অনুচ্ছেদ : বাংলাদেশের গ্যাস সম্পদ

বাংলাদেশের গ্যাস সম্পদ


গ্যাস হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ। এটি বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ। প্রাকৃতিক গ্যাস হচ্ছে শক্তির প্রধান উৎস। ১৯৫৫ সালে হরিপুরে দেশের প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। বাংলাদেশে সর্বমোট ২২টি গ্যাসক্ষেত্র ও ২৩টি গ্যাস ব্লক রয়েছে। ১৯৫৭ সালে হরিপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। উত্তোলন ও মজুদের দিক থেকে তিতাস গ্যাসক্ষেত্র দেশের সর্ববৃহৎ। এযাবৎ আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে মোট মজুদের পরিমাণ ২৮.৪০ টি.এস.এফ.। বর্তমান উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের পরিমাণ ২০.৫১ টি.এস.এফ.। ব্যাপেক্স-এর হিসাবমতে গ্যাসের অজ্ঞাত মজুদের পরিমাণ ৩২.১ টি.এস.এফ. হবে। প্রতিদিন বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্র থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ গ্যাস উত্তোলিত হয়। উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদের দিক থেকে কৈলাশটিলা সর্ববৃহৎ গ্যাসক্ষেত্র। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৫২.১২%, শিল্প কারখানায় ১৪.৬১%, সার উৎপাদনে ২১.৬১% এবং বাণিজ্যিক ও গৃহস্থালির কাজে ১০.০৮% গ্যাস ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বস্তুত আমাদের গ্যাস সম্পদের পরিসংখ্যান অনেক বৃহৎ। তবে গ্যাস সম্পদের যত্নশীল ব্যবহার আমাদের বাংলাদেশকে নিঃসন্দেহে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।


আরো দেখুন :
রচনা : জ্বালানি নিরাপত্তা ও বাংলাদেশ
রচনা : বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post