৯ম শ্রেণি : অ্যাসাইনমেন্ট : কৃষি শিক্ষা : ৩য় সপ্তাহ : ২০২১

৯ম শ্রেণি : এ্যাসাইনমেন্ট : কৃষি শিক্ষা : ৩য় সপ্তাহ

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রম :
অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ - ১
 
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ
তোমার এলাকায় প্রধান প্রধান ফসলের নাম উল্লেখপূর্বক ফসলসমূহ চাষের কারণ ও সেগুলোর জন্য জমি প্রস্তুতির বিবরণ উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

৯ম শ্রেণির ৩য় সাপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট-এর কৃষি শিক্ষা প্রশ্ন দেয়া হলো :
৯ম শ্রেণি : অ্যাসাইনমেন্ট : কৃষি শিক্ষা : ৩য় সপ্তাহ : ২০২১

নমুনা সমাধান

আমি ঢাকা জেলার ডেমরা অঞ্চলে বসবাস করি। আমাদের অঞ্চলে কৃষকেরা অধিকাংশ বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী শাকসবজি চাষ করে থাকে। তবে তারা বেশির ভাগ আলু ও টমেটো চাষ করে। কারণ আমাদের অঞ্চলের মাটি দোঁআশ ও বেলে দোঁআশ ধরনের।

নিম্নে আমাদের কৃষকের ফসল হিসেবে আলু ও টমেটো নির্বাচনের কারণ গুলো উল্লেখ করা হলো:

  • দোঁআশ ও বেলে দোঁআশ মাটি টমেটো ও আলু উৎপাদনের জন্য বেশ উপযোগী। কারণ বেলে ও কংকরময় মাটিতে আলু টমেটো চাষ করা যায় না।
  • আলুর জন্য বায়ু চলাচল করে এরূপ নরম ও ঢিলেঢালা মাটি দরকার, এতে আলু বড় হওয়ার সুযোগ পায়।
  • আলু চাষের জন্য মাটির অম্লমানের মাত্রা ৬-৭ এর মধ্যে হলে উত্তম ও টমেটো চাষের ক্ষেত্রে মাটির PH নিরপেক্ষ মাত্রার কাছাকাছি হলে ভালো হয়।
  • গোল আলুর মাটিতে প্রচুর জৈব পদার্থ থাকা দরকার আর বেলে মাটিতে অধিক জৈবসার প্রয়োগ করলে টমেটো চাষ মোটামুটি হয়।
উপরোক্ত কারণে আমাদের অঞ্চলে কৃষকেরা আলুও টমেটো চাষ করে।

এছাড়া বৃষ্টি নির্ভর ফসল ও চাষ করা হয়। যেমন – গম, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ ইত্যাদি। বোরো, আখ, আলু, মুগ, পিয়াজ, রসুন, গম, সরিষা আলু ইত্যাদি রবি শস্য সেচ নির্ভর হয়ে থাকে।

আমাদের এলাকায় প্রধান ফসল আলু বিধায় আলু চাষের জন্য জমি প্রস্তুতি উল্লেখ করা হলো:
  • নিচু এলাকায় বর্ষার পানি নেমে গেলে বা উঁচু এলাকায় আশ্বিন মাস হতে আলু চাষের জন্য জমি প্রস্তুতির কাজ শুরু করা হয়।
  • সাধারণত দোঁআশ ও বেলে দোঁআশ মাটি আলু চাষের জন্য অধিক উপযোগী কারণ এই মাটি চাষ করা অধিক উপযোগী।
  • প্রথমে আলুর জমি ৫-৬ বার চাষ ও বার কয়েক মই দিয়ে ঝুরঝুরা করে জমি প্রস্তুত করা হয়।
  • আজকাল পাওয়ার টিলার দ্বারা চাষ করা হয় বলে ৩-৪ বার আড়াআড়ি চাষ দিলেই ঝুরঝুরা হয় ও সমান করা হয়।
  • জমি ভালোভাবে চাষ ও মই দেওয়ার পর জমি সমান করে বীজ বপনের জন্য জমির এক মাথা থেকে অন্য মাথা পর্যন্ত নালা করতে হবে। প্রত্যেকটি নালা প্রায় ১০-১২ সে. মি. গভীর করতে দূরে ও তাদের মধ্যকার দূরত্ব হবে ৬০ সে.মি.। এরপর নালার মধ্যে ১৫ সে.মি. দূরে দূরে বীজ বপন করতে হয়।
  • মাটি বীজের অঙ্কুরোদগম অবস্থায় আনয়ন, মাটি সার ও জৈব পদার্থের মিশ্রকরণ, মাটির অভ্যন্তরীণ কীট দমন, মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, মাটি ক্ষয়রোধ ইত্যাদি কারণে আমাদের এলাকায় কৃষকেরা ফসল নির্বাচনের পর উক্ত ফসলচাষের জন্য জমি প্রস্তুত করে থাকেন।


আরো দেখুন :


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post