মার্চের দিনগুলি

দেশে বিজ্ঞানচর্চার আবশ্যকতা বুঝিয়ে বন্ধুকে পত্র

দেশে বিজ্ঞানচর্চার আবশ্যকতা বুঝিয়ে তোমার বন্ধুকে একটি পত্র লেখ।


মগবাজার, ঢাকা
১১ অক্টোবর, ২০২১

প্রিয় তুহিন,
আমার সালাম ও ভালবাসা নিও। তোমার চিঠি পেয়ে খুবই আনন্দিত হলাম। কিন্তু বিজ্ঞান চর্চার প্রতি তোমার অনীহা আর বিজ্ঞান বিমুখিতা দেখে আমি আশ্চর্য হলাম। এ ব্যাপারে তোমার যুক্তি মানতে পারছি না।

আশা করি তুমি অস্বীকার করবে না যে, বর্তমান জীবনে বিজ্ঞানের দাম সবচেয়ে বেশি। তা চিকিৎসা বল, পরিবহন বল, শিক্ষা-দীক্ষা বল বা জীবনের যে কোন ক্ষেত্রের কথাই বল না কেন – বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব অবদান মানবসভ্যতাকে এক ধাক্কায় বহুদূর এগিয়ে দিয়েছে। দূরকে নিকট করার আর পরকে আপন করার প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞানের অবদান যে কি অপরিসীম তা একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবে। তা ছাড়া অনাচার আর কুসংস্কার দূরীকরণে বিজ্ঞানের ভূমিকাকে কি তুমি অস্বীকার করতে পার? গ্রামে-গঞ্জে যে নানা রকমের কুসংস্কার ও তুকতাক প্রচলিত আছে তা কি যুক্তিসম্মত? শুধু গ্রামগঞ্জেই বা বলি কেন? বহু শহুরে শিক্ষিত মানুষের মধ্যেও রয়েছে সীমাহীন কুসংস্কার। সেসব দূর করতে পারে একমাত্র বিজ্ঞানচর্চা। এজন্য বিজ্ঞানবিষয়ক পত্রপত্রিকার প্রচার ও প্রসার হওয়া খুবই প্রয়োজন। তাছাড়া পাঠাগারেও চাই বিজ্ঞানচর্চার আয়োজন। এমন কি বিজ্ঞান বিষয়ক সেমিনার-সিম্পোজিয়ামও খুবই প্রয়োজন। নানা রকমের অনাচার-কুসংস্কার দূরীকরণে বিজ্ঞানের তাই কোন বিকল্প নেই। এজন্য পাড়ায় পাড়ায় বিজ্ঞান ক্লাবও গড়ে তুলতে হবে।

আশা করি, আমার যুক্তিগুলো তুমি অস্বীকার করবে না। আজ এখানেই শেষ করি।

ইতি
তোমারই প্রীতিধন্য
সালমান

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post