আলাউদ্দিন আল আজাদ
আলাউদ্দিন আল আজাদ কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? — ১৯৩২ সালের ৬ মে, নরসিংদী জেলার রামনগর গ্রামে।
তাঁর পেশা ও পরিচিতি কী? — পেশায় মূলত অধ্যাপক। কিন্তু বিভিন্ন সরকারের সান্নিধ্য লাভ, এমনকি স্বৈরাচারী এরশাদের সময়ও সংষ্কৃতি উপদেষ্টা ও বিদেশের দূতাবাসে চাকরী করেন। তবে তার মূল পরিচয় কবি হিসেবে।
তাঁর প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থের নাম ও ধরণ উল্লেখ কর। — 'জেগে আছি'। এটি ১৯৫০ সালে প্রকাশিত হয় এবং এটি একটি গল্পগ্রন্থ।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহের পরিচয় দাও।
- কাব্যগ্রন্থ : মানচিত্র (১৯৬১), ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ (১৯৬২)।
- গল্পগ্রন্থ : জেগে আছি (১৯৫০), ধানকন্যা (১৯৫১), মৃগনাভী (১৯৫৩), অন্ধকার সিড়ি (১৯৫৬), যখন সৈকত (১৯৬৭), আমার রক্ত স্বপ্ন আমার (১৯৭৫), জীবনজমিন (১৯৮৮)।
- উপন্যাস : তেইশ নম্বর তৈলচিত্র (১৯৬০), শীতের শেষ রাত বসন্তের প্রথম দিন (১৯৬২), কর্ণফুলী (১৯৬২), ক্ষুধা ও আশা (১৯৬৪), খসড়া কাগজ (১৯৮৬), স্বপ্নশিলা (১৯৯২), বিশৃঙ্খলা (১৯৯৭) ইত্যাদি।
তাঁর “কর্ণফুলী” উপন্যাসের পরিচয় সংক্ষেপে দাও।
আলাউদ্দিন আল আজাদের 'কর্ণফুলী' উপন্যাসটি ১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয়। এটি একটি পাহাড়, সমুদ্র ঘেরা বিশেষ জনপদের জীবন অবলম্বনে তৈরি উপন্যাস। আদিবাসী রাঙামিলা, প্রেমিক দেওয়ানপুত্র (চাকমা), বাঙালি ইসমাইল, জলি, রমজান প্রমুখের জীবন যাপন ও প্রণয় কাহিনী উপন্যাসে বর্ণিত হয়েছে। ইসমাইল চোরাকারবারি করে এবং সে উচ্চাভিলাষী। সে আদিবাসী তরুণী রাঙামিলার প্রতি আকৃষ্ট হয়। এরকম নানা রকম কাহিনী উপন্যাসের ভেতর বর্ণনা করা হয়েছে। উপন্যাস হিসেবে 'কর্ণফুলী'কে ব্যর্থ উপন্যাস বলা চলে। তবে এখানে আঞ্চলিক ভাষা প্রয়োগের কষ্টকর চেষ্টাও আছে।
যে কবিতাটি লেখার জন্য তিনি জনপ্রিয় হয়েছেন, তার নাম কী? — স্মৃতিস্তম্ভ। (স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার / ভয় কি বন্ধু—)
'স্মৃতিস্তম্ভ' কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত? — মানচিত্র।
তাঁর কোন উপন্যাসটি 'বসুন্ধরা' নামে চলচ্চিত্রায়িত হয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে? — '১তেইশ নম্বর তৈলচিত্র।' ১৯৭৭ সালে পুরস্কার পায় এটি।
আলাউদ্দিন আল আজাদ কবে মৃত্যু বরণ করেন? — ৪ঠা জুলাই, ২০০৯ সালে।