প্রতিবেদন : নিজ এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদন

তোমার এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।


শোল্লা ইউনিয়নের নবাবগঞ্জে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি


নিজস্ব প্রতিবেদক : নবাবগঞ্জ : নবাবগঞ্জ থানা রাজধানী থেকে মাত্র ২৫কিমি দূরত্বে হলেও অনেকেটা বাতির নিচে অন্ধকারের শামিল। কেননা থানার বিভিন্ন এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটেছে। সৃষ্ট পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করছে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ,যার ফলে সমাজের সাধারণ কিছু মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

বছর কয়েক পূর্বেও নবাবগঞ্জ থানার শোল্লা ইউনিয়ন ছিল অপরাধহীন একটি এলাকা। এলাকার মানুষ রাতে দরজা জানালা লাগাতে ভুলে গেলেও ঘর বাড়ি থেকে কোনো কিছু চুরি হতো না। কিন্তু ইদানীং থানা পুলিশের গাফিলতি ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রভাবে খারাপ মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। এরা এলাকায় একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অপকর্মের মধ্যে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি এমনকী মানুষ হত্যার মতো জঘন্য ঘটনাও ঘটাচ্ছে। যার কারণে এলাকার মানুষ ভীত শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। 

শোল্লা ইউনিয়ন তথা নবাবগঞ্জে যেভাবে সন্ত্রাসী ককর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে, তাতে ধারনা করা যায় সন্ত্রাসীদের দাপটে সাধারণ মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হবে। কেননা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। কখনও যদি মামলা গ্রহণ করে তাহলে মামলাকারীকে মামলা খারিজ করতে চাপ প্রয়োগসহ প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়। ফলে সাধারণ নিরীহ মানুষ অন্যায়ের কোনো বিচার পাচ্ছে না।

সন্ত্রাসীদের উৎপাতে এলাকার সাধারণ মানুষ এবং মেয়েরা স্কুল কলেজ যেতে পারে না। তারা দলবেঁধে রাস্তায় ঘোরাফেরা করে সুযোগ বুঝে উত্ত্যক্ত করে। যার জন্যে অনেক মেয়েই উপায়ন্তর না দেখে স্কুল কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।

কিছুদিন পুর্বে এ গ্রামে একটি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে ছাড়া পেয়ে গ্রামটিকে একেবারে তছনছ করে দিয়েছে। আসামীরা প্রশাসনের সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তারপরও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে অতীতের শান্তিপূর্ণ এ এলাকাটি অচিরেই একটি অশান্তির আখড়া হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

এই অবস্থায় এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা জন্যে এলাকাবাসী মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করছে। যাতে করে প্রশাসনের চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এলাকাটিতে জরুরি ভিত্তিতে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্যে এলাকাবাসী প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছে।


একই প্রতিবেদন আরেকবার সংগ্রহ করে দেওয়া হলো


১৬ আগস্ট, ২০১৮

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ঢাকা।

জনাব,
আপনার আদেশানুসারে (আদেশ নং স.প.ক. ই/২৯ (৪) ২০১৮) আমি আমার থানার (অর্থাৎ বুড়িচং থানার) প্রতিটি অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কে নিম্নোক্ত সরজমিনে প্রতিবেদন আপনার কাছে উপস্থাপন করছি।

বুড়িচং থানা শহরসহ গ্রামাঞ্চলে আগে শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ বিরাজ করলেও বর্তমানে পরিবেশ অস্থিতিশীল ও অশান্ত হয়ে উঠেছে। নাগরিক জীবনের সংকট ও জটিলতা গ্রামাঞ্চলের মানুষকেও গ্রাস করছে দিন দিন। মানুষ হয়ে উঠছে দুর্নীতিপরায়ণ ও অসৎ। প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। এ এলাকার বেশকিছু গ্রামে ও থানা শহরে সন্ত্রাস, ছিনতাই, রাহাজানি সংক্রান্ত নানা ঘটনার সংবাদ পাওয়া গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও খুব একটা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারছে না। তবে তারা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আশা করি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি লাভ করবে।

তাছাড়া কোনো কোনো গ্রামে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বৃদ্ধি পাচ্ছে। মারামারি, ঝগড়াঝাটি থেকে কলহ গড়াচ্ছে মামলা মোকদ্দমা পর্যন্ত। সম্প্রতি এ বিষয়ে উপজেলা মিলনায়তনে সচেতনমূলক সেমিনারের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং গ্রামীণ জনগণকে বোঝাতে চেষ্টা  করা হয়েছে কলহ ও মামলা মোকাদ্দমার ক্ষতিকর দিক। তাছাড়া আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ  অনুরোধ করা হয়েছে। আশাকরি, অত সত্বর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি ঘটবে।

প্রতিবেদক
এম.এ.মালেক (সুজন)

2 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post