সাধারণ জ্ঞান : ২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

শতভাগ কমন পাবেন; এর বাইরে ২১শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে কোন প্রস্ন চোখে পড়ে নি। পোস্টটি তুলনামূলক বড় হয়ে গেছে শেয়ার করে রাখুন। 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

উদ্যোক্তা ছিল – কানাডা প্রবাসী আব্দুস সালাম ও রফিকুল ইসলাম, সংগঠন টির নাম ছিল-মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ লাভারস অব দ্য ওয়ার্ল্ড। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর ৩০তম সম্মেলনে ১৮৮ দেশের সমর্থনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে ২০০০ সাল থেকে জাতিসংঘের সকল সদস্য ভুক্ত দেশ দিনটি উদযাপন করে থাকে।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা কত তারিখ ও কি বার ছিল? — ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল ফাল্গুন মাসের আট তারিখ,বাংলা ১৩৫৯ বঙ্গাব্দ দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। ’৫২র ভাষা শহীদদের সবার কবর আজিমপুর কবরস্থানে।

জাতিসংঘ কবে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়? — ৫ ডিসেম্বর ২০০৮ জাতিসংঘ ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

বাংলা ভাষাকে দ্বিতীয় মাতৃভাষা দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওন। সরকারি ভাষা হিসেবে এদেশে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার শুরু হয় ১৮৩৫ সালে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে প্রথমবারের মত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি সম্বলিত ডাকটিকিট প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র।

১৯৭৫ সালের ২১ মার্চ রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাকে রাষ্ট্র ও জাতীয় ভাষা ঘোষণা করেন। বাংলা ভাষাকে জীবনের সর্বস্তরে ব্যবহারের জন্য জাতীয় সংসদে আইন পাস হয় ১৯৮৭ সালে।

গুরুত্বপূর্ণ এককথায় উওর
“একুশের গল্প”-এর তপু কোথায় গুলিবদ্ধ হয়েছিল? — হাইকোর্টের মোড়ে।

‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ প্রথম সংকলনের সম্পাদক কে? — হাসান হাফিজুর রহমান।

গণপরিষদে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের রাষ্ট্রভাষার দাবি
১৯৪৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি তারিখে পাকিস্তান গণপরিষদে ইংরেজী ও উর্দ্দুর পাশাপাশি সদস্যদের বাংলায় বক্তৃতা প্রদান এবং সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য একটি সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।

শহীদ হওয়া আব্দুল জব্বার এবং রফিক উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া আব্দুস সালাম, আবুল বরকতসহ আরও অনেকে সে সময় নিহত হন। ঐদিন অহিউল্লাহ নামের একজন ৮/৯ বছরের কিশোরও নিহত হয়।

শহীদ স্মরনে শহীদ মিনার
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে শহীদ মিনার তৈরির কাজ শুরু করে। কাজ শেষ হয় ২৪ তারিখ ভোরে। তাতে একটি হাতে লেখা কাগজ গেঁথে দেয়া হয়, যাতে লেখা ছিল ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’।

শহীদ মিনারের স্থপতি — হামিদুর রহমান।

শহীদ মিনার নির্মাণ — হামিদুর রহমান ও নভেরা আহমেদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সংশোধিত আকারে শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ কাজ শুরু হয়।

শহীদ মিনারের উচ্চতা — ১৪ মিটার (৪৬ফুট)

স্বতঃস্ফুর্ত পালন — শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক এবং আওয়ামী লীগের উদ্যোগে যুক্তফ্রন্ট সরকার কর্তৃক ১৯৫৬ সালে পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র স্বতঃস্ফূর্তভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়।

জিন্নাহর ঘোষণা — ১৯৪৮ সালের ২১শে মার্চ মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় এক ভাষনণে ঘোষণা করেন “উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা”।

ভাষা আন্দোলনের প্রথম গান ও রচয়িতা? — “রাষ্ট্রভাষা”। রচয়িতা বাগেরহাটের চারণ কবি শামসুদ্দিন আহমেদ।

‘আমার ভাইয়ের রক্তের রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটির রচয়িতা এবং সুরকার হলেন — আবদুল গাফফার চৌধুরী এবং আলতাফ মাহমুদ পরো আব্দুল লতিফ।

কুমড়ো ফুলে ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা, সজনে ডাটায় ভরে গেছে গাছটা, কবিতাটির রচয়িতা কে? — আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ।

‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়।’ গানটির রচয়িতা ও সুরকার হলেন — আব্দুল লতিফ।

‘শহীদের ঝলকিত রক্তের বুদবুদ, স্মৃতিগন্ধে ভরপুর একুশের কৃষ্ণচূড়া আমাদের চেতনারই রঙ।’-রচয়িতা কে? — শামসুর রহমান।

একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের জন্য আবেদন
জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ১৯৯৮ সালে প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙ্গালী রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্যদেশ সমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।

২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ এর বাংলা তারিখ কি? — ৮ ফাল্গুন, ১৩৫৯ বৃহস্পতিবার।

সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেবার পরে ১৯৫৭ সালে সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাজ শুরু হয়।

নতুন শহীদ মিনার উদ্বোধন ১৯৬৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ ব্যক্তিত্ব আবুল বরকতের মাতা হাসিনা বেগম নতুন শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন।

একুশকে ঘিরে উদযাপন
ফেব্রুয়ারি মাসটি নানাভাবে উদযাপিত হয় যার মধ্যে আছে, মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদযাপন, যা একুশে বইমেলা নামে সমধিক পরিচিত। এছাড়াও ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগকারীদের ত্যাগের সম্মানে এ মাসেই ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পদক ‘একুশে পদক’।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
উদ্যোক্তা ছিল – কানাডা প্রবাসী আব্দুস সালাম ও রফিকুল ইসলাম সংগঠন টির নাম ছিল-মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ লাভারস অব দ্য ওয়ার্ল্ড।

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর ৩০তম সম্মেলনে ১৮৮ দেশের সমর্থনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে ২০০০ সাল থেকে জাতিসংঘের সকল সদস্য ভুক্ত দেশ দিনটি উদযাপন করে থাকে।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল ফাল্গুন মাসের আট তারিখ,বাংলা ১৩৫৯ বঙ্গাব্দ দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার।

৫২র ভাষা শহীদদের সবার কবর আজিমপুর কবরস্থানে।