প্রতিবেদন : ভূমিকম্প ও জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি

তোমার নাম শিমুল। তুমি ‘দৈনিক প্রথম আলো’ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার। এখন ‘ভূমিকম্প ও জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি’ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা করো।


ভূমিকম্প ও জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি


শিমুল : স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী : ২১শে মার্চ, ২০২১ : ভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ভূমিকম্প পৃথিবীর প্রায় সবদেশেই কম বেশি হয়। যখন শিল্প স্তরের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর অধিক চাপ সৃষ্টি হয় তখন সে শিল্পাস্তর সঞ্চিত চাপ মুক্ত করতে শিলাচ্যুতির মাধ্যমে ভূ-আন্দোলনের সৃষ্টি হয় এবং ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঘটে। ভূমিকম্পের সময় অনেক মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কিছু মানুষ সাধারণ জনগণের মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ফলে মানুষ সবসময় ভয়ে থাকে এই বুঝি ভূমিকম্প হলো। আমাদের দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা ভূমিকম্পের ঝুঁকিমুক্ত হিসেবে বিবেচিত। তই জনগণের এই ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ভূমিকম্পের সময় কী করা উচিত এই সব জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। ভূমিকম্প হলো তাড়াহুড়ো না করে মাথা ঠাণ্ডা রেখে তার মোকাবিলা করতে হবে। চলন্ত অবস্থায় থাকলে ফাঁকা জায়গায় অবস্থান নিতে হবে। গাড়ির ভেতর থাকা অবস্থায় ভূমিকম্প হলে গাড়ি থেকে নেমে ফাঁকা জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে। উঁচু বিল্ডিংয়ে থাকলে ভূমিকম্পের সময় কোনোভাবেই লিফট ব্যবহার করা যাবে না। কেননা ভূমিকম্পের সময় ঝাঁকুনির কারণে লিফট ছিড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে বিল্ডিংয়ের উপরের তলায় অবস্থান নেওয়া যেতে পারে। ঘরের ভিতর থাকা অবস্থায় ভূমিকম্প হলে খাট বা টেবিলের নিচে অবস্থান নিতে হবে। ভূমিকম্পের সময় সব ধরনের বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ রাখতে হবে। কেননা ভূমিকম্পের সময় গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির পাইপ ফেটে যেতে এবং ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হতে পারে। সবার আগে শিশুদেরকে নিরাপদ করে নিতে হবে। অযথা ছুটোছুটি না করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হবে। বহুতল ভবনে অবস্থানকারীরা কিছু শুকনো খাবার ও পানির বোতল হাতের নাগালে রাখবেন।

ভূমিকম্প সম্পর্কে জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি করতে দেশের গণমাধ্যমগুলোকে নানা রকম প্রচারণার সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। ভূমিকম্পের সময় ভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে হতাহত ঘটে বেশি। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলো কার্টুন ছবির মাধ্যমে শিশুদেরকে সচেতন করতে হবে। বড় বড় ইমারত নির্মাণের সময় বিল্ডিং কোড না মানার বিষয় গণমাধ্যম বিভিন্ন দোষত্রুটি চোখে আঙুল দিয়ে সরকার ও জনগণকে দেখিয়ে দিতে পারে। সচেতনতাই ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারে জনগণকে।


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post