মার্চের দিনগুলি

গ্রাম্যমেলা দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি

একটা গ্রাম্যমেলা দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি রচনা করো।

১৪ এপ্রিল, ২০১৮

আমার নানবাড়ি বাঘা এসেছি। আমার উদ্দেশ্য নানাবাড়ি বেড়ানো। আমার উদ্দেশ্য ছিল পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে গ্রাম্যমেলা দেখা। আজ আমার সে আশা পূরণ হয়েছে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই পায়ে হেঁটে দুই মামতো ভাইকে সাথে নিয়ে মেলা দেখতে রওনা দিই। নানাবাড়ির পাশে রাইতা বাজার সংলগ্ন একটি প্রাচীন বটগাছের নিচে এই মেলাটি বসে। মেলাটি সাত দিন ধরে চলে। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসতে শুরু করেছে। দোকান ঘিরে শুরু হয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। মিষ্টি, জিলাপি, পিঠাদ ঘ্রাণ ভাসছে বাতাসে। আমরা সেদিকে গেলাম। তিন চাই পেটপুরে পিঠা দিয়ে নাশতা করলাম। মেলায় যে জিনিসটি আমাকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দিয়েছে তা হলো ঐতিহ্য কুটির, মৃৎ ও কাঠের বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী যেমন- শীতলপাটি, পাখা, নকশিকাঁথা, হাড়ি পাতিল, পুতুল ইত্যাদি। মেলার আরও যে বিষয়টি আমাকে খুব আনন্দ দিয়েছে তা হলো গ্রাম্য খেলা যেমন - হাডুডু, পুতুল নাচ, মোরগের লড়াই যেগুলো আমি পূর্বে কখনো দেখিনি। সারাদিন মেলায় ঘুরছি, বটগাছের নিচে বসে বাউলের গান শুনেছি। বাড়ির জন্য জিলাপি মিষ্টি কিনেছি। এই গ্রাম্যমেলাটি আমার স্মৃতিপটে সারাজীবন আঁকা থাকবে।

নীলম খন্দকার
বাগাইহাটি
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post