বিশ্ব ব্যবস্থাপনার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। অদূর ভবিষ্যতে ইন্টারনেটের সুবিধা বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষের নিকট পৌঁছবে এবং মানুষের জীবন আরও সুখময় ও সমৃদ্ধ হবে।


একই অনুচ্ছেদ আরেকবার সংগ্রহ করে দেয়া হলো


‘ইন্টারনেট’ হলো ইন্টারনেটওয়ার্ক (Internetwork)-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ইন্টারনেট পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টি, যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। আইপি বা ইন্টারনেট প্রোটোকল নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ডাটা বা তথ্য আদান প্রদানের গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হলো ইন্টারনেট। ইন্টারনেট হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার পরিকাঠামো কম্পিউটারসমূহের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে। ষাটের দশকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস্ এজেন্সি পরীক্ষামূলকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারের মধ্যে এ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। তখন থেকেই ইন্টারনেটের সূচনা। বর্তমানে আধুনিক বিশ্বে ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রধান মাধ্যম। তথ্য আদান প্রদান, সংবাদপত্র পড়া, সামাজিক যোগাযোগ, পড়াশোনা, গবেষণা, টেলিভিশন দেখা, রেডিও শোনা, তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি তথা মানুষের পুরো জীবন ব্যবস্থাই হয়ে উঠেছে ইন্টারনেটনির্ভর। ইন্টারনেট ব্যবহারে মানুষের কর্মকাণ্ড পরিচালনা হয়ে উঠেছে সহজ এবং সাশ্রয়ী। ইন্টারনেট পৃথিবীর দূরত্বকে কমিয়ে দিচ্ছে। পুরো পৃথিবী ক্রমান্বয়ে গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হচ্ছে। মানুষ ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে এর সুফল ভোগ করছে। তাই আধুনিক জীবনযাত্রায় ইন্টারনেটের গুরুত্ব অপরিসীম।


একই অনুচ্ছেদ আরেকবার সংগ্রহ করে দেয়া হলো


ইন্টারনেট যোগাযোগের সর্বাধুনিক মাধ্যম। এটা কম্পিউটার এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাহায্যে দ্রুত তথ্য আদান প্রদানের পদ্ধতি। এখন আধুনিক বিশ্বের যোগাযোগে ইন্টারনেট মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। কম্পিউটারের সাথে ইন্টারনেটের সংযোগ স্থাপনের জন্য টেলিফোন সংযোগ এবং মডেম প্রয়োজন। টেলিফোন সংযোগটি মডেমের সাথে যুক্ত থাকে এবং মডেমটি কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে। এই মডেমের মাধ্যমে ডাটা স্থানান্তর এবং গ্রহণ করা হয়ে থাকে। ইন্টারনেনেটর গুরুত্ব অনেক। ইন্টারনেটে লক্ষাধিক ছোট ছোট আবাসিক, শিক্ষা সম্পর্কিত, ব্যবসায়িক এবং সরকারি নেটওয়ার্ক এবং ওয়েবসাইট থাকে যা একসাথে বিভিন্ন প্রকারের তথ্য এবং সেবা বহন করে। এটা বিশ্বের অন্যপ্রান্তের লোকদের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে। এটা যোগাযোগের দ্রুত এবং সহজ মাধ্যম। ইন্টারনেট সরকার, শিক্ষা এবং ব্যবসা ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ নিয়ে এসেছে। এখন একজন ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে এবং উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে পারে। অধিকন্তু, ভালো চাকরি পেতে ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক। অনেকে ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে। এভাবে, এটা ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের চাহিদা ব্যাপক। এটা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, বাংলাদেশের সর্বত্র এখনো ইন্টারনেট পৌঁছায়নি। তাই লোকেরা ইন্টারনেট সুবিধা থকে বঞ্চিত হচ্ছে। ইন্টারনেট সরবরাহকারীরা সরকারের কাছ থেকে যথেষ্ট সুযোগ সুবিধাও পাচ্ছে না। যোগাযোগ পদ্ধতি বিকাশের জন্য কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই ইন্টারনেটের সুযোগ সুবিধার উন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে; অন্যথায়, আমাদের দেশ সব সময় পিছিয়ে থাকবে।


3 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post