ভাষণ : সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চাই সকলের সচেতনতা

‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চাই সকলের সচেতনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভাষণ প্রদানের জন্য একটি ভাষণ রচনা কর।


‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চাই সকলের সচেতনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা

‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চাই সকলের সচেতনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভার শ্রন্ধেয় সভাপতি, সন্মানিত প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, আলোচকবৃন্দ, উপস্থিত সুধীমণ্ডলী আসসালামু আলাইকুম। শুরুতেই আজকের অনুষ্ঠানের আয়োজকদের জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন। সেই সাথে সড়ক য়দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতা সম্পর্কে বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

সুধীমন্ডলী,
আপনারা আমার পূর্ববর্তী আলোচকদের কাছে তথ্যবহুল অনেক আলোচনা শুনেছেন, গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শও পেয়েছেন। এই বিষয়ে কীভাবে সচেতন হবেন তা আমি স্পষ্ট করতে চাই। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে দক্ষ চালক, ট্রাফিক আইন মানা, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, যানবাহনের ফিটনেস ইত্যাদি সাধারণ বিষয়ে সচেতনতার কথা আপনারা সবাই কমবেশি জানেন। তাই এ বিষয়গুলো নিয়ে নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। আমি শুধু কীভাবে সচেতন হওয়া যায় সেই বিষয়ে দু’কথা বলে আমার সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা শেষ করব।

প্রিয় সুধী,
দুর্ঘটনা কখনো সংকেত দিয়ে আসে না। তা কারও অনুমতি, পরামর্শও নেয় না। কাজেই আমরা কে, কখন, কীভাবে দুর্ঘটনায় শিকার হব, কেউ তা জানি না। আর জানি না বলেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, সচেতন হতে হবে। কীভাবে সচেতন হব? রাস্তা পার হওয়ার সময় নিজেকে পথচারী ভাববো। বড় অফিসের বড় সাব বা ছোট অফিসের পিয়ন ভাববো না। পারিবারিক সমস্যা, টেনশন মাথায় এনে ঘোরের মধ্যে থেকে রাস্তায় পা ফেলব না। রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাফিক সিগন্যাল, জেব্রা ক্রসিং, ফুটওভার ব্রিজ, ডানে বামে লক্ষ করে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি করে নেব। রাস্তা পার হওয়ার সময় রাস্তার গর্তে পা পড়ছে, নাকি কলার খোসার উপর পা পড়ছে সেই বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। আমরা যখন যে কাজ করব তখন নিজেকে ঐ কাজের জন্য আমাদের পুরোপুরি প্রস্তুত করে নিতে হবে। তাতেই আমাদের সচেতনতা বাড়বে।

প্রিয় সুধী,
বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন এ দুর্ঘটনায় ২০ থেকে ২৫ জন লোক মারা যাচ্ছে, চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করছে ৫০ থেকে ৭৫ জন লোক। সামান্য অসতর্কতা আর অবহেলার কারণে আমরা প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছি। আমাদের সর্বস্তরের মানুষের সচেতনতা ও সদ্দিচ্ছাই পারে এ দুর্ঘটনা রোধ করতে। একটি দুর্ঘটনা একটি পরিবারের সারাজীবনের কান্না। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে দুর্বার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে অনেক সংগঠন। নিরাপদ সড়কের দাবি আজ আমাদের সকলের। আমাদের প্রত্যেককে আত্মসচেতন হতে হবে এবং অন্যকে সচেতন করে তুলতে হবে। আজকের আলোচনার বিষয় সফল হোক, এ প্রত্যাশায় শেষ করছি।

ধন্যবাদ সবাইকে।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post