মার্চের দিনগুলি

রচনা : নিজের দেশকে জানো

ভূমিকা : প্রতিটি মানুষের জীবনে মাতৃভূমির অপরিহার্য ও সুদূরপ্রসারী। দেশের আলো হাওয়াতেই সে বাঁচে; দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির ধারায় হয় তার মানসগঠন। তাই দেশের সঙ্গে চাই মানুষের গভীর যোগ, দেশের জন্যে চাই তার কল্যাণব্রতী ভূমিকা। এজন্যে দেশকে জানা জরুরি। 

দেশকে জানার অর্থ : দেশেকে জানতে হয় আন্তরিক নিষ্ঠ ও ভালোবাসায়। জানতে হয় দেশের ভূপ্রকৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে। আরো বেশি জানা দরকার দেশের মানুষকে। কোথায় দেশের শক্তি, কোথায় দেশের দুর্বলতা তা না জানলে দেশের ও দেশবাসীর কল্যাণে আত্মনিয়োগ করা সম্ভব হয় না। দেশকে জানার পেছনে কাজ করে একান্ত মঙ্গল চেতনা ও সুগভীর স্বদেশবোধ। 

দেশকে জানার গৌরব : দেশকে জানার মধ্যে এক ধরনের গৌরব কাজ করে। তা হচ্ছে স্বাদেশিক চেতনার গৌরব। মানুষ তখনই এ গৌরব অনুভব করে যখন দেশকে ও দেশের মানুষকে একান্তভাবে নিজের মনে হয়। দেশের জন্যে গড়ে ওঠে তার নাড়ির টান। দেশের সমস্ত কিছুর জন্যেই তৈরি হয় মমতা ও আকর্ষণ। দেশের স্বার্থে চরম আত্মত্যাগে তখন নিজেকে সার্থক মনে হয়। 

দেশকে জানার উপায়: দেশকে প্রাথমিকভাবে জানা যায় বই পড়ে- ইতিহাস, ভূগোল ইত্যাদির পাঠ থেকে। কিন্তু সে জানা নিতান্তই পুথিগত বিদ্যার মধ্যে পড়ে। দেশকে গভীরভাবে জানতে হলে মিশতে হয় দেশের মানুষের সঙ্গে, যেতে হয় দেশের সর্বত্র, ঘনিষ্ঠ পরিচয় গ্রহণ করতে হয় উৎসবে-অনুষ্ঠানে, খেলায়-মেলায়, আহারে-বিহারে যোগ দিয়ে। এর ভালো উপায় হচ্ছে দেশ ভ্রমণ। এতে দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক রূপ সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা হয়। 

উপসংহার : দেশমাতৃকার সন্তান হিসেবে নিজের দেশকে জানা প্রতিটি দেশব্রতী মানুষেরই মহান কর্তব্য। দেশকে যে জানে না, দেশের সঙ্গে যে প্রাণের বন্ধন অনুভূব করে না আত্মকেন্দ্রিক, সংকীর্ণচিত্ত ও একান্ত স্বার্থপর। এরা দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে পারে অবলীলায়। যে দেশে এমন মানুষের সংখ্যা বেশি সে দেশ এগিয়ে যেতে পারে না।


আরো দেখুন :

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post