মার্চের দিনগুলি

নিরাপদ সড়ক চাই বিষয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ

‘নিরাপদ সড়ক চাই’ বিষয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ রচনা কর।

সুমন : কী রে বন্ধু কেমন আছিস? ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন কি থেমে গেল নাকি?

সুজন : আছি ভালোই। না রে দোস্ত থামেনি তবে গতি একটু কমে এসেছে আর কি! তোর খবর কী?

সুমন : আমার খবর ভালো। কিন্তু পত্রিকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ পড়ে মনটা ভালো নেই।

সুজন : আট জন নিহত! ভাবা যায়? প্রতিদিনই বাড়ছে এই দুর্ঘটনা।

সুমন : হ্যাঁ, এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে দেশে প্রতিদিন গড়ে তিন জন করে বছরে এক হাজারের বেশি লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় এবং পঙ্গু হয় বছরে ৫ থেকে ১০ হাজার লোক।

সুজন : সড়ক দুর্ঘটনা কী যে হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক তা কল্পনাও করা যায় না।

সুমন : ঠিকই বলেছিস। সেদিন নিজের চোখে দেখেছি এক ভয়াবহ দৃশ্য। আমি আর রাজু তো একজনকে টেনে বের করলাম খাদে পড়া বাস থেকে। দেখলাম লোকটার একটা হাত কেটে আলাদা হয়ে গেছে।

সুজন : এমন ভয়াবহ দৃশ্য প্রতিদিন কাউকে না কাউকে দেখতে হচ্ছে।

সুমন : হ্যাঁ। এর ফলে আমরা হারাচ্ছি আত্মীয়স্বজন, মেধাবী মুখ, প্রিয় মানুষকে। কিন্তু আমরা এই দুর্ঘটনা রোধে সচেষ্ট নই।

সুজন : সড়ক দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যু বড় অস্বাভাবিক এবং খুবই বেদনাদায়ক। অথচ আমরা এ ব্যাপারে উদাসীন বলেই মনে হয়।

সুমন : এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিরুদ্ধে আমাদের গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রয়োজন।

সুজন : নিশেষ করে স্কুল-কলেজের ছাত্র-শিক্ষকসহ সকলকেই সচেতন করে তুলতে হবে।  

সুমন : হ্যাঁ, তা ঠিক। তবে সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ ড্রাইভারদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও অতিরিক্ত যাত্রী বহন প্রতিরোধে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।

সুজন : শুধু তাই নয়, দক্ষতাহীন অপ্রাপ্তবয়স্কদের লাইসেন্স প্রদান, শ্রমিক দৌরাত্ম্য কমাতে এবং ট্রাফিক আইন পালনেও তাদের কার্যকর কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সুমন :প্রশাসন ও জনগণের মিলিত শক্তিই ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন সফল করতে পারে।

সুজন : এ জন্য আমাদের সকলেরই উচিত নিজে সচেতন হওয়া এবং অন্যকেও সচেতন করা।

সুমন : এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং মিডিয়া গণসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড, বিজ্ঞাপন, ডকুমেন্টারি ফিল্ম ইত্যাদি তৈরি করে প্রচারাভিযান চালাতে পারে।

সুজন : আমারও মনে হয় সবাই সচেতনভাবে এগিয়ে এলে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।

সুমন : তুই ঠিকই বলেছিস। চল সবাই মিলে সচেতনভাবে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি।

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post