মার্চের দিনগুলি

প্রতিবেদন : পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব

‘পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্যে চাই বৃক্ষরোপণ’ – এ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

বা, পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য বৃক্ষরোপণ – এ শিরোনামে পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

বা, মনে করো তুমি তাপস দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার একজন প্রতিনিধি। পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব বর্ণনা করে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন লেখো।

বা, তোমার এলাকায় বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদ্‌যাপনের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন করো।


১৮ই জানুয়ারি, ২০২১

বরাবর
সচিব
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ সচিবালয়
ঢাকা

বিষয় : পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে প্রতিবেদন।
সূত্র : বা.স./৯৭/২০২১

জনাব,
পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তার ওপর নিম্নোক্ত প্রতিবেদনটি আপনার সদয় জ্ঞাতার্থে পেশ করছি।

পরিবেশ বিপর্যয় রোধে বৃক্ষরোপণ


বৃক্ষ মানুষের পরম বন্ধু। বিপুল মানুষের পদভারে কম্পিত এ সুজলা-সুফলা পৃথিবী প্রতিদিন বৃক্ষশূন্য হচ্ছে। অবাধ ও নির্বিচারে চলছে বৃক্ষ নিধন। ফলে প্রাণীর জীবনধারণের নিয়ামক অক্সিজেনের সরবরাহ হ্রাস পাচ্ছে প্রবলভাবে। জীবনের জন্যে, জীবিকার জন্যে বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। রবীন্দ্রনাথ বৃক্ষের গুরুত্ব উপলব্ধি করে বলেছেন, ‘আমরা যেমন স্নান করি এবং শুভ্র বস্ত্র পরিধান করি, তেমনি বাড়ির চারপাশে যত্নপূর্বক একটি বাগান করে রাখা ভদ্রপ্রথার একটি অবশ্য কর্তব্য অঙ্গ হওয়া উচিত।’

বৃক্ষ মূলত পরিবেশ, আবহাওয়া ও জলবায়ুর ভারসাম্য বজায় রাখে। গাছপালা নিয়মিত বৃষ্টিপাতে সাহায্য করে, নদীর ভাঙন থেকে ভূভাগকে রক্ষা করে। মোটকথা, পৃথিবীকে মনুষ্যবাসের উপযোগী করতে বনাঞ্চল সৃষ্টি ও বন সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা অত্যধিক।

একটি দেশের মোট ভূভাগের ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশের বনভূমির পরিমাণ মোট ভূভাগের মাত্র ১৬ ভাগ। সুতরাং বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ নৈরাশ্যজনক। এ অবস্থার আশু পরিবর্তন আবশ্যক। তাই অধিক হারে বৃক্ষরোপণের জন্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই। জাতীয় গণমাধ্যমগুলো এ ব্যাপারে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখতে পারে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও এ মহতী উদ্যোগের অংশীদার করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

পরিশেষে একথা বলা প্রাসঙ্গিক, বৃক্ষরোপণের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনায় এনে জাতীয়ভাবে কর্মসূচি গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

নিবেদক
মো. ড. ইব্রাহীম খলিল
গবেষণা সহকারী
বন অধিদপ্তর, ঢাকা

2 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post