রচনা : বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সংকট ও তার প্রতিকার

↬ বিদ্যুৎ সঙ্কট ও তার প্রতিকার


ভূমিকা : বৈজ্ঞানিক ফ্যারাডে আবিষ্কার করেন বিদ্যুৎ। সৃষ্টির আদিম প্রভাতে আকাশে বিদ্যুতের ঝলকানি দেখে অসহায় ভয়ার্ত মানুষ তাকে কোন অলক্ষিত শক্তি ভেবে অরণ্য অথবা গুহার নিরাপদ আশ্রয়ে আত্মগোপন করেছিল। আধুনিক কালের বিজ্ঞানের বলে বলীয়ান মানুষ তাকে জয় করেছে। সকল শক্তির উৎস বিদ্যুৎকে সে আলাদীনের প্রদীপের দুর্ধর্ষ দৈত্যের মতো বশীভূত করে তাকে নিয়োজিত করেছে মানুষের একনিষ্ঠা সেবায়-সভ্যতার সার্বিক বিকাশে। বিদ্যুতের জীয়নকাঠির ছোঁয়া পেয়ে বর্তমান যন্ত্রসভ্যতা হল আরও বেগবান। দিগ্বিজয়ের মত্ততায় হল দিশেহারা। গড়ে উঠল হাজার হাজার কল-কারখানা। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো হল স্ফীত কলেবর, উৎপাদন-মুখর। কৃষি ভূমিতেও লাগল তার শিহরণ। উৎপাদনের প্রাচুর্য সম্ভারে ভরে গেল মানুষের ক্ষেত-খামার। জনজীবন হল প্রাণোচ্ছল। বিদ্যুৎ হল বর্তমান সভ্যতার অন্যতম প্রাণশক্তি। অথচ যান্ত্রিক সভ্যতার যুগেও দেশের উন্নয়নের অন্যতম চাবিকাঠি বিদ্যুৎ শক্তির উৎপাদন সমস্যার আবর্তে বাংলাদেশ আজও ঘুরপাক খাচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা আজ একান্ত প্রয়োজন।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সঙ্কট : বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সঙ্কট অত্যন্ত প্রকট। বর্তমান বিদ্যুৎ সমস্যার কথা চিন্তা করে দেশের সরকার, সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, শিল্পপতী সর্বস্তরে একটি আতঙ্ক বিরাজ করছে। অথচ বর্তমান প্রতিযোগিতার বিশ্বে প্রয়োজন নতুন নতুন কলকারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। প্রয়োজন স্থাপিত কলকারখানার শক্তির পূর্ণ সদ্ব্যবহার। কিন্তু বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য, তীব্র বিদ্যুৎ সঙ্কট এখানকার অর্থনীতিক, সাংস্কৃতিক জীবনে এনেছে কালো মেঘের ছায়া। নতুন কলকারখানার প্রতিষ্ঠা দিন দিনই হয়ে উঠেছে অনিশ্চিত। যা আছে তারও চাকা স্তব্ধ হচ্ছে, কমছে উৎপাদন। সমস্যা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে, সৃষ্টি হয়েছে এক অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। প্রতিদিন দেশে যেখানে বিদ্যুতের প্রকৃত চাহিদা ২৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, সেখানে প্রকৃত যোগান ১৭০০-১৮০০ মেগাওয়াট। অর্থাৎ চাহিদা থেকে প্রকৃতযোগান প্রায় ৬-৭ শ মেগাওয়াট কম। এ থেকে বিদ্যুৎ সঙ্কটের ভয়াবহ চিত্রটি ফুটে ওঠে।

আমাদের দেশে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারিদের বিভিন্ন শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। শিল্প-ব্যবসা, সরকারি সেবা, গৃহস্থালী, জনসেবার স্বার্থে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকে। দেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহারের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ও হার রয়েছে, যা এমনকী সার্কদেশসমূহের মধ্যেও আমাদের অবস্থান খুব সম্মানজনক নয়। মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার বা ভোগের এদেশেও এমন কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার ও ভোগ যে কোনো উন্নত দেশের গড়পড়তা হারের চেয়ে অনেক বেশি, যা দুঃখজনক এবং বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণ।

বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণ : বাংলাদেশের ভয়াবহ বিদ্যুৎ সঙ্কটের নানা কারণ রয়েছে। নিচে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দিক উপস্থাপন করা হল:
১ – ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে সে-হারে বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপন না হওয়া।
২ – কারিগরি অদক্ষতা, অবহেলা ও বহু পুরাতন যন্ত্র ও সাজসরঞ্জামের আবশ্যিক সংস্কারের কাজে কর্তৃপক্ষের সমোচিত ব্যবস্থা গ্রহণে অক্ষমতা।
৩ – সরকারের টালবাহানা নীতি এবং সময়মতো বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে নজর না দেওয়া।
৪ – বিদ্যুৎ খাতে প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা।
৫ – কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে যন্ত্রপাতির ক্ষয়ক্ষতি এবং সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণের অবহেলা।
৬ – রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং প্রশাসনিক জটিলতা।
৭ – প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও উচ্চমানের কয়লা সরবরাহের অভাব।
৮ – বিদ্যুৎ কারিগরদের ওপর শাসন বিভাগের অযথা কর্তৃত্ব। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি যারা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের অধিকাংশই এই কারিগরি বিষয়টি সম্পর্কে অজ্ঞ।
৯ – গ্রাহকদের কাছ থেকে লোডশেডিং এর নামে অবৈধ আর্থিক সুবিধা লুটে নেবার প্রবণতা ইত্যাদি।

বিদ্যুৎ সঙ্কটের প্রতিকার : বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সঙ্কট নিরসনে বর্তমান সরকার সম্প্রতি দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধির প্রচেষ্টায় কিছু প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। রাশিয়ার কারিগরি সহায়তায় নিষ্মীয়মান ২১০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষম ঘোড়াশাল ষষ্ঠ ইউনিট কিছুটা বিদ্যুৎসঙ্কট লাঘব করেছে। এছাড়া আরও দুটি কোম্পানির সঙ্গে বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি করা হয়েছে। হারিপুর কেন্দ্রে ২৬০ মেগাওয়াট, বাঘাবাড়ি কেন্দ্র ১০০ মেগাওয়াট, মেঘনাঘাট বিদ্যুৎ কেন্দ্র ৩০০-৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষম ইউনিট অচিরেই শুরু হবে। খুলনায় স্থাপিত বার্জ মাউন্টেড কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে। তা ছাড়া অতি দ্রুত বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে এ সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান হয়ত আপাতত সম্ভব নয়। নতুন প্লান্ট স্থাপন এবং তীব্রতাকে সহনীয় পর্যায়ে রেখে নাগরিক জীবন সচল রাখার জন্য সরকার লোড ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি দক্ষ, সুষম ও প্রয়োজনীয় করার বিষয়ে সিরিয়াসলি ভাবছেন। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কতিপয় সুপারিশ পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। যেমন :
(১) সারাদেশের বিপনি ও দোকানপাট সন্ধ্যা ৬-১০ পর্যন্ত বন্ধ রাখা।
(২) সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ ব্যবহার রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখা।
(৩) শিল্প কারখানায় অঞ্চলভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন সাপ্তাহিক ছুটি কার্যকর করা।
(৪) শহরে রাস্তার একপাশে রাতে বাতি জ্বালানো এবং
(৫) বাসাবাড়িতে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া ইত্যাদি।

বিদ্যুৎ সঙ্কট মোকাবেলার জন্য শুধু উপর্যুক্ত পদক্ষেপই যথেষ্ট নয়। এক্ষেত্রে আরও কিছু ড্রাস্টিক বা র‌্যাডিক্যাল পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন:

(১) চাহিদা অনুসারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

(২) প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা ও পুরনো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর সংস্কার করা।

(৩) অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং বিদ্যুতের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা।

(৪) বিদ্যুৎ ব্যবহারে সার্বিক কৃচ্ছতা সাধনে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করা।

(৫) বিদ্যুতের সার্বিক ব্যবস্থাপনা তথা উৎপাদন, বিতরণ, বিল সংগ্রহ, রক্ষণাবেক্ষণসহ সকল কাজে দক্ষতা, সততা ও ক্ষিপ্রতা নিশ্চিতকরণ।

(৬) অপ্রয়োজনীয়, কম প্রয়োজনীয়, বিলাস ও অতিরিক্ত আরাম আয়েশের জন্য ব্যবহৃত বিদ্যুৎ প্রত্যাহার বা বর্জন করা।

(৭) আমাদের দেশে ১৯৮০ -এর দশকের আগে সরকারি অফিসে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (এসি) যন্ত্রের ব্যবহার ছিল না। বিগত ২০ বছরে এসির ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়েছে। এখন সে এসি জেলা শহর পর্যন্ত সরকারি অফিসে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। একটি দেড়টন বিশিষ্ট এসি চালু রাখতে ৮ ঘণ্টায় যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়, একই সময়ে ঐপরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ৫টি বাড়িতে ৫টি বাল্ব ও দুটি ফ্যান চলতে পারে। তাছাড়া অনেক বেসরকারি ব্যবসা, সেবা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রিয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার হচ্ছে। যাতে প্রচুর বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে। তাই এসব ক্ষেত্রে একটি বিধিবিধান বা নীতিমালা তৈরি করে বিদ্যুতের সুব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

