রচনা : মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু - PDF

ভূমিকা : হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালির শ্রেষ্ঠতম অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আর এ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গে যার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে আছে, তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সংগ্রাম ও অবদানে নিজ নিজ জাতির মুক্তিদাতা হিসেবে মানুষদের মধ্যে আছেন আমোরিকার জর্জ ওয়াশিংটন, তরস্কের কামাল আতাতুর্ক, ভারতের মহাত্মা গান্ধী, দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন মেন্ডেলা, কিউবার ফিদেল কাস্ত্রো প্রমুখ নেতা। আর আছে বাংলাদেশের শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা। দীর্ঘ সংগ্রাম ও সাধনার মধ্য দিয়ে তিনি ইতিহাসের বরপুত্র হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছেন। তার জীবনাদর্শে আমরা সংগ্রামী চেতনা ও কর্মনিষ্ঠার পরিচয় পাই। 

জন্ম : স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বর্তমান গোপালগঞ্জ (তৎকালীন ফরিদপুর) জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শেখ লুৎফর রহমান, মাতা সায়রা খাতুন। দুই ভাই, চার বোনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পিতা-মাতার তৃতীয় সন্তান। 

শৈশবকাল : পারিবারিক আনন্দঘন পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কাটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। ছোটবেলা থেকে শেখ মুজিবুর রহমান খুব চটপটে স্বভাবের ছিলেন। বাড়ির সবাই এজন্য তাকে খোকা নামে ডাকত। দেখতে তিনি ছিলেন ছিপছিপে কিন্তু তার ছিল অদম্য প্রাণশক্তি। নদীতে-খালে-বিলে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরিয়ে সবাইকে মাতিয়ে তুলতেন। খেলাধুলায়ও বেশ ভালো ছিলেন তিনি। স্কুলের ফুটবল দলেও তার পাকা স্থান ছিল। ছোটবেলা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে দরিদ্র বঞ্চিতদের জন্য ভালোবাসার প্রকাশ দেখা যায়। একবার নিজের বাড়ির গোলার ধান গ্রামের গরিব চাষিদের মাঝে বিলিয়ে দেন। পিতা শেখ লুৎফর রহমান এর কারণ জিজ্ঞেস করলে, উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘এবার চাষিদের জমির ধান সব বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে। আকালে পড়েছে কৃষক। আমাদের মতো ওদের পেটেও ক্ষুধা আছে। ওরাও আমাদের মতো বাঁচতে চায়।’ বাবা ছেলের এই সৎ সাহস ও মহানুভবতা দেখে বেশ খুশি হলেন। 

বিদ্যালয়ের ওপরের ক্লাসে এসে তার প্রতিবাদী চেতনার পরিচয়ও মেলে। একবার অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক ও মন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল পরিদর্শনে আসেন। তাদের আগমনে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মানপত্র পাঠ করেন। আরো অনেকে শেরেবাংলার প্রশংসা করে বক্তৃতা করেন কিন্তু কেউ স্কুল এবং ছাত্রদের সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরলেন না। একপর্যায়ে সংবর্ধনা সভা শেষ করে, যখন তাঁরা ফিরে যাচ্ছিলেন, তখনই তাদের পথরোধ করে দাঁড়ালেন শেখ মুজিবুর রহমান। সব ছাত্রদের পক্ষ থেকে স্কুলের দাবি-দাওয়া অর্থাৎ জরার্জীণ ছাত্রাবাস, পাঠাগারে বই নেই, ব্যায়ামাগার নেই, খেলাধুলার ব্যবস্থা নেই ইত্যাদি সমস্যার কথা তিনি তাঁদের সামনে তুলে ধরেন। শেরেবাংলা কিশোর শেখ মুজিবুর মহমানের সাহস ও স্পষ্ট বক্তব্য আর জনহিতৈষী মনোভাবের পরিচয় দেখে খুশি হন এবং সাথে সাথে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাদের সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন সুস্পষ্ট প্রতিবাদী ব্যক্তিত্বের অধিকারী। 

