ব্যাকরণ : বাংলা বানানের নিয়ম

বাংলা বানানের নিয়ম

বানান : ব্যঞ্জন বর্ণে স্বরবর্ণ যোগ করাকে বানান বলে। দুই বা ততোধিক ব্যঞ্জনবর্ণ একত্র মিলিত হলে তাদের সংযুক্তবর্ণ বলে। এভাবে বানান নিষ্পন্ন হয়। 

বাংলা বানানের নিয়ম প্রণীতের ইতিহাস : ১৯ শতকের গোড়া থেকে বাংলা গদ্য রচনা আরম্ভ হলে বাংলা বানানে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে থাকে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ ব্যাপারটি অনুধাবন করে একটি বানান-রীতি প্রণয়নের জন্য ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধ করেন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এ বিষয়টি সমর্থন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় 'কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বানান সংস্কার সমিতি' গঠন করে এবং ১৯৩৬ খ্রিঃ ৮মে প্রথম বাংলা বানানের নিয়ম প্রকাশ করে। যুগের প্রয়োজনে পরে এই বানান নানা কারণে পরিবর্তন হয়েছে। অবশ্য, ১৯২৬ খ্রিঃ বিশ্বভারতী রবীন্দ্রনাথ অনুমোদিত একটি বানান রীতি 'প্রবাসী' পত্রিকায় প্রকাশ করে (১৯২৬ এর নভেম্বর - ডিসেম্বরে)। 

বানান সূত্র : বানান অনেকভাবে মনে রাখা যায়। আবার এগুলো অনেকে ছন্দের সাহায্যে, অনেকে নিয়ম মুখস্থ করে বানানের শুদ্ধরূপ মনে রাখে। আমরা এখানে একটি সূত্রের সাহায্যে বানান মনে রাখব। যেটির দ্বারা শতকরা ৮০-৯০ বানান শুদ্ধভাবে লিখতে পারা যাবে। আমরা এটির নাম দিয়েছি "বানান সূত্র"। চলুন দেখা যাক:

বানান সূত্রের ছন্দ কবিতা

দেশ, ভাষা, জাতির নামে কার হয় 'ই'
অপ্রাণি, ইতরপ্রাণিতা-ও জেনেছি,
উভয় ক্ষেত্রে ই- কার নিশ্চিত জানি
সংস্কৃতের স্ত্রী ঈ- কার মানি।
বিদেশি শব্দে 'ষ' হবে না কখনো
তৎসম ভিন্ন শব্দে 'ন' হয় জেনো, 
রেফ থাকলে বর্ণে দ্বিত্ব না-হয়
অন্তে বিসর্গ বর্জন জানিবে নিশ্চয়।
জগৎ- বাচক- বিদ্যা- ত্ব- তা- নী- ণী হলে
শব্দান্তের 'ঈ'  ই- কার হয় লেখক বলে।
(ছন্দটি জিজ্ঞাসা বই থেকে নেওয়া)

এবার 'বানান সূত্র' টি উদাহরণের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যাক— 

১. যে-কোনো দেশ, ভাষা ও জাতির নাম লিখতে ই/ঈ -কার দেওয়ার প্রশ্ন এলে তাতে নিশ্চিন্তে ই-কার (ি) দেয়া যাবে। যেমন— 
  • দেশ : গ্রিস, জার্মানি, চিন, ইতালি, হাঙ্গেরি ইত্যাদি। (ব্যতিক্রমঃ শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ)। 
  • ভাষা : হিন্দি, সাঁওতালি, আরবি, পারসি ইত্যাদি। 
  • জাতি : বাঙালি, পর্তুগিজ, তুর্কি ইত্যাদি। 

২. অপ্রাণিবাচক শব্দে ও ইতরবাচক অতৎসম শব্দের শেষে ই/ঈ -কারের মধ্যে ই- কার হবে। যেমন—
  • অপ্রাণিবাচক শব্দ : বাড়ি, গাড়ি, শাড়ি, চাবি ইত্যাদি। 
  • ইতরবাচক শব্দ : পাখি, হাতি, চড়ুই, মুরগি ইত্যাদি। 

