অতিথি পাখি
বা, পরিযায়ী পাখি
হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে প্রতি বছর শীতকালে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে অতিথি পাখি এ দেশে আসে আশ্রয়ের সন্ধানে। এসব পাখি একদিকে যেমন আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধিত করে, অন্যদিকে প্রকৃতির ভারসাশ্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা যেমন অতিথিদের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ আচরণ করি, তেমনি এ পাখিগুলো আমাদের অতিথি বলে এদের সাথেও আমাদের সৌহার্দপূর্ণ আচরণ করা উচিত। কিন্তু একশ্রেণির অসাধু সাংসলোভী লোক এবং ব্যবসায়ী নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থসিদ্ধির জন্য এসব পাখি শিকার করে খায় এবং বিক্রি করে। ভবতে অবাক লাগে যে, হাজার হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে যে পাখিরা আসে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য, তারাই তাদের অস্তিত্ব বিসর্জন দেয় হৃদয়হীন লোকদের খাবার টেবিলে। অথচ মানুষের কর্তব্য অতিথি পাখিদের অভ্যর্থনা জানানো। তাদের জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করা। তাদের আশ্রয়কালীন সময়টুকুকে নিরাপদ ও আনন্দময় করে তোলা। এজন্য মানুষকে তার লোভ ও রসনা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিচিত্র ধরনের এসব পাখি যেন কারও লোভের শিকার হতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য মানুষের প্রয়োজন আরও সজাগ এবং সচেতন হওয়া। পাখিরা পাখনায় ভর করে যে সুদূরের গন্ধ নিয়ে আসে তাকে স্তব্ধ করার অধিকার কোনো সভ্য মানুষের নেই। তাই শীতের অতিথি পাখিদের সংরক্ষণের ব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে। একইসাথে শিকারিদের দমন করতে জরুরিভিত্তিতে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
একই অনুচ্ছেদ আরেকবার সংগ্রহ করে দেয়া হলো
প্রতিবছর শীতকালে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে অসংখ্য পাখি আমাদের দেশে আসে। এগুলো পরিযায়ী বা অতিথি পাখি হিসেবে পরিচিত। অতিথি পাখিরা শীতপ্রধান দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে এদেশে আসে। প্রধানত সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, তিব্বত, হিমালয়ের পাদদেশসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে কয়েক মাসের জন্য আসে অতিথি পাখিরা। তীব্র শীতের প্রকোপ ও খাদ্যাভাব থেকে বাঁচার জন্য এদেশে আশ্রয় খুঁজে নেয় এরা। এসব পাখির মধ্যে অধিকাংশই জলচর। প্রাকৃতিক লীলা-বৈচিত্র্যের এ দেশের ভারসাম্য রক্ষায় অতিথি পাখিদের অবদান অনেক। অতিথি পাখিরা আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, এসব পাখি দেখার জন্য এদেশে আগমন ঘটে পর্যটকদের। ফলে অতিথি পাখি সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু কতিপয় লোভী মানুষ নির্বিচারে অতিথি পাখি শিকার করে, যা অনৈতিক। যে পাখিরা বেঁচে থাকার তাগিদে এদেশকে নির্ভরযোগ্য মনে করে ছুটে আসে তাদেরই আমরা শিকার করার আনন্দে মেতে উঠি। তখন বাঙালির অতিথিপরায়ণতার রূপটি হয়ে ওঠে কুৎসিত। অতিথি পাখিদের আমাদের অতিথির মতোই সাদরে গ্রহণ করা উচিত। তাদের জন্য তৈরি করা উচিত অভয়ারণ্য। এ অতিথি পাখিরা শুধু আমাদের দেশে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেই