মার্চের দিনগুলি

ভাবসম্প্রসারণ : পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি / যেমন কর্ম তেমন ফল

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি
অথবা,
যেমন কর্ম তেমন ফল।

মা যেমন সন্তানের জন্মদাতা তেমনি পরিশ্রম সৌভাগ্যের জন্মদাতা। সৌভাগ্য আপনা আপনি হঠাৎ করে আসে না, দীর্ঘদিনের কঠোর পরিশ্রম ও ঘনিষ্ঠ সাধনার প্রেক্ষাপটেই সৌভাগ্যের দেখা মেলে। নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রমের ফলে অর্জিত হয়েছে সমাজ ও সভ্যতার নিরন্তর অগ্রগতি। ব্যক্তিগত ও জাতীয় উন্নতি সাধনের জন্যেও তাই পরিশ্রম অপরিহার্য।

অবশ্য সাধারণভাবে মানুষের বিশ্বাস, মানুষের সুখ ও উন্নতি পুরোপুরি ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল। ভাগ্যের চাকা খুললে গরিবের কুঁড়েঘরও পরিণত হতে পারে রাজপ্রসাদে। কিন্তু এ ধারণা আসলে কর্মবিমুখ অলস মস্তিষ্কের কল্পনার ফসল। বাস্তবের সঙ্গে তা মেলে না। বাস্তব জীবনে আপাতদৃষ্টিতে যাকে সৌভাগ্য বলে মনে হয় তা আসলে মানুষের উদ্যম, চেষ্টা ও শ্রমেরই সমাহার। বাস্তব কঠোর পরিশ্রমেই মানুষ নির্মাণ করে তার ভাগ্যকে। যে লোক অলস নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে আপনা আপনি তার অন্ন, বস্ত্র জোটে না, আপনা আপনি তার ঘরবাড়ি তৈরি হয় না। তার ভাগ্যে নেমে আসে ব্যর্থতা ও হতাশার কালরাত্রি। জীবনে অর্থ, বিদ্যা, যশ, প্রতিপত্তি অর্জন করতে হলে তার জন্যে পরিশ্রম করতে হয়। কর্মসাধনার মাধ্যমেই জীবনে সফলতার স্বর্ণদুয়ারে পৌঁছানো সম্ভব। জাতীয় জীবনেও এই সত্যের ব্যত্যয় হয় না। যে জাতি পরিশ্রমী নয় সে জাতিকে উন্নতি ও অগ্রগতির ধারা থেকে ছিটকে পড়তে হয় অনেক পেছনে। মহামানবদের জীবন পাতার দিকে তাকালেও এই সত্যই উদ্ভাসিত হয় যে, অক্লান্ত শ্রমসাধনার মাধ্যমেই তাঁরা জীবনে সাফল্য অর্জন করেছেন। এঁদের অনেকেই খুব সামান্য অবস্থা থেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন নিরলস শ্রমসাধনার সাহায্যে। শ্রমের প্রতি নিবেদিত প্রাণ মানুষেই আসলে হতে পারে জীবনের সফল সৈনিক। ব্যক্তি ও জাতির জীবনে পরিশ্রমই নিশ্চিত করতে পারে সৌভাগ্যের হিরন্ময় সকাল।


এই ভাবসম্প্রসারণটি অন্য বই থেকেও সংগ্রহ করে দেয়া হলো


মূলভাব : মানুষের জীবনের উন্নতির চরম চাবিকাঠি হচ্ছে তার আপন কর্ম অর্থাৎ পরিশ্রম। পরিশ্রমের ফলেই মানুষ বর্তমান জগতের বুকের সভ্যতার শীর্ষে আরোহণ করেছে।

সম্প্রসারিত ভাব : মানুষের সৌভাগ্যের মূলে রয়েছে তার পরিশ্রম। এ পরিশ্রমের ফলেই সাধিত হয়েছে বিশ্বের সামগ্রিক উন্নতি এবং মানুষ নিত্য নতুন আবিষ্কার করছে, বিভিন্ন জিনিসপত্র। পরিশ্রম এবং চেষ্টা দ্বারা যে কোন কর্মেরই সুফল পাওয়া যায়। পরিশ্রম না করলে কোন জাতি তথা কোন দেশ উন্নতির দিকে এগুতে পারেনা। বর্তমানে তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে চীন এবং জাপান। চীনা এবং জাপানীরা তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের দ্বারা বর্তমান বিশ্বে শিল্প এবং অর্থনীতির দিক ‍দিয়ে অনেক এগিয়ে আছে। আমাদের জীবন সংক্ষিপ্ত এবং ক্ষণস্থায়ী। এ সংক্ষিপ্ত জীবনকে মধুময় এবং ছন্দময় করে তোলার জন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সুখী এবং স্বাচ্ছন্দ্য জীবন লাভ করতে হলে মানুষকে পরিশ্রম করতে হবে। তাই জ্ঞানী ব্যক্তিরা বলেন, “পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।”

পৃথিবীতে যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী সে জাতি তত বেশি উন্নত। সমষ্টিগত ও ব্যক্তিগত এবং সাধনাই জাতির জন্য সৌভাগ্যের নিয়ামকের জন্য মানুষের উচিৎ নিরন্তর পরিশ্রম করা।

6 Comments

  1. আলহামদুলিল্লাহ ভ্লা লাগ্লো

    ReplyDelete
  2. অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি হয়তো আমার জন্য অাল্লাহ ভাল কিছু রাখবেন

    ReplyDelete
Post a Comment
Previous Post Next Post