মার্চের দিনগুলি

প্রতিবেদন : বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই

মনে করো, তুমি রংপুর অঞ্চলের ‘দৈনিক প্রথম আলো’ পত্রিকার প্রতিনিধি। বছরের প্রথম দিনে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বই বিতরণের ওপর একটি সংবাদ প্রতিবেদন রচনা করো।

অথবা, মনে করো, তুমি হোমনা অঞ্চলের ‘দৈনিক প্রথম আলো’ পত্রিকার প্রতিনিধি। বছরের প্রথম দিনে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বই বিতরণের ওপর একটি সংবাদ প্রতিবেদন রচনা করো।

অথবা, একটি জাতীয় দৈনিকের স্থানীয় সাংবাদিক হিসেবে বই বিতরণের ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করো।


বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই


নিজস্ব প্রতিবেদক : রংপুর : ১লা জানুয়ারি, ২০১৮ : নতুন বছরের প্রথম দিন দেশব্যাপী উদ্‌যাপিত হলো ‘পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব’। এ উৎসবের আওতায় দেশের প্রতিটি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২৮ জন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হলো ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৬০টি নতুন বই। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা যায়, নানা প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে এনসিটিবি নতুন বছরে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর হাতে বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সমন্বিতভাবে সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক সুষ্ঠুভাবে বই বিতরণের কাজ করেছে। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি, উচ্চপদস্ত কর্মকর্তারা এই পাঠ্যপুস্তক বিতরণী কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ঢাকা মহানগরীতে এবার প্রধান প্রধান স্কুলকে কেন্দ্র করে পাঠ্যপুস্তকের বিতরণ কার্যক্রম চালানো হয়। এসব স্কুলের প্রধানরা তাঁদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান এবং ওই এলাকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বই বিতরণ কার্যক্রম মনিটরিং ও সমন্বয় করেন।

শিক্ষামন্ত্রীর সার্বক্ষণিক তৎপরতা ও আন্তরিকতায় পাঠ্যপুস্তকের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এনসিটিভির সম্পাদনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, শিক্ষামন্ত্রী জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কার্যালয়ে একাধিকবার অনির্ধারিত সফরে এসে পাঠ্যপুস্তক বিষয়ক সব কর্মকাণ্ডের সমস্যা ও অগ্রগতির ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়েছেন।


একই প্রতিবেদন আরেকবার সংগ্রহ করে দেওয়া হলো


নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা : নতুন বছরের প্রথম দিন দেশব্যাপী উদযাপিত হলো 'পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস'। এ উৎসবের আওতায় দেশের প্রতিটি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ কোটি ২২ লাখ ৩৬ হাজার ৩২১ জন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হলো ২৩ কোটি ২০ লাখ নতুন বই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা যায়, নানা প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে এনসিটিবি নতুন বছরে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেয়।

এনসিটিবি সূত্র জানিয়েছে, মাঠ পর্যায়ে বই বিতরণ গতবারের সৃষ্টি হওয়া সব ধরনের বাধা-বিপত্তি, অনিয়ম ও সমন্বয়হীনতা রোধ করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশেষ টাস্কফোর্স মাঠে ছিল চোখে পড়ার মতো।

অভিযোগ রয়েছে, পাঠ্যপুস্তক ছাপা ও বাঁধাই শেষের এই পর্যায়ে এসে কয়েকটি অসাধু চক্র নানাভাবে জটিলতা সৃষ্টি করে বিলম্ব তৈরির চেষ্টা করছে, যাতে কাজটি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সময়মতো সম্পন্ন না করতে পারে। আন্তর্জাতিক দরপত্রে (ভারতীয়) ছাপানো বই বাংলাদেশে প্রবেশ এবং সরবরাহের জটিলতা সৃষ্টি ও নাশকতার আশঙ্কা করছে এনসিটিবি।

এনসিটিবির সূত্রে জানা যায়, নতুন শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরে পাঠ্য বই ছাপা হয়েছিল ১২ কোটি ৭৫ লাখ ২ হাজার ৭৫৯ কপি। অন্যদিকে প্রাথমিক স্তরে এ সংখ্যা ১০ কোটি ৪৮ লাখ ৬হাজার ৪৫৭ কপি। ছাপা ও বাঁধাইকৃত পাঠ্যপুস্তকের সিংহভাগই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সঠিক সময়ে পৌঁছে যায়।

শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সমন্বিতভাবে সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক সুষ্ঠুভাবে বিতরণের কাজ করেছেন। বিভিন্ন জেলা উপজেলা মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তরা এই পাঠ্যপুস্তক বিতরণী কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ঢাকা মহানগরীতে এবার প্রধান প্রধান স্কুলকে কেন্দ্র করে পাঠ্যপুস্তকের বিতরণ কার্যক্রম চালানো হয়। এসব স্কুলের প্রধানরা তাঁদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান এবং ওই এলাকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বই বিতরণ কার্যক্রম মনিটিরিং ও সমন্বয় করেন।

অন্যদিকে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের আগেই কিছু অসাধু চক্রের কল্যাণে বাজারে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকের নকল কপি বাজারে চলে এসেছে বলে এনসিটিবি সূত্র নিশ্চিত হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বই নকলকারী ও অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল। তারই জের ধরে গত সপ্তাহে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ে গভীর রাতে রাজধানীর নিউমার্কেট, বাংলাবাজার, লক্ষ্মীবাজার, সূত্রাপুর, কোতোয়ালিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঠ্যপুস্তক অবৈধভাবে আগাম ছাপিয়ে বিক্রির আলামত পায় এনসিটিবি। নকল বই ছাপা ও বিক্রি করাত অপরাধে তাৎক্ষণিকভাবে দু জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শিক্ষামন্ত্রীর সার্বক্ষণিক তৎপরতা ও আন্তরিকতায় পাঠ্যপুস্তকের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এনসিটিবির সম্পাদনা বিভাগের উর্ধবতন এক কর্মকর্তা জানান, শিক্ষামন্ত্রী জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কার্যালয়ে একাধিকবার অনির্ধারিত সফরে এসে পাঠ্যপুস্তক বিষয়ক সব কর্মকান্ডের সমস্যা ও অগ্রগতির ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়েছেন।

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post