বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার দেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনা কর

বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার দেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনা কর।

এক যুগেরও আগে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলেও একবারও যাওয়া হয়নি এবং ‘দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া’। অথচ ইতিবাচক বৈজ্ঞানিক ধ্যানধারণা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজ থেকে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার দূর করাই এই অনানুষ্ঠানিক বিজ্ঞান শিক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশ্য। । ০২ এপ্রিল শনিবার ১০টায় পৌছে গেলাম বিজয় সরণির দক্ষিণ-পশ্চিম কোনায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারে। ই-টিকেট ক্রয় করা ছিল আগেই, তার এন্ট্রি স্লিপ সংগ্রহ করলাম। বাইরে থেকে নীল-সবুজের ঘন সমারোহে গম্বুজবিশিষ্ট স্থাপনাটি দেখতে খুবই আকর্ষণীয় । কাউন্টারে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, ব্যাগ জমা দিয়ে রাইড সিমুলেটরে উঠলাম আমরা চারজন। নভোথিয়েটারে দুটো চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হলো। ‘এ জার্নি টু ইনফিনিটি’তে নক্ষত্রশালার গম্বুজে পৃথিবী ও নীল আকাশ ফুটিয়ে তোলা হলো। বিগ ব্যাং-এর মাধ্যমে কীভাবে নক্ষত্র ও গ্রহ সৃষ্টি হলো এবং আমাদের ছায়াপথে সূর্য ও গ্রহগুলোর অবস্থান ও প্রকৃতি এমনভাবে ফুটিয়ে তোলা হলো যে, মনে হলো আমরা নক্ষত্র-গ্রহগুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। এ এক অনাস্বাদিত, রোমাঞ্চকর ও বিস্ময়কর অনুভূতি। এরপর ‘এই আমাদের বাংলাদেশ’ নামক প্রামাণ্যচিত্রে দেখানো হলো বাংলাদেশের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য, তথ্যভিত্তিক পরিচিতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ, চার হাজার বছর আগে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে অবস্থিত গিরিখাদ, উত্তর আমেরিকায় আদি মানুষের স্থায়ী হওয়ার বর্ণনা ইত্যাদি। আমরা অবাক বিস্ময়ে কেবলই দেখছিলাম, চোখ ফেরাতে পারছিলাম না। নতুন অনুভূতি আর নতুন অভিজ্ঞতায় হৃদয় পূর্ণ করে আমরা বেরিয়ে এলাম, কিন্তু তখনও ‘অনন্তের পথে যাত্রা’র ঘোর কাটেনি।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post