ছাত্রজীবন : সাত বছর বয়সে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবন শুরু হয় গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে। প্রাধমিক শিক্ষা শেষ করার পর তিনি গোপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুলে ভর্তি হন এবং এই স্কুল থেকে ১৯৪২ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৪২ সালেই তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৪৪ সালে আই.এ. এবং ১৯৪৬ সালে বি.এ. পাস করেন। ১৯৪৬ সালে ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান ক্রমেই নেতা শেখ মুজিবুর রহমানে বিকশিত হতে থাকেন। ১৯৪৭-এ দেশ বিভাগের পর তিনি আইন পড়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও তিনি অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ছাত্রছাত্রীদের অধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনেও তিনি সব সময় সক্রিয় ছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন : ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধু রাজনীতি ও দেশব্রতে যুক্ত হন। তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু ১৯৪০ সালের দিকে। তখন তিনি নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের কাউন্সিলর এবং গোপালগঞ্জ মহকুমা মুসলিম লীগের সম্পাদক ছিলেন। ১৯৪৮ সালে গঠিত পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের তিনি ছিলেন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৪৮ সালে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হলে এর সঙ্গে তিনি যুক্ত হন। এ বছর ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে হরতাল পালনের সময় তিনি গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ হন। ‘বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে সুপারিশ করে পূর্ববঙ্গ পরিষদে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে’- এ মর্মে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে পূর্ববঙ্গের নাজিমুদ্দিন সরকার চুক্তিবদ্ধ হলে তিনি মুক্তি লাভ করেন। ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হলে তিনি যুগ্ম সম্পাদকের পদ লাভ করেন এবং ১৯৫৩ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রিসভার মন্ত্রিত্ব লাভ করেন। এ দেশের মানুষের অধিকার আদায় এবং শোষণ বঞ্চনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বহুবার গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ হন। 

১৯৬৬ সালে তিনি পেশ করেন বাঙালি জাতির ঐতিহাসিক মুক্তির সনদ ছয়-দফা। এ সময় নিরাপত্তা আইনে তিনি বার বার গ্রেফতার হন। এরকমই চলে, পর্যায়ক্রমিক গ্রেফতার। তিনি কারারুদ্ধ জীবনযাপন করতে থাকেন। তাকে প্রধান আসামি করে দায়ের করা হয় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। তবে জনগণের আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খান ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এ মামলা প্রত্যাহার করে নেন। ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত রেসকোর্স ময়দানে লক্ষ মানুষের এক নাগরিক সংবর্ধনায় তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। উল্লেখ্য যে, এই নির্বাচনে পাকিস্তানের সর্বমোট সংসদীয় আসন সংখ্যা ছিল ৩০০টি। জনসংখ্যার ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য আসন বরাদ্দ হয় ১৬৯টি। তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু এবং তার দল ১৬৭টি আসনে জয়লাভ করে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন এবং পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে ৩১০টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনে জয়লাভ করে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গণমানুষের ম্যান্ডেট লাভ করেন। কিন্তু সরকার গঠনের সুযোগ না দিয়ে প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেন। এর প্রতিবাদে শেখ মুজিবুর রহমান ৩ মার্চ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। 

৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও স্বাধীনতা ঘোষণা : ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ থেকে ২৫-এ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সারা বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন পরিচালিত হয়। এর মধ্যে ৭ মার্চ তৎকালীন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যান) প্রায় দশ লাভ লোকের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। ঐতিহাসিক ঐ ভাষণে তিনি বাঙালির মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের আহ্বান জানান। তিনি দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন- 
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, 
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। 

একপর্যায় ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু করে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। সেই রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। গ্রেপ্তারের পূর্বে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাকে রাষ্ট্রপতি করে গঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধশেষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূর্য উদিত হয়। 

দেশে প্রত্যাবর্তন : ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন। ১২ জানুয়ারি তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং যুদ্ধবিধস্ত দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। 

