অনুচ্ছেদ : সততা

সততা


সততা পরম দুঃখ কষ্টে অর্জিত ধন। সততা একটি পরম গুণ। একমাত্র সততার দ্বারাই প্রতিষ্ঠা লাভ সম্ভব। এ পৃথিবীতে ভালো-মন্দ, সৎ-অসৎ, সত্য-মিথ্যা পাশাপাশি বিরাজমান। জীবনে প্রকৃত ও স্থায়ী সাফল্য লাভ করতে হলে সৎ পথে জীবন চালিত করাই উত্তম কাজ। এখানে সাধু ও সৎ পথের যাত্রী যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মিথ্যা ও অসৎ পথের যাত্রী। সজ্ঞানে ও সতর্কতার সঙ্গে অসৎ পথ পরিহার করতে হবে, কারণ সিদ্ধি লাভে সৎ পথের কোনো বিকল্প নেই। জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে সততার মূল্য সবকিছুর ঊর্ধ্বে। একজন সৎ লোকই সবার কাছে বিশ্বস্ত ও শ্রদ্ধাভাজন হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় অনেকে অসৎ পথে চলেও বিরাট উন্নতি সাধন করেছে। কিন্তু মনে রাখা উচিত তার এ উন্নতি সাময়িক ও ক্ষণস্থায়ী; তাসের ঘরের মতো যেকোনো মুহূর্তে তা ভেঙে যেতে পারে। অসৎ পথে অর্জিত সাফল্য একদিন না একদিন ধ্বংস হবেই। অসৎ পথের যাত্রী টাকার জোরে সম্মান ও প্রতিপত্তি লাভ করলেও মানুষ মনে মনে তাকে ঘৃণা করে। অন্যদিকে সৎ পথের যাত্রী শত দুঃখ-কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করুক না কেন, মানুষের কাছে সে শ্রদ্ধার পাত্র। ব্যবসায়-বাণিজ্য, রাজনীতি, সমাজনীতি ইত্যাদি যেকোনো ক্ষেত্রে একমাত্র সৎ পথের ব্যক্তিই পরিণামে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে আরোহণ করতে পারে। মহৎ কাজ করতে গেলে ও সৎ পথে চলতে গেলে হাজার দুঃখ-কষ্ট এসে আমাদের পথ রোধ করে দাঁড়াবে। কিন্তু এসব দুঃখ-কষ্টকে বাধা হিসেবে না মেনে, সত্যের পথ পরিত্যাগ না করে কর্মক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়া উচিত। মনে রাখা দরকার যে, একদিন না একদিন সততার জন্য এবং অসততার পরাজয় হবেই। মানবজীবনে চলার পথে সততা সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা বা নীতি এতে কোনো সন্দেহ নেই। সুতরাং বলা হয়, Honesty is the best policy.


একই অনুচ্ছেদ আরেকবার সংগ্রহ করে দেয়া হলো


সত্যের অনুসারী মানুষের সৎ থাকার প্রবণতাই হচ্ছে সততা। কোনো প্রকার পাপের কাজ থেকে দূরে থেকে ন্যায় ও সত্যের প্রতিফলন ঘটিয়ে চরিত্রের বিকাশ ঘটাতে পারলে তাতে সততার যথার্থ পরিচয় পাওয়া যায়। এটি মানব চরিত্রের মহৎ গুণ। জীবন সার্থক করার একটি চমৎকার পন্থা। একই সাথে আত্মতৃপ্তির একটি অনন্য পথরেখা হিসেবে সততা মানব চরিত্রের উজ্জ্বল অলংকার। এর চর্চা মানব জীবনকে পৌঁছে দিতে পারে সফলতার দ্বারপ্রান্তে। তবে বাস্তবজীবনে আমরা এই গুণ সঠিকভাবে আয়ত্ব করতে পানি না। সত্য পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে, স্বার্থসিদ্ধিকে প্রাধান্য দিয়ে করি নানা অনাচার। আর পরিণামে তাই হারাই সুখ-শান্তি ও বঞ্চিত হই সুন্দর জীবনের স্বাদ থেকে। তবু জীবনকে সততার সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ, সততার অন্তর্নিহিত গুণ মানুষের জীবনকে সুন্দর ও সার্থক করে। আর সুন্দর জীবন সকলেরই কাম্য। সেজন্য সততার অনুশীলন করতে হবে এবং জীবনে তার প্রতিফলন ঘটিয়ে যথার্থ মনুষ্যত্বের অধিকারী হতে হবে।


একই অনুচ্ছেদ আরেকবার সংগ্রহ করে দেয়া হলো


সততা শব্দের অর্থ ‘সাধুতা’ বা ‘ন্যায়পরায়ণতা’। মানব চরিত্র গঠনের গুণাবলীগুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি গুণ হচ্ছে সততা। সততা একটি মহৎগুণ। এই গুণ অর্জনের চেষ্টা ও চর্চা একজন মানুষকে পৌঁছে দিতে পারে মর্যাদা ও গৌরবের শ্রেষ্ঠতম স্থানে। যে ব্যক্তি নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলস অনুশীলনের মাধ্যমে এই মহৎগুণ অর্জন করতে পারেন, তিনিই সমাজে আদর্শ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। অন্যায় ও অবৈধ কাজ না করে, ন্যায় ও সত্যের পথে জীবন পরিচালনা করাই সততার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। জীবনকে সফল ও সার্থক করার প্রধান উপায় হলো সততা। সৎ চিন্তা ও সৎ কাজের মধ্য দিয়েই বিকাশ ঘটে সততার মতো মহৎগুণ। সৎগুণ সম্পন্ন মানুষ কখনও অসৎ কিংবা মন্দকাজে লিপ্ত থাকতে পারে না। সৎ লোক চরিত্রবান ও মহৎ হয়ে থাকে। সৎ লোক সমাজে বিশ্বাসভাজন হয়। সততা মানুষকে নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান করে তোলে। সৎ ব্যক্তি অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথানত করে না। মানব জীবনে তাই সততার গুরুত্ব অপরিসীম। সৎ লোকের সততার প্রভাবে-প্রভান্বিত হয়ে অসৎ-মন্দলোক তার জীবনের গতি পরিবর্তন করতে পারে। সুখী, সমৃদ্ধ ও সুন্দর জীবন যাপনের জন্য সকলেরই সততা অর্জনে ব্রতী হতে হবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সততার পরিচয় দেয়া একান্ত দরকার। সততা মানব জীবনের অলংকার স্বরূপ। জীবনের সকল কাজে সততার প্রতিফলন ঘটিয়ে যথার্থ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post