সাধারণ জ্ঞান : আরজ আলী মাতুব্বর [ সত্যের সন্ধান ]


আরজ আলী মাতুব্বর— এর জন্মতারিখ কত? — ১৩০৭ বঙ্গাব্দ এর ৩রা পৌষ (১৯০০ সাল)।

তাঁর জন্মস্থান কোথায় ছিল? — বরিশালের লামচারি গ্রাম।

তিনি মূলত কি ছিলেন? — একজন খ্যাতিমান দার্শনিক।

তাঁর পিতার নাম কী? — এন্তাজ আলী মাতুব্বর।

তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পর্কে পরিচয় দাও। — নিজ গ্রামে মুন্সি আব্দুল করিমের মক্তবে সীতানাথ বসাকের 'আদর্শলিপি' অধ্যয়ন এবং উত্তরকালে নিজের সাধনায় নানা বিষয়ে পারদর্শিতা অর্জন।

তাঁর মূল পেশা কি ছিল। — বাল্যকালে পৈতৃক পেশা কৃষিকাজ করতেন। পটে জমি জরিপের কাজকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন।

তিনি বেশি পরিচিতি পান কিসের মাধ্যমে? — লৌকিক দার্শনিক হিসেবে।

তাঁর রচনার মূল বিষয়বস্তুক কী? — মানবজীবনের চিন্তা—চেতনা এবং ধ্যান—ধারণা।

জগৎ ও জীবন সম্পর্কে তাঁর রচনায় কিসের পরিচয় পাওয়া যায়? — প্রজ্ঞা, মুক্তচিন্তা এবং মুক্তবুদ্ধির। 

তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ উল্লেখ কর। — সত্যের সন্ধান (১৯৭৩); সৃষ্টি রহস্য (১৯৭৮); স্মরনিকা (১৯৮২); অনুমান (১৯৮৩) ইত্যাদি। 

তাঁর 'অনুমান' গ্রন্থের পরিচয় সংক্ষেপে তুলে ধর।
'অনুমান' গ্রন্থে তাঁর মোট ৭ টি প্রবন্ধ আছে। যথা— ফেরাউনের কীর্তি, রাবণের প্রতিভা, ভগবানের মৃত্যু, আধুনিক দেবতত্ত্ব, মেরাজ, শয়তানের জবানবন্দি এবং সমাপ্তি এই সাতটি প্রবন্ধ 'অনুমান' গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে। এটি ১৯৮৩ সালে প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে লেখক তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানের সমন্বয়ে ধর্ম ও সংস্কারে প্রতিষ্ঠিত কতিপয় ধারণার বিরুদ্ধে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন।

অল্প কথার আরজ আলী মাতুব্বর সম্পর্কে তুলে ধর।
আরজ আলী মাতুব্বর বরিশালের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সারাজীবন ধরে তিনি সংগ্রাম করে গেছেন দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে এবং অন্ধ ধর্মবিশ্বাসের বিরুদ্ধে। তিনি আনুষ্ঠানিক কোনো বিদ্যালাভ না করলেও স্বীয় পরিশ্রমে জ্ঞানার্জন করেন এবং ধর্মীয় মূঢ়তার বিরুদ্ধে দাঁড়াবার শক্তি অর্জন করেন। সমকালীন সরকার তাঁর রচনার বিরোধিতা করেছেন এবং মৌলবাদীরা তাঁর কন্ঠস্বর রুদ্ধ করতে চেয়েছেন। সত্যের সন্ধান (১৯৭৩); সৃষ্টি রহস্য (১৯৭৮); স্মরনিকা (১৯৮২) তার মূল্যবান তিনটি গ্রন্থ। এই অসামান্য মানুষটির রচনা সমগ্র (দুইটি খণ্ডে) আইয়ুব হোসেনের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি তাঁর উপার্জিত অর্থ থেকে কি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন? — আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরী।

তিনি প্রাথমিকের মেধাবী শিক্ষার্থীদের কি নামে বৃত্তি দিতেন? — আরজ বৃত্তি (১৩৮৬)। 

তিনি তাঁর দেহখানা কোন মেডিকেল কলেজকে মরণোত্তর দিয়ে যান? — বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ কে।

তাঁর অর্জিত পুরস্কারসমূহ কোনগুলো? — বাংলাদেশ লেখক শিবির কর্তৃক হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার এবং উদীচি শিল্পীগোষ্ঠীর বরিশাল শাখা গতে বরণীয় মণীষী হিসেবে সম্মাননা এবং বাংলা একাডেমি থেকে নববর্ষের সংবর্ধনা জ্ঞাপন লাভ করেন।

তাঁর মৃত্যু তারিখ কত? — ১৩৯২ বঙ্গাব্দ ১লা চৈত্র (১৯৮৫ সাল)।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post