সাধারণ জ্ঞান : উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রেক্ষিত ও পঞ্চবার্ষিকী

উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রেক্ষিত ও পঞ্চবার্ষিকী

পরিকল্পনা কমিশনের গৃহীত পদক্ষেপ অনুযায়ী সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কোন মেয়াদে হবে? – ২০১৬-২০২০।

বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদের সভাপতি হচ্ছেন – প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ এবং উন্নয়ন প্রকল্প সংক্রান্ত সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক সংস্থার নাম কী? – জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদ।

বাংলাদেশে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে কে? – পরিকল্পনা কমিশন।

পরিকল্পনা কমিশনের চেয়াম্যান নিয়োগ করেন কে? – রাষ্ট্রপতি।

বাংলাদেশে ‘পরিকল্পনা কমিশন’ কোথায় অবস্থিত? – ঢাকার আগারগাঁয়ে।

উন্নয়নে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রবর্তক কে? – স্ট্যালিন। (রাশিয়ার সাবেক সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট)।

উন্নয়নে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রবর্তক কোন দেশ? – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া)।

উন্নয়ন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কোন কোন প্রতিষ্ঠান কাজ করে? – ১. পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ২. পরিকল্পনা কমিশন, ৩. জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (NEC), ৪. জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (ECNEC)।

বাংলাদেশ এ পর্যন্ত কতটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে? – ৬টি।

ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মেয়াদ কত? – ২০১১-২০১৫ সাল পর্যন্ত।

বাংলাদেশে দ্বি-বার্ষিক পরিকল্পনা কতটি নেয়া হয়েছিল? – ১টি। (১৯৭৮ – ১৯৮০ মেয়াদে)

বাংলাদেশে পঞ্চদশ বার্ষিকী পরিকল্পনা নেয়া হয় কতটি? – ১টি। (১৯৯৫ – ২০১০ মেয়াদে)

পঞ্চদশ বার্ষিকী পরিকল্পনা নেয়ার উদ্দেশ্য কী? – দারিদ্র্য বিমোচন।

‘HR-1642’ কী? – জরুরি অবস্থা মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশকে নিঃশর্ত অর্থ সাহায্য দেয়ার জন্য মার্কিন কংগ্রেসের একটি অর্থবিল।

‘HR-1646’ কী? – বাংলাদেশের পানীয় জল আর্সেনিক দূষণমুক্তকরণ ও আক্রান্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যয়ভার বহনের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের একটি বিলের নাম।

রাজধানী উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু হয় কত সালে? – ১৯৯২ সালে (বর্তমান নাম মাস্টার প্লান)।

উপকূলীয় সবুজ বেস্টনী প্রকল্পের উদ্দেশ্য কী? – ঝড়, জলোচ্ছ্বাস থেকে উপকূলীয় দশটি জেলাকে রক্ষা করা।

উপকূলীয় সবুজ বেস্টনী প্রকল্প কত সাল থেকে শুরু হয়? – পাঁচ বছরের প্রকল্প; ১০৯৫-৯৬ অর্থবছরে শুরু হয়।

পরিকল্পনা কমিশনের গৃহীত পদক্ষেপ অনুযায়ী সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কোন মেয়াদে হবে? – ২০১৬ – ২০২০।

পূর্বাচল প্রকল্প কোথায় অবস্থিত? – নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে এবং গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জে অবস্থিত।

বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্প কত সালে চালু হয়? – নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে এবং গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জে অবস্থিত।

বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্প কত সালে চালু হয়? – ১৯৮৫ সালে (উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায়)।

প্রথম অবস্থায় বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্প কোন প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করে? – বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন।

বর্তমানে বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্পের কর্তৃপক্ষের নাম কী? – বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (১৯৯০ সাল থেকে)।

’আদর্শ গ্রাম’ প্রকল্প কতটি জেলায় কাজ করছে? – ৬১টি জেলায়। (৩টি পার্বত্য জেলা ব্যতীত)।

পূর্বাচল প্রকল্পের আওতাভুক্ত এলাকার নাম কী? – ইউসুফগঞ্জ (এটা এশিয়ার বৃহত্তম উপশহর হবে)।

‘লাভ সিটি’ কী? – ঢাকার উত্তরায় বেসরকারী উদ্যোগে গঠিত শিল্প অঞ্চল।

‘ক্যাপাসিটি বিল্ড’ কী? – বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা কেয়ারের উদ্যোগে গঠিত একটি পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি।

‘প্লান হলিডে’ কী? – দেশে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ‘পরিকল্পনাহীন’ সময়কালকে প্লান হলিডে বলে।


পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসমূহ

পরিকল্পনা
মেয়াদকাল
বরাদ্দ অর্থ
(কোটি টাকা)
প্রকৃত ব্যয়
(কোটি টাকা)
অর্জিত প্রবৃদ্ধি (%)
প্রথম
১৯৭৩-৭৮
৪৪৫৫
২০৭৪
৪.০
দ্বিতীয়
১৯৮০-৮৫
১৭২০০
১৫২৯৭
৩.৮
তৃতীয়
১৯৮৫-৯০
৩৮৬০০
২৭০১১
৩.৮
চতুর্থ
১৯৯০-৯৫
৬২০০০
৫৯৮৪৮
৪.২
পঞ্চম
১০৯৭-’০২
১৯৫৯৫২
১৩৭৩৬৪
৫.২
ষষ্ঠ
২০১১-’১৫
১৩৩২৬৭০


সপ্তম
২০১৬-‘২০



নোট : ১৯৭৮-৮০ মেয়াদে একটি দ্বিবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছিল, যার বরাদ্দকৃত অর্থ ছিল ৩৮৬৮ কোটি টাকা ও প্রকৃত ব্যয় ৩৩৫৯ কোটি টাকা।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post