ক্লোনিং কি? ক্লোনিং এর পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি কি?

পরিণত প্রাণীর দেহকোষের নিউক্লিয়াস ডিম্বকোষে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে হুবহু একই বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত প্রাণীর জন্মদান প্রক্রিয়া হল ক্লোনিং। স্টকল্যান্ডের এডিনবরায় বিজ্ঞানীগণ ১৯১৭ সালে ‘ফিন ডরসেট’ ভেড়ীর ওলান থেকে সংগৃহীত কোষের কিউক্লিয়াস একটি অন্য জাতের ভেড়ীর ডিম্বকোষে প্রতিস্থাপন করে হুবহু একই রকম ফিন ডরসেট ভেড়ীর বাচ্চা জন্মাতে সক্ষম হন।

ফিন ডরসেট ক্লোনিং

ক্লোনিং বিশেষত মানুষসহ স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্লোনিং আদৌ নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য কিনা, মানুষের ভ্রূণ নিয়ে গবেষণা কতদূর চালানো উচিত তা নিয়ে দেশ-বিদেশে মতভেদ রয়েছে। যেমন- জার্মানিতে এই গবেষণা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ফ্রান্সের বায়ো-এথিকস কমিটি বলেছেন, মানুষের ভ্রূণ নিয়ে গবেষণা কেবল সেইসব ভ্রূণের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত যেখানে মা-বাবা লিখিতভাবে এই অঙ্গীকার করবেন যে তারা এই ভ্রূনটিকে স্বাভাবিকভাবে মরে যেতে না দিয়ে গবেষণার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করাটা অনৈতিক কাজ জেনেও ভ্রূণটিকে গবেষণার উপযোগী একটি বস্তুতে, নিছক একটি পদার্থে পর্যবসিত করা হবে। গর্ভনিষেক নিয়ে মতমত দু’ভাগে বিভক্ত। একদল বলেছেন গর্ভনিষেকের মুহূর্ত থেকেই মানুষ তার নিজস্ব ব্যক্তিসত্তা লাভ করে। অন্যদল বলেছেন, তা কী করে হবে? তখন তো সে কেবল সার্বিক একটি কোষের কণামাত্র। তার ব্যক্তিসত্ত্বা তো অনেক পরের ব্যাপার। সুতরাং পিতামাতার সম্মতি নিয়ে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের এই ভ্রূণ নিয়ে যদি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা যায় তাতে নৈতিকতার ব্যত্যয় ঘটেনা।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post