৩. সংস্কৃত বা তৎসম স্ত্রীবাচক শব্দের শেষে সর্বদা ঈ- কার হবে। যেমন— জননী, নারী, স্ত্রী, সাধ্বী ইত্যাদি। 

৪. বিদেশি শব্দের বানান বাংলায় লেখার সময় কখনো 'ষ' লেখা যাবে না। যেমন— ষ্টেশন হবে না, হবে স্টেশন। ষ্টুডিও লেখা যাবে না, স্টুডিও হবে। ফটোষ্ট্যাট হবে না, হবে ফটোস্ট্যাট ইত্যাদি। 

৫. তৎসম বা সংস্কৃত কতিপয় শব্দ ছাড়া অন্য সব শব্দের বানানে 'ণ' হবে না। 'ন' ব্যবহার করতে হবে। যেমন— কর্ণার ভুল, কর্নার সঠিক। কর্ণেল ভুল, কর্নেল সঠিক। বামুণ ভুল, বামুন সঠিক ইত্যাদি।

৬. বানানে যে বর্ণের উপর রেফ থাকবে, সেই বর্ণে দ্বিত্ব হবে না। যেমন— কার্য্যালয় হবে না, হবে কার্যালয়; নির্দ্দিষ্ট হবে না, হবে নির্দিষ্ট; ধর্ম্মসভা হবে না, হবে ধর্মসভা; পর্ব্বত হবে না, হবে পর্বত ইত্যাদি। 

৭. বিস্ময়সূচক অব্যয় (যেমন— বাঃ/ ছিঃ/ উঃ ইত্যাদি) ছাড়া বাংলা কোনো শব্দের শেষে বিসর্গ লেখা যাবে না। যেমন— প্রায়শইঃ / বিশেষতঃ / কার্যতঃ / প্রথমতঃ  ইত্যাদি লেখা যাবে না, লিখতে হবে প্রায়শ/ বিশেষত/ কার্যত/ প্রথমত ইত্যাদি। 

৮. কোনো শব্দের শেষে যদি ঈ- কার থাকে, সেই শব্দের সাথে জগৎ, বাচক, বিদ্যা, সভা, ত্ব, তা, নী, ণী, পরিষদ, তত্ত্ব ইত্যাদি যুক্ত হয়ে যদি নতুন শব্দ গঠন করে, তবে পূর্ববর্তী শব্দের ঈ -কার নবগঠিত শব্দে সাধারণত ই- কারে পরিণত হয়। যেমন— 
প্রাণী + বিদ্যা = প্রাণিবিদ্যা 
প্রাণী + জগৎ = প্রাণিবাচক
মন্ত্রী + সভা = মন্ত্রীসভা 
মন্ত্রী + পরিষদ = মন্ত্রীপরিষদ 
কৃতী + ত্ব = কৃতিত্ব 
স্থায়ী + ত্ব = স্থায়িত্ব 
দায়ী + ত্ব = দায়িত্ব 
প্রতিদ্বন্দ্বী + তা = প্রতিদ্বন্দ্বিতা
সহমর্মী + তা = সহমর্মিতা 
বাগ্মী + তা = বাগ্মিতা 
সঙ্গী + নী = সঙ্গিনী
তপস্বী + নী = তপস্বিনী 
অধিকার + ণী = অধিকারিণী
প্রতিহারী + ণী = প্রতিহারিণী 
আদরী + ণী = আদরিণী ইত্যাদি। 

৯. শব্দে ঊর্ধ্বকমা লেখা যাবে না। যেমন— আগে লেখা হতো (হ'লো) এখন (হলো); আগে (দু'টি) এখন (দুটি); আগে (তা'র) এখন (তার) ইত্যাদি। 

