সাধারণ জ্ঞান : শর্করা, আমিষ

খাদ্য ও পুষ্টি
(Food & Nutrition)

↬ শর্করা (Carbohydrate) 
↬ আমিষ (Protein)

একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক শর্করার চাহিদা তার দেহের প্রতি কিলোগ্রাম ওজনের কত গ্রাম? — ৪.৬ গ্রাম।

কার্বোহাইড্রেটে C, H, O — এর অনুপাত কত? — ১ : ২ : ১ 

শর্করা জাতীয় খাদ্যের উদাহরণ — চাল, গম, আলু, ভুট্টো, চিনি, গুড়, মধু, সাগু, বার্লি, সবজি ইত্যাদি। 

মানবদেহে প্রায় কত গ্রাম শর্করা জমা থাকতে পারে? — ৩০০—৪০০ গ্রাম।

একজন ৬০ কেজি ওজনের লোকের দৈনিক শর্করা চাহিদা কত হতে পারে? — ২৭৬ গ্রাম। (সমাধান: ৬০×৪.৬ = ২৭৬ গ্রাম)

রাসায়নিক গঠন অনুসারে শর্করাকে কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে? — ৩ ভাগে। যথা— মনোস্যাকারাইড, ডাইস্যাকারাইড, ডাইস্যাকারাইড এবং পলিস্যাকারাইড। 

মনোস্যাকারাইড কী? — ১ অণু বিশিষ্ট শর্করা। (উদাহরণ— গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, গ্যালাকটোজ ইত্যাদি।)

ডাইস্যাকারাইড হলো — দুই অণু বিশিষ্ট শর্করা। (উদাহরণ— সুক্রোজ, ল্যাক্টোজ, ম্যালটোজ ইত্যাদি।) 

ইক্ষুচিনি বা বিটচিনি বলা হয় — সুক্রোজকে।

পলিস্যাকারাইড কাকে বলে? — বহু অণু বিশিষ্ট শর্করা কে পলিস্যাকারাইড বলে। উদাহরণ— গ্লাইকোজেন, স্টার্চ, সেলুলোজ ইত্যাদি। 

রাফেজ কাকে বলে? — শস্যদানা, ফল ও সবজির কিছু যা হজম বা পরিপাক হয় না এমন তন্তুময় বা আঁশযুক্ত অংশকে রাফেজ বলে। 

মানবদেহে মল তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে কোনটি? — রাফেজ।

Constipation শব্দের বাংলা অর্থ — কোষ্ঠকাঠিন্য। 

মিষ্টি আলু কোন ধরনের খাদ্য? — শ্বেতসার।

সুক্রোজ গঠিত হয় — ১ অণু গ্লুকোজ এবং ১ অণু ফ্রুক্টোজ দ্বারা।

আমিষ কয়টি মৌলের সমন্বয়ে তৈরি হয়? — চারটি।

কোন চারটি মৌলোর সমন্বয়ে আমিষ তৈরি হয়? — কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন।

আমিষ পরিপাক হয়ে কিসে পরিণত হয়? — অ্যামাইনো এসিডে।

মানব শরীরে কয় ধরনের অ্যামাইনো এসিড আছে? — ২০ ধরনের।

আমিষ গঠনের একক কোনটি? — অ্যামাইনো এসিড।

মানবদেহের অপরিহার্য অ্যামাইনো এসিড কতটি? — ৮ টি। 

উৎসের বিবেচনায় আমিষ কত প্রকার? — ২ প্রকার। যথা— প্রাণিজ এবং উদ্ভিজ্জ। 

প্রাণিজ আমিষের উদাহরণ কোনগুলো? — মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ছানা, পনির ইত্যাদি। 

উদ্ভিজ্জ আমিষের উদাহরণ কোনগুলো? — শিম, বরবটির বীজ, বিভিন্ন প্রকার ডাল ইত্যাদি। 

খেসারি ডাল খেলে কোন রোগটি হয়ে থাকে? — ল্যাথারাইজম।

খেসারি ডালের কোন অ্যামাইনো এসিড টি ল্যাথারাইজম রোগের জন্যে দায়ী? — BOAA নামক এক ধরনের অ্যামাইনো এসিড।

আমিষের অভাবে শিশুদের শরীরে কোন রোগ হয়? — কোয়াশিয়রকর এবং মেরাসমাস। 

প্রোটিনের মূল উপাদান কোনটি? — নাইট্রোজেন।

প্রোটিনের মৌলিক ইউনিট বলা হয়? — অ্যামাইনো এসিডকে।

কোলাজেন কি? — একটি প্রোটিন।

১০০ গ্রাম খাবারে আমিষের পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়? — শুটকী মাছ।

আমিষের সহজলভ্য উৎস হলো — সামুদ্রিক মাছ।

শিমের বিচি কোন ধরনের খাদ্য? — আমিষ।

প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিনে আমিষ থাকে? — ৩৬.৪৯ গ্রাম।

মানবদেহের অপরিহার্য অ্যামাইমো এসিডগুলো হলো — ভ্যালিন, লিউসিন, আইসো লিউসিন, ফিনাইল এলানিন, লাইসিন, থ্রিয়োনিন, মিথিয়োনিন এবং ট্রিপটোফেন।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post