বাল্যবিবাহ নিরোধের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে সংলাপ

‘বাল্যবিবাহ নিরোধের গুরুত্ব’ সম্পর্কে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।


শিক্ষার্থী : আস্সালামুআলাইকুম স্যার।

শিক্ষক : ওয়ালাইকুম আস্সালাম। সবাই ভালো আছ তো?

শিক্ষার্থী : জি স্যার, আপনি গত ক্লাসে বলেছিলেন আজকে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে আলাপ করবেন।

শিক্ষক : হ্যাঁ। আজকে আমি তোমাদের সাথে বাল্যবিবাহ নিয়ে কথা বলব। তোমরা কি কেউ জানো বাল্যবিবাহ কী?

শিক্ষার্থী : পরিণত বয়সের আগে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়াকেই বাল্যবিবাহ বলে।

শিক্ষক : খুব সুন্দর। এই বাল্যবিবাহ আমাদের সমাজে এখনও প্রচলিত আছে, যা সমাজে খুব নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

শিক্ষার্থী : কীভাবে স্যার? আমাদের আশপাশের অনেকেরই অনেক কম বয়সে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমাদের উচিত তাদেরকে বাঁচানো।

শিক্ষক : অবশ্যই বাঁচানো উচিত। ধরো, কোনো মেয়ে নির্দিষ্ট বয়সের আগে বিয়ে হয়ে গেলে তার ওপর অনেক অপ্রত্যাশিত দায়িত্ব অর্পণ করা হয়, যেগুলোর জন্য সে প্রস্তুত থাকে না। ফলে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। আবার সে দ্রুত মা হয়ে যাওয়ার ফলে নিজের যেমন শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে একইভাবে সে অপরিণত শিশু জন্ম দিচ্ছে।

শিক্ষার্থী : জি স্যার। আমাদের পাশের বাড়ির রাবেয়া বেশিরভাগ সময়ই অসুস্থ থাকে। আমি এতদিন পরে বুঝলাম।

শিক্ষক : আর বেশিরভাগ সময়ই এসব মেয়ে গর্ভবতী ও মাতৃত্বকালীন সঠিক পরিচর্যা পায় না। যার ফলে এমন অবস্থা তৈরি হয়।

শিক্ষার্থী : তাহলে এটা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী স্যার?

শিক্ষক : সচেতনতা বৃদ্ধি করা, শিক্ষার প্রসার এবং প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

শিক্ষার্থী : জি স্যার। আমরা এখন থেকে আমাদের আশপাশে এমন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হলে তা রোধ করতে সচেষ্ট হব।

শিক্ষক : অবশ্যই। আচ্ছা ঠিক আছে, সবাই ভালো থেকো তাহলে।

শিক্ষার্থী : জি স্যার, আস্সালামুআলাইকুম।

1 تعليقات

إرسال تعليق
أحدث أقدم