(৮) সারাদেশে বিশেষত দেশের সকল শহর ও পৌর এলাকায় সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত সকল দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র বিদ্যুতের জন্য নয়, জনজীবনে শৃঙ্খলার জন্যও এটি প্রয়োজন। পৃথিবীর প্রতিটি উন্নত দেশে এ সময়সীমা মানা হয়। ব্যতিক্রম হবে খাবারের দোকান (রাত ১১টা পর্যন্ত), ওষুধের দোকান (সারারাত) এবং বিনোদন কেন্দ্র (রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকতে পারে)।

(৯) বিজ্ঞাপনী বিল বোর্ড, নিয়ন সাইন ও আলোক সজ্জা সন্ধ্যা ৭টার পর সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে।

(১০) কোন ভবন, দোকান ও বাড়ির বাইরে অতিরিক্ত বৈদ্যুতিক আলো জ্বালালে সেখানে উচ্চহারে জরিপানা করার বিধান করতে হবে।

(১০) সরকারি অফিসে ছুটি দুদিন অব্যাহত রেখে সেখানেও অতিরিক্ত একদিনের বিদ্যুৎ, গাড়ির জ্বালানি ও আনুষঙ্গিক ব্যয় হ্রাস করা যায়।

(১১) বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গৃহস্থালী সংযোগ ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ চুরির একটি নেটওয়ার্ক দেশে সুপ্রতিষ্ঠিত। অনেকেই তাদের ব্যবসার লাভের একটি বড় অংক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করার মাধ্যমে আয় করে। বিদ্যুৎ বিভাগের অসাধু কর্মচারীর যোগসাজসে একাজটি হচ্ছে। এক্ষেত্রে অত্যন্ত দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ দরকার। দুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ বিভাগে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করে এদের চাকুরীচ্যুত করে বিচার ও অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে।

(১২) পরিবেশবান্ধব ছোট ছোট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্ট স্থাপনে উৎসাহিত করতে হবে। বিশেষত বিভিন্ন শিল্প মালিকগণ নিজ নিজ শিল্প কারখানায় নিজস্ব বিদ্যুৎ-উৎপাদন প্লান্ট স্থাপন করতে চাইলে তার অনুমতি দেওয়া এবং উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালনের ও বিক্রয়ের সুযোগ থাকতে পারে।

(১৩) গৃহস্থালী বা আবাসিক প্রয়োজনে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট বসানোর জন্য পূর্বানুমতির কোন প্রয়োজন থাকার কথা নয়। তবে এসব প্লান্টের যন্ত্রাংশ তৈরি ও আমদানী সহজতর করা যেতে পারে।

(১৪) বিদ্যুৎ বিভাগে তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিটি বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিল সংগ্রহ জোনে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতি তিন মাসে একবার খোলাখুলি মত বিনিময় করতে হবে।

(১৫) মানুষকে অভ্যস্ত ও সতর্ক করার জন্য কোথায় কখন কত ঘণ্টার লোডশেডিং হবে তা পূর্বে জানিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ : দেশের বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে সরকার। এ রোডম্যাপ অনুসারে ভবিষ্যতে ব্যাপক পরিমাণে জাতীয় গ্রিডে নতুন বিদ্যুৎ সংযোজন হবে। নতুন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। ২০২০ সালের মধ্যে দেশের সকল মানুষর কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার কথা রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, পরিকল্পনা অনুসারে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নির্মিত হলে স্বল্প সময়ে মধ্যে দেশের লোডশেডিং দূর করা সম্ভব হবে।

উপসংহার : বিদ্যুৎ শক্তির কাছে যেখানে বর্তমান সভ্যতার অপরিশোধ্য ঋণ, যেখানে এই শক্তিকে আশ্রয় করে মানুষের দিকে দিকে বিজয় অভিযান, সেখানে এই শক্তি মানুষকে দিয়েছে গতির আনন্দ, দিয়েছে সমৃদ্ধির আশ্বাস, সেখানে বিদ্যুৎ - উৎপাদনে অবহেলা দেশ ও জাতির ললাটে এঁকে দিতে পারে অনগ্রসর কলঙ্ক-কালিমা। এই দুরূহ সমস্যা সমাধানের ওপর নির্ভর করছে আমাদের ভবিষ্যতের ঋদ্ধি, নির্ভর করছে আমাদের অস্তিত্ব। আজ প্রয়োজন বৃহৎ শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার অনুকূল পটভূমির। আর এই বিদ্যুৎ শক্তি হবে তার অর্থনৈতিক গূঢ় সাধনমন্ত্র।

1 Comments

  1. মানুষকে অভ্যস্ত ও সতর্ক করার জন্যে কোথায় কখন কত ঘন্টা লোডশেডিং হবে তা পূর্বে জানিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে ।

    ReplyDelete
Post a Comment
Previous Post Next Post