সাধারণ জ্ঞান : বাংলা সাহিত্যের অবক্ষয় বা অন্ধকার যুগ

অবক্ষয় বা অন্ধকার যুগ

অন্ধকার যুগের সমবয়সীমা কত থেকে কত? — ১২০১ থেকে ১৩৫০ পর্যন্ত।

অন্ধকার যুগকে আর কি কি নামে ডাকা হয়? — অবক্ষয় যুগ / প্রায় শূন্যতার যুগ / যুগ সন্ধিক্ষণ।

যুগ সন্ধিক্ষণের কবি বলা হয় কাকে? — ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।

‘নগরের লোক সব এই কয় মাস
তোমার কৃপায় করে মহাসুখে বাস’
— কোন কবিতার অংশবিশেষ? — তপসে মাছ (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর)

হিন্দু সমাজে কবিগানের রচয়িতাদের কি বলা হতো? — কবিওয়ালা।

মুসলমান সমাজে মিশ্র ভাষারীতির পুঁথি রচয়িতাদের কি নামে ডাকা হতো? — শায়ের।

কবিওয়ালা এবং শায়েরের উদ্ভব ঘটে কত শতকে? — আঠারো শতকের শেষার্ধে ও উনিশ শতকের প্রথমার্ধে।

অবক্ষয় যুগের সাহিত্য কে কয়ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি? — অবক্ষয় যুগের সাহিত্যকে মূলত ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: কবিগান ও পুঁথিসাহিত্যে।

কবিগান কিভাবে অনুষ্ঠিত হতো? — দুই পক্ষের বির্তকের মাধ্যমে।

কবিগানের আদি গুরু বলা হয় কাকে? — গোঁজলা গুঁই।

পুঁথিসাহিত্যের ভাষা মিশ্রণ কোনটি ছিলো? — আরবি-ফারসি।

পুঁথিসাহিত্যের বাকি অপর নামগুলো কি কি? — দোভাষী পুঁথি / বটতলার পুঁথি।

পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সার্থক ও জনপ্রিয় কবি কে ছিলেন? — ফকির গরীবুল্লাহ।

টপ্পাগান মূলত একধরনের? — গান।

টপ্পাগানের আদর্শ কি ছিলো? — হিন্দি।

বাংলা টপ্পাগানের জনক কে ছিলেন? — নিধু বাবু বা রামনিধি গুপ্ত।

পাঁচালি রচয়িতাদের মধ্যে শক্তিশালী কবি কে ছিলেন? — দাশরথি রায়।

দাশরথি রায় কি নামে পরিচিত ছিলেন? — দাশুরায়।

শ্যামা সঙ্গীত মূলত এক ধরনের? — ভক্তিগীতি।

শ্যামা সঙ্গীতের অপর নাম কি? — শাক্ত পদাবলি বা শাক্তগীতি।

বাংলা সাহিত্যে 'শ্যামাসঙ্গীত' নামে একটি বিশেষ সঙ্গীতধারা কার হাত ধরে গড়ে ওঠে? — কবি রামপ্রসাদ সেন।

বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের শেষ কবি কে ছিলেন? — ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর।

‘লও তুমি যত পার, শাস্ত্রের সন্ধান’ — কার লেখা? — ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।

সৈয়দ আলী আহসান প্রায় শূন্যতার যুগ বলেছেন কোন সময়কে? — (১৭৬০– ১৮৬০) খ্রি.।

কবিগানের রচয়িতারা ছিলো? — নিম্নবর্ণের হিন্দু।

কবি গান রচয়িতা এবং গায়ক উভয় হিসেবেই পরিচিত ছিলেন? — রামবসু ও ভোলা ময়রা।

এন্টনি ফিরিঙ্গি কি জাতীয় সাহিত্যের রচিয়িতা? — কবিগান।

পুঁথি সাহিত্য বলতে বুঝায়? — ইসলামী চেতনা সম্পৃক্ত।

আমীর হামজা কাব্য রচনা করেন কে? — ফকির গরীবুল্লাহ।

— মূলত এক ধরনের? — টপ্পা গান।

শূন্যপুরাণ কী? — রামাই পন্ডিত রচিত বৌদ্ধ ধর্মীয় তত্ত্বের গ্রন্থ।

সেক শুভোদয়া কি? — হলায়ুধ মিশ্র রচিত পির মাহাত্ম্য–ব্যঞ্জক কাব্য।

শূন্যপুরান গ্রন্থটি মোট কতটি অধ্যায়ে বিভক্ত? — ৫১ টি।

সেক শুভোদয়া কাব্যে মোট কতটি অধ্যায় আছে? — ২৫ টি।

সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় Dog Sanskrit বলে অভিহিত করেছেন? — সেক শুভোদয়া কে।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post