সাধারণ জ্ঞান : দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কবে জন্মগ্রহণ করেন? — ১৯ শে জুলাই, ১৯৬৩ সালে। 

তিনি কেথায় জন্মগ্রহণ করেন? — কৃষ্ণনগর, নদীয়া। 

তিনি কী নামে অধিক পরিচিত? — ডি.এল রায়। 

ছাত্রাবস্থায় তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের নাম কী? — আর্যগাথা (১৮৮২)।

তাঁর রচিত ইংরেজি কাব্যগ্রন্থের নাম কী? — Lyrics of Ind. 

তিনি কী হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন? — কবি, নাট্যকার ও গীতিকার হিসাবে।

বাংলা নাটকে তাঁর প্রথম কৃতিত্ব কী? — সার্থক দ্বন্দ্বমূলক চরিত্র সৃষ্টিতে। 

তাঁর রচিত সার্থক ঐতিহাসিক নাটকের নাম কী? — 'সাজাহান' (১৯০৯)। এই নাটকটিকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ঐতিহাসিক উপন্যাস বলা হয়৷ 

সম্রাট  সাজাহানকে নিয়ে অনেকে ঐতিহাসিক নাটক রচনা করেছেন। কিন্তু তাদপর মধ্যে প্রথম কে সাজাহানকে নিয়ে নাটক রচনা করেন? — দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। 

তিনি কী হিসেবে স্বকীয়তার পরিচয় দিয়েছেন? — গীতিকার ও সুরকার হিসেবে। 

তিনি কোন বিখ্যাত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন? — পূর্ণিমা সম্মিলন (১৯০৫)।

তাঁর রচনা সমূহ উল্লেখ কর। — আর্যগাথা (১ম খণ্ড - ১৮৮২, ২য় খণ্ড ১৮৯৩), মন্দ্র (১৯০২), আলেখ্য (১৯০৭), ত্রিবেণী (১৯১২) ইত্যাদি। 

'ধনধান্য পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা' গানটির রচয়িতা কে? — দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। 

এটি তাঁর কোন নাটকে ছিল? — 'সাজাহান' নাটকে এই গান ছিল।

তাঁর রচিত ব্যঙ্গ কবিতাগুলো কী কী? — আষাঢ়ে (১৮৯৯), হাসির গান (১৯০০)।

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রচিত কাব্যনাট্যের নাম কী? — পাষাণী (১৯০০)।

তাঁর রচিত ঐতিহাসিক নাটকের নামগুলি কী কী? — প্রতাপসিংহ (১৯০৫), দুর্গাদাস (১৯০৬), মেবার পতন (১৩১৫), নূরজাহান (১৯০৮), সাজাহান (১৯০৯), চন্দ্রগুপ্ত (১৯১১), সিংহল বিজয় (১৯১৬)।

'সাজাহান' নাটকের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। — 'সাজাহান' (১৯০৯) মোগল সম্রাট সাজাহানের জীবন অবলম্বনে রচিত ঐতিহাসিক নাটক। নায়কের করুণ জীবন নাটকটিকে অত্যন্ত জনপ্রিয় করে তুলেছিল। বাংলা নাটকের অন্যতম জনপ্রিয় মঞ্চসফল নাটক এটি। সংলাপে আড়ম্বর, বাকশৈলীর বর্ণাঢ্যতা, আবেগের প্রচন্ডতা ও ঘটনার অতি নাটকীয়তা এই নাটকের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ। মোগল সম্রাট সাজাহানকে নিয়ে ডি.এল রায়ই প্রথম নাটক রচনা করেন।

ডি.এল রচিত 'চন্দ্রগুপ্ত' নাটকের সংক্ষেপে পরিচয় উল্লেখ কর। — ডি.এল রায়ের 'চন্দ্রগুপ্ত' (১৯১১) একটি জনপ্রিয় নাটক। গ্রিক - ভারতীয় সম্পর্কের ইতিহাসের একটি বিশেষ মুহূর্তকে এই নাটকের পটভূমি করা হয়েছে। এই নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র চাণক্যের মধ্যে কাঠিন্য এবং কোমলতার বিপরীত সমাবেশ, দেশপ্রেমের উদ্দীপ্তি এবং ভাষার আড়ম্বর এই ৩ দিক থেকে বাংলা নাটকের ইতিহাসে 'চন্দ্রগুপ্ত' বিশেষভাবে আলোচিত হয়।

দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত সামাজিক নাটকগুলোর নাম কী কী? — পরপারে (১৯১২), বঙ্গনারী (১০১৬), নকশা ও প্রহসন : এক ঘরে (১৮৮৯), কল্কি অবতার (১৮৯৫), বিরহ (১৮৯৭), ত্র্যহস্পর্শ (১৯০০), প্রায়শ্চিত (১৯০২), পুনজন্ম (১৯১১), আনন্দ বিদায় (১৯১২)। 

ডি.এল রায় রচিত রোমান্টিক পৌরাণিক নাটক কী কী? — চন্দ্রগুপ্ত (১৯১১), সিংহল বিজয় (১৯১৬)। 

তিনি কবে মৃত্যুবরণ করেন? — ১৭ই মে, ১৯১৩ সালে।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post