মার্চের দিনগুলি

অনুচ্ছেদ : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১


বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ (বিএস -১), বিসিএসসিএল পরিচালিত প্রথম বাংলাদেশী জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট। বিএস -১ এ অগ্রাধিকার স্যাটেলাইট অ্যাপ্লিকেশনগুলি হ'ল (১) Direct to Home (DTH) (২) VSAT (৩) Backhaul and Trunking (৪) নেটওয়ার্ক পুনরুদ্ধার (৫) দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ত্রাণ। এই ক্ষেত্রগুলি দ্বারা, বাংলাদেশ এখন বিদেশী উপগ্রহের উপর নির্ভরশীল। যা আমাদের প্রতি বছর প্রায় ১৪ মিলিয়ন ব্যয় হয়। এই বিশাল ব্যয়টি এড়ানো হবে এবং আরও কিছু ফ্রিকোয়েন্সি ব্রডব্যান্ড ভাড়া করে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে আয় করব। প্রাথমিক পরিষেবা অঞ্চল (PSA): একবার চালু হওয়ার পরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এই বার্ষিক ব্যয় সাশ্রয় করবে এবং তার সার্কভুক্ত দেশগুলির অর্ধেক, পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, তুর্কমেনিস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তানের মতো দেশগুলিকে অর্ধেক ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আনবে যদি ফ্রিকোয়েন্সিগুলি সঠিকভাবে সমন্বিত হয়। টেলিকম নিয়ন্ত্রক সাত বছরের আয়-ব্যায় সমতায় আসবে বলে আশা করছেন। উপগ্রহটি ডিজিটাল বিভাজনকে সংকুচিত করবে, কারণ এটি গ্রামীণ অঞ্চলে সম্প্রচার এবং টেলিযোগাযোগ পরিষেবাগুলি গ্রহণে সহায়তা করবে এবং সারা দেশে সরাসরি ঘরে ঘরে পরিষেবার মতো কিছু লাভজনক উদ্যোগ চালু করতে সহায়তা করবে।


একই অনুচ্ছেদ আবার সংগ্রহ করে দেওয়া হলো


(মনুষ্যনির্মিত) স্যাটেলাইট (উপগ্রহ) বলতে পৃথিবী কিংবা অন্য কোনো গ্রহের কক্ষপথে প্রদক্ষিণরত কৃত্রিম বস্তুকে বোঝায় যা যোগাযোগের নিমিত্তে তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে কক্ষপথে স্থাপিত হয়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রথম বাংলাদেশি জিওস্টেশনারি (ভূ-সমলয়) যোগাযোগ স্যাটেলাইট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামানুসারে স্যাটেলাইটির নামকরণ করা হয়। থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্কেস এটি নকশা ও প্রস্তুত করে এবং এর উৎক্ষেপর হলো স্কেস-এক্স। ২০১৮ সালের ১১ মে এটি উৎক্ষেপিত হয়। এর উৎক্ষেপন কেন্দ্র ছিল আমেরিকার ফ্লোরিডার মেরিট অ্যাইল্যান্ডের কেনেডি স্কেস সেন্টার এবং এর ভূস্থিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হলো বাংলাদেশের রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়া ও গাজীপুর। স্যাটেলাইটটি ১১৯.১০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের জিওস্টেশনারি স্লট এ অবস্থিত। ৩৭০০ কেজি ভরবিশিষ্ট এবং দুটি বিস্তৃত সোলার অ্যারে কর্তৃক শক্তিপ্রদত্ত স্যাটেলাইটটির প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ১৫ বছর। স্যাটেলাইটটি টেলিভিশন ব্রডকাস্টের জন্য ক-ব্যান্ড এবং ঈ-ব্যান্ড প্রদান করবে এবং বাংলাদেশসহ এর আশেপাশের এলাকাসমূহে ডাটা রিলে সার্ভিস প্রদান করে। বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় স্যাটেলাইটটি আমূল পরিবর্তন এবং নিরবিচ্ছিন্ন প্রবাহ আনয়ন করবে। বর্তমানে দেশের টেলিভিশন চ্যালেনগুলোকে চীন, ভারত ও সিঙ্গাপুরের স্যাটেলাইটসমূহ থেকে ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ব্যান্ডউইথ ভাড়া করতে হয়। আশা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ শুধু এই অর্থই সাশ্রয় করবে না বরং অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ অন্যান্য দেশের কাছে ভাড়া দিয়ে বিপুল অর্থও আয় করবে। তাছাড়া, স্যাটেলাইটটির কারণে বাংলাদেশের আরও কিছু ক্ষেত্র যেমন- টেলিমিডিসিন, ই-লার্নিং, ভিডিও কনফারেন্স, নিরাপত্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনারও উন্নয়ন সাধিত হবে। বাংলাদেশ কর্তৃক বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ দুটিই আনবে কেননা আশা করা হচ্ছে এটি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে ভূমিকা পালন করবে আর ঝুঁকি সামলিয়ে প্রকল্পটি পরিচালনাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

4 Comments

  1. আচ্ছা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ অনুচ্ছেদটি এইটুকু? অনুচ্ছেদ এইটুকু লিখলে হবে?

    ReplyDelete
    Replies
    1. অনুচ্ছেদ হচ্ছে, ইংরেজি paragraph এর মত। এক প্যারার মধ্যেই লিখতে হয়। ১০০ - ১৫০ শব্দই যথেষ্ট।

      Delete
  2. মুজিব বর্ষ নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ দিলে ভালো হয়

    ReplyDelete
  3. Bhalo but amader aro dorkar 😊😊

    ReplyDelete
Post a Comment
Previous Post Next Post