আসে না, তারা নিয়ে আসে সাম্য ও মৈত্রীর বার্তা। অতিথি পাখিরা আমাদের সামনে কাঁটা-তারমুক্ত অবাধ পৃথিবীতে বিচরণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে যায়। বিশ্বায়নের যুগে এই বার্তাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের অতিথি পাখি সংরক্ষণে বিশেষ সচেতন হতে হবে, দমন করতে হবে অতিথি পাখি শিকারিদের। সরকারের উচিত পাখি নিধন রোধকল্পে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
একই অনুচ্ছেদ আরেকবার সংগ্রহ করে দেয়া হলো
অতিথি পাখি সেইসব পাখি, যারা প্রতিবছর শীতকালে শীতপ্রধান দেশ থেকে উষ্ণ পরিবেশের খোঁজে আমাদের দেশে আসে। বাংলাদেশে শীতকাল হচ্ছে অতিথি পাখিদের জন্য একটি নিরাপদ ও আরামদায়ক আশ্রয়স্থল। তারা হাওর, বিল, নদী, পুকুর ও জলাশয়ে দল বেঁধে ঘোরাফেরা করে। এই পাখিগুলো দেখতে খুবই সুন্দর। এদের ডাক মনকে করে তোলে প্রশান্ত ও আনন্দিত। বালিহাঁস, পাতি সরালি, গুটিপ্যাঁচা—এ ধরনের পাখি বেশি দেখা যায়। তারা এখানে কিছুদিন থাকে, ডানা মেলে উড়ে বেড়ায় এবং প্রকৃতিকে করে তোলে আরও জীবন্ত ও প্রাণবন্ত। তবে দুঃখজনকভাবে কিছু মানুষ অতিথি পাখি ধরে শিকার করে, যা প্রকৃতির ভারসাম্যের জন্য ক্ষতিকর। অতিথি পাখিরা আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অংশ, তাই আমাদের উচিত তাদের রক্ষা করা। অতিথি পাখি শুধু প্রকৃতির নয়, মানবজাতির অতিথিও। তাদের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ দেখানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
WHAT A GOOD PARAGRAPH!!!
ReplyDeleteI AM IMPRESSED
Ohhhh.. nicer😊😊😊😊
DeleteAto boro 😭😭
ReplyDeleteHmm khub boro
Deleteata boro 🥵😭😢😥😫
ReplyDeleteঅনেক বড়
ReplyDeleteHello sus amongnus
Deleteeta porikhhai likteo to 1 ghonta lagbe :')
ReplyDeleteTik bolsan.😒
DeleteTik bolsan😑🫤😐😒
Deletevalo
ReplyDeleteAita 3-4 dar poda nija thka likben
DeleteNice i guess😊 but too big😑😒😐
ReplyDeleteAto boro😭😭😭
ReplyDeleteভালো ধন্যবাদ এই অনুচ্ছেদ টা খুব দরকার ছিলো
ReplyDeleteOsthir ekti paragraph
ReplyDeleteEto boro mukhosto korte gele ek mash lagbe bro🙄🙄🙄
ReplyDeleteঅতিথি পাখি
ReplyDeleteঅতিথি পাখি সেইসব পাখি, যারা প্রতিবছর শীতকালে শীতপ্রধান দেশ থেকে উষ্ণ পরিবেশের খোঁজে আমাদের দেশে আসে। বাংলাদেশে শীতকাল হচ্ছে অতিথি পাখিদের জন্য একটি নিরাপদ ও আরামদায়ক আশ্রয়স্থল। তারা হাওর, বিল, নদী, পুকুর ও জলাশয়ে দল বেঁধে ঘোরাফেরা করে।
এই পাখিগুলো দেখতে খুবই সুন্দর। এদের ডাক মনকে করে তোলে প্রশান্ত ও আনন্দিত। বালিহাঁস, পাতি সরালি, গুটিপ্যাঁচা—এ ধরনের পাখি বেশি দেখা যায়। তারা এখানে কিছুদিন থাকে, ডানা মেলে উড়ে বেড়ায় এবং প্রকৃতিকে করে তোলে আরও জীবন্ত ও প্রাণবন্ত।
তবে দুঃখজনকভাবে কিছু মানুষ অতিথি পাখি ধরে শিকার করে, যা প্রকৃতির ভারসাম্যের জন্য ক্ষতিকর। অতিথি পাখিরা আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অংশ, তাই আমাদের উচিত তাদের রক্ষা করা।
অতিথি পাখি শুধু প্রকৃতির নয়, মানবজাতির অতিথিও। তাদের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ দেখানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
অনুচ্ছেদটি যুক্ত করা হয়েছে।
Delete🥹🫵🏻
Delete