১০. বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে একই নীতিমালায় বাংলা বানান লেখা কর্তব্য। 'ধর্মীয় কারণ' ; বিশেষ বিবেচনা' ; 'বহুল প্রচলিত' ইত্যাদি কারণ দেখিয়ে বিদেশি শব্দের বানান - নীতিমালা জটিল না-করা। যেমন—
আযান > আজান, 
রোযা > রোজা,
নবী > নবি, 
খুশী > খুশি, 
ঈদ > ইদ, 
শহীদ > শহীদ 
স্পীকার > স্পিকার
ইত্যাদি লেখা উচিত। 

'বাংলা' এবং 'বাঙলা' কোন বানানটি গ্রহণযোগ্য : শব্দটির বিবর্তনের ধারা পণ্ডিতজনের মতো মান্য করলে বাঙ্গালা > বাঙলা হয়েছে সে কথাই মনে হয়। কিন্তু প্রাচীন বানানে 'বাঙ্গালা' থাকলেও পরবর্তীকালে এই বানানে 'ঙ' অক্ষুণ্ন থাকে নি। পুরনো পাণ্ডুলিপিগুলো তার প্রমাণ। বাংলা ভাষার প্রধান লেখকগণ, যেমন— ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মীর মশাররফ হোসেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রমথ চৌধুরী, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, শামসুর রাহমান প্রমুখের লেখাতেও 'বাঙলা' বানানটির অস্তিত্ব নেই, তাঁরা সবাই ' বাংলা ' বানান ব্যবহার করেছেন। অতএব বলা যায়, বাঙালা বানানটি বিবর্তনের সময় পণ্ডিতদের মত অনুসারে অঙ্কিত নিয়ম না মেনে অনুস্বর (ং) গ্রহণ করেছে। স্বাধীন 'বাংলাদেশ' বানানেও ' ং' গৃহীত হয়েছে। সংবিধানেও 'ং' দিয়ে 'বাংলা' লেখা। অতএব, 'বাংলা' বানানই মান্য হওয়া উচিত। বাংলাদেশের বাহিরেও 'বাংলা' বানান গৃহীত। বাংলাদেশে এখনো অনেকে শব্দটির পণ্ডিতী বানান (বিবর্তন) মান্য করে 'বাঙলা' বানান লেখেন। সেই ধারা এখন ক্ষীণতর থেকে ক্ষীণতম।

স্ক / ষ্ক সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান : এই সমস্যা বাংলা ব্যাকরণ সংক্রান্ত। সূত্র মনে রাখলে কিছু বানানে এর সমাধান সম্ভব। যেমন— বিসর্গযুক্ত অ –ধ্বনির সঙ্গে সন্ধি হলে বর্ণে সাধারণত 'স' যুক্ত হয় (পুনঃ + কার = পুরস্কার) এবং বিসর্গযুক্ত ই –ধ্বনির সঙ্গে সন্ধি হলে সাধারণত 'ষ' যুক্ত হয় (বহিঃ + কার = বহিষ্কার)। তবে স্ক / ষ্ক সমস্যার সমাধানকল্পে বলা যায় : অ যুক্ত বা মুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত 'স' হয়। যেমন— নমস্কার, পুরস্কার, বনস্পতি, তিরস্কার, বাচস্পতি ইত্যাদি। অন্যদিকে ই –কার যুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত 'ষ' হয়। যেমন— আবিষ্কার, নিষ্কলঙ্ক, পরিষ্কার, নিষ্ফল, নিষ্প্রভ, নিষ্পাপ, নিষ্পন্ন, নিষ্ঠুর, জ্যোতিষ্ক ইত্যাদি। (স্প / স্ত, স্থ থাকলে 'ষ' হয় না। যেমন— নিস্পন্দ / নিস্তব্ধ / দুস্থ ইত্যাদি।) 

