অনুচ্ছেদ : অ্যাম্বুলেন্সে একদিন

অ্যাম্বুলেন্সে একদিন


আমি ছোটবেলা থেকেই অ্যাম্বুলেন্স দেখে আসছি। সাইরেম বাজিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে চলে। সাইরেনের সাথে সাথে অ্যাম্বুলেন্সের ছাদের উপরে লাল রঙের একটি লাইট দ্রুত ঘুরতে থাকে। অ্যাম্বুলেন্স সাধারণত মুমূর্ষু রোগী বহন করে থাকে। এছাড়া মৃতদেহও বহন করে। তাই অ্যাম্বুলেন্স দেখলেই আমার মৃত্যুর কথা মনে পড়ে। আমি আগে কখনো অ্যাম্বুলেন্সে উঠিনি। কিন্তু কয়েকদিন আগে আমার নানু অসুস্থ হয়ে পড়াউ আম্মুর সাথে নানুকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে হাসপাতাল্র যেতে হয়। অ্যাম্বুলেন্স দেখে প্রথমে আমার একটু ভয় ভয় করছিল। কিন্তু নানুর অসুস্ততা দেখে ভয়ের কথা আর মনেই পড়েনি। অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে রোগীর শোয়ার জন্য একটা লম্বা সিট রয়েছে। আম্মু বসেছিল নানুর মাথার কাছে আর আমি পায়ের কাছে।  নানু যন্ত্রনায় ছটফট করছিল। আর আম্মু পাশে বসে কাঁদছিল। তা দেখে আনার খুব কান্না পাচ্ছিল। নানুর খারাপ অবস্থা দেখে আম্মু চালকক্র দ্রুত গাড়ি চালাতে বলছিল। চালকও খুব দ্রুত গাড়ি চালাচ্ছিল। হঠাৎ আমাদের অ্যাম্বুলেন্সট জ্যামে আটকা পড়ে যায়। আমরা চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ে গেলাম। কিছুই করতে পারছি না। মানসিকভাবে যন্ত্রণা হচ্ছে। আর বারবাত বাইরে তাকাচ্ছি কখন জ্যাম ছাড়ে। সে অবস্থার কথা বলে বোঝানো যাবে না। এরই মধ্যে জ্যাম ছেড়ে যায়। অ্যাম্বুলেন্সটি চলতে থাকে। প্রায় এক ঘন্টা পর অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালের সামনে গিয়ে থামে। নানুকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে স্ট্রেচার করে হাসপাতালের ভেতর নেয়া হয়।  অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে এই একটি ঘন্টার কথা আমি কখনো ভুলব না।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post