শেখ মুজিবের অবদান বা শাসনামল : স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার সংগ্রাম সবই পরিচালনা করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান অসীম দক্ষতা ও যোগ্যতায়। তার ছিল মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার মতো অসাধারণ বজ্রকণ্ঠ। অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে তার ছিল বিপুল খ্যাতি। অকৃত্রিম দেশপ্রেম, সাধারণ জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসা, অমায়িক ব্যক্তিত্ব, উপস্থিত বুদ্ধি তাকে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত করেছে। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে তার অতুলনীয় অবদানের জন্য জাতি তাকে ‘জাতির জনক’ হিসেবে বরণ করে নিয়েছে। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর খুব বেশিদিন ক্ষমতায় থাকার সুযোগ না পেলেও, যতটুকু সময় ক্ষমতায় ছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি ক্ষমতা লাভের পর কিছুদিনের মধ্যে ভারতীয় বাহিনীর দেশত্যাগ করা এবং মুক্তিবাহিনীর অস্ত্রসমর্পণ করায় তার ভূমিকাই অগ্রহণ্য। বিশ্বের ১০৪টি দেশ স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বাীকৃতি প্রদান করে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ, জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন ও ইসলামি সম্মেলন সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে বঙ্গবন্ধুর আমলে। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয়। তাঁর সরকারের সময় ব্যাংক, বিমাসহ শিল্পকারখানা জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৭৪ সালে তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রথম বাংলায় বক্তৃতা করেন। ১৯৭২ সালে তিনি বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রদত্ত ‘জুলিওকুরী’ পদক লাভ করেন। বাংলাদেশের মানুষের অীধকার আদায়ের জন্য তার আজীবন সংগ্রামের যে সাফল্য স্বাধীনতা লাভের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল তা জাতির জীবনে এক নবদিগন্তের সূচনা করেছে। 

মৃত্যু : বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করলেও স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকের দল তার সাফল্য ও বাঙালির উত্থানকে মেনে নিতে পারেনি। তাই আবার শুরু হয় ষড়যন্ত্র। দেশ যখন সকল বাধা দূর করে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন তিনি দেশীয় ষড়যন্ত্রকারী ও আন্তর্জাতিক চক্রের শিকারে পরিণত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাহিনীর তৎকালীন কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। 

উপসংহার : বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অনন্য নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির জনক। তার দূরদর্শী, বিচক্ষণ এবং সঠিক নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। তিনি সব সময় জাতির কল্যাণেই কাজ করে গেছেন। সমস্ত জাতিকে তিনি মুক্তি ও স্বাধীনতার চেতনায় ঐক্যবদ্ধ ও উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তার আত্মত্যাগ জাতিকে মহান মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। তাই আজও তিনি দেশপ্রেমিক প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে রয়েছেন। কবি অন্নদাশংকরের ভাষায় বলতে হয়- 
‘যতকাল রবে পদ্মা-মেঘনা-গৌরী-যমুনা বহমান 
ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।’



আরো দেখুন :

21 Comments

  1. অনেক ভাল লাগল আমার দেশের মানুষ তাকে সব মানুষ মনে করেছে মনে করবো

    ReplyDelete
  2. রচনাটি পড়ে আমি অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারলাম।আমার কাছে রচনাটি খুব ভালো লাগছে। আমি এইরকম আরো রচনা আরো চাই।আমাদের ছাত্র জীবনে অনেক কাজে দেবে।এতে থেকে আমরা অনেক শিক্ষা অর্জন করতে পারব।সুতরাং আমার রচনাটি অনেক অনেক ভালো লেগেছে।

    ReplyDelete
  3. আরেকটুবড় হওয়াউচিতছিল

    ReplyDelete
  4. খুব ভাল লাগলো

    ReplyDelete
  5. it made me first......Thank you...very much

    ReplyDelete
  6. আনেক ভালো লাগলো

    ReplyDelete
  7. 😊😊😊😊😊😊😊😊😊

    ReplyDelete
  8. সুন্দর রচনা।অনেক ভাল লিখেছেন।

    ReplyDelete
  9. এখানে কী ১০০ Word হবে?

    ReplyDelete
  10. এই রচনাটি প্রায় ১২০০ শব্দের।

    ReplyDelete
  11. রচনাটি পড়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ 😊😊😊😊

    ReplyDelete
  12. রচনাটি অনেক সুন্দর হয়েছে

    ReplyDelete
  13. খুবই ভালো লাগলো রচনাটি পড়ে ☺️

    ReplyDelete
Post a Comment
Previous Post Next Post