অনুচ্ছেদ : নিয়মানুবর্তিতা

নিয়মানুবর্তিতা


জগতের সবকিছুই নিয়মের অধীন। ঊর্ধ্বে নীলাকাশ, নিম্নে সাগর পৃথিবী সর্বত্রই নিয়মের রাজত্ব বিস্তৃত। নিয়মশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হলে প্রকৃতির রাজ্যে যেমন বিপর্যয় দেখা দেয় ঠিক তেমনি মানবজীবনেও বিপর্যয় নেমে আসে। কেননা নিয়ম-শৃঙ্খলাই মানবজীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে। মানুষ তার কল্যাণের জন্য বুদ্ধি, প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং সেগুলোকেই নিয়মে পরিণত করে। এই নিয়মের কারণেই আজ আমরা সভ্য জগতের মানুষ। নিয়মানুবর্তিতার জন্য প্রকৃতির সাথে আমাদের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। জাতীয় জীবনে নিয়মানুবর্তিতা অপরিহার্য। কেননা জাতীয় জীবনে নিয়মানুবর্তিতা না থাকলে দেশের সাধারণ জনগণও নিয়মানুবর্তিতার পরোয়া করবে না। ছাত্রজীবনে নিয়মানুবর্তিতার গুরুত্বের কথা বলে শেষ করা যায় না। একজন শ্রেষ্ঠ ছাত্র, শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়, শ্রেষ্ঠ সৈনিক হতে হলে কঠোর নিয়মানুবর্তিতার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কেননা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা জীবনকে সুনিয়ন্ত্রিত পথে চলতে দেয় না। নিয়মানুবর্তিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখতে পাই আমরা সৈনিকদের জীবনে। নিয়ম-শৃঙ্খলার সামান্যতম অবহেলা তাদের জীবনের জন্য যেমন ক্ষতিকর ঠিক তেমনি দেশের জন্যও হুমকিস্বরূপ। তাই আমরা বলতে পারি, যেহেতু জাতীয় জীবনের প্রতিটি ধাপেই নিয়মানুবর্তিতার প্রয়োজন রয়েছে, সেহেতু দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য আমাদের সকলের উচিত নিয়মানুবর্তিতার চর্চা করা।

2 تعليقات

إرسال تعليق
أحدث أقدم