বাংলা একাডেমি প্রণীত (১৯৯২) প্রমিত বাংলা বানানের কতিপয় নিয়ম : ১৯৯২ খ্রিঃ বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের বেশকিছু নিয়ম প্রণয়ন করেছে। নিম্নে সেগুলো উল্লেখ করা হলো— 

(১) তৎসম শব্দগুলো সংস্কৃতের যথাযথ বানানে লিখতে হবে। তবে, যে-সব বানানে মূল সংস্কৃত ই –কার ও ঈ –কার এবং উ –কার ও ঊ –কার উভয়ই শুদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করেছে, সে বানানগুলোতে শুধ ই –কার এবং উ –কার ব্যবহৃত হবে। যেমন— সংস্কৃতে পদবী এবং পদবি দুটোই শুদ্ধ বানান। এক্ষেত্রে বাংলায় 'পদবি' গৃহিত হবে। সংস্কৃতে উষা এবং ঊষা দুটোই শুদ্ধ বানান। তবে এক্ষেত্রে বাংলায় 'উষা' গৃহিত হবে। এ রকম আরো উদাহরণ— কিংবদন্তি, শ্রেণি, খঞ্জনি, চিৎকার, ধমনি, ধূলি, পঞ্জি, ভঙ্গি, মঞ্জুরি, মসি, লহরি, সরণি, সূচি, উর্ণা ইত্যাদি। 

(২) ক খ গ ঘ পরে থাকলে পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে অনুস্বার (ং) লেখা যাবে।  যেমন— অহংকার, ভয়ংকর, সংগীত, শুভংকর, হৃদয়ংগম, সংঘটন। বিকল্প ঙ্ লেখা যাবে। ক্ষ -এর পূর্বে সর্বত্র ঙ্ লেখা যাবে। যেমন— আকাঙ্ক্ষা।

(৩) অতৎসম অর্থাৎ নিজস্ব (অর্ধ তৎসম, তদ্ভব, দেশি ইত্যাদি) ও বিদেশি শব্দে সর্বদা ঈ –কার এবং ঊ –কার বর্জিত হবে। যেমন— তরকারি, মুলা, দিঘি, সরকারি, শাড়ি, পশমি, ইমান, কুরান, নিচু, নিচু, ভুখ ইত্যাদি। 

(৪) আলি প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ই –কার হবে। যেমন— সোনালী হবে না, হবে সোনালি ; মিতালী হবে না, হবে মিতালি। এরূপ আরো— বর্ণালি, খেয়ালি, রূপালি, হেঁয়ালি ইত্যাদি। 

(৫) তৎসম শব্দের বানানে ণ–ত্ব বিধানের শুদ্ধতা রক্ষা করতে হবে। অতৎসম শব্দে 'ণ' হবে না, তার বদলে হবে 'ন'। যেমন— অঘ্রান, কান, গুনতি, ঝরনা, ইরান, কুরান, ধরন, সোনা, ইত্যাদি। 

(৬) তৎসম শব্দের বানানে ষ–ত্ব বিধানের শুদ্রদের রক্ষা করতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো শব্দের ক্ষেত্রে সংস্কৃত ষ–ত্ব বিধি প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু সে–সব ক্ষেত্রে ষ –এর ব্যবহার নিষিদ্ধ তা নয়। যেমন— সাল, শহর, হিসাব, শখ, শৌখিন, পোশাক। কিন্তু বোষ্টমি, খ্রিষ্টান ইত্যাদি। 

(৭) ইংরেজি শব্দের প্রতিবর্ণীকরণে S –এর জন্য 'স' এবং Sh, –sion, –ssion, –tion ইত্যাদির জন্য সাধারণত 'শ' ব্যবহার হবে। যেমন : স্টেশন, কমিশন, শার্ট, ফটোস্টাট ইত্যাদি।

'কী' এবং 'কি' এর ব্যবহারে পার্থক্য :
(১) সর্বনাম 
(২) বিশেষণ 
(৩) ক্রিয়া – বিশেষণ 
এই তিনটি পদরূপে বসলে 'কী' লিখতে হবে। যেমন— কী বলছো তুমি? কী করছো? তুমি কীভাবে এতো ভালো রেজাল্ট করছো? কী পড়ছো? কী খেলে? কী আর বলবো? কী জানি? কী যে করি? তোমার কী? এটা কী বই? কীভাবে যাবো? কী বুদ্ধি তোমার? কী আনন্দ! কী দুরাশা! পদ কত প্রকার ও কী কী? কী ছায়া কী মায়া গো! 
কিন্তু অব্যয় পদ হিসেবে যদি ব্যবহার হয় তাহলে 'কি' লিখতে হবে। যেমন— তুমি কি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাও? সে কি ঢাকায় এসেছিলো? তুমি কি বিসিএস পরীক্ষা দিতে চাও? বাংলা কি শ্রুতি মধুর ভাষা? 

'কি' / 'কী' এর উদাহরণসহ ব্যবহার নিচে উল্লেখ করা হলো— 

(১) সর্বনাম হিসেবে 'কী' এর ব্যবহার : 
  • তুমি কী খাবে? (What will you eat?) খাদ্য – নামের পরিবর্তে প্রশ্নসূচক 'কী' একটি সর্বনাম। 
  • আপনার নাম কী? ব্যক্তি – নামের পরিবর্তে প্রশ্নসূচক 'কী' একটি সর্বনাম। 
  • তুমি কীভাবে যাবে? প্রশ্নসূচক 'কীভাবে' (কেমন করে) পদটি সর্বনাম।

(২) বিশেষণ হিসেবে 'কী' এর ব্যবহার : 
  • কী শোভা কী মায়া গো : অপূর্ব শোভা ও পরিপূর্ণ মায়া অর্থে। 
  • বাবা মেয়েকে কী চদর করেন! : খুব আদর অর্থে। 

(৩) অব্যয় হিসেবে 'কি' এর ব্যবহার : 
  • তুমি কি খাবে? (Will you eat?) খেতে ইচ্ছুক অথবা অনিচ্ছুক তা জানতে। 
  • তুমি যাবে কি?
  • জান কি? (কিন্তু কী জান?) 

★ সংশয়সূচক প্রশ্নে অব্যয় হিসেবে 'কি' এর ব্যবহার— 
  • কি জানি! 
  • তাতে আমার সন্দেহ কি!
  • কি ধনী কি নির্ধন! 

এতোক্ষণ যারা কি এবং কী এর নিয়মগুলো বুঝতে পারেন নি বা বুঝলেও ঠিকভাবে আয়ত্ত করতে পারছেন না, তাদের জন্য সহজ ভাষায় টেকনিকের মাধ্যমে কি এবং কী এর ব্যবহার দেওয়া হলো—

বিকল্প টেকনিক : সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া – বিশেষণ, অব্যয় এভাবে চিহ্নিত করে অনেকের পক্ষেই কী এবং কি শুদ্ধভাবে লেখা সম্ভব নয়। যারা কী এবং কি ঠিকভাবে লিখতে পারেন না, তাদের জন্য ছোট্ট একটি পরামর্শ— খেয়াল রাখবেন : কী এবং কি দিয়ে প্রশ্ন করলে যদি মুখে কোনো উত্তর না দিয়ে শুধু মাথা নাড়িয়ে উত্তর দিয়ে প্রশ্নকর্তাকে সন্তুষ্ট করা যায় তাহলে 'কি' লিখতে হবে। যদি মুখ খুলে উত্তর দিতে হয় তাহলে 'কী' লিখতে হবে। যেমন— আপনার নাম কী / কি? এখানে 'কী' হবে। কারণ এই প্রশ্ন উত্তর দিতে হলে আপনাকে মুখ খুলতে হবে। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয় 'আপনি বাড়ি যাবেন কি / কী? এখানে 'কি' হবে। কারণ মাথা নেড়ে হ্যাঁ বা না বলে আপনি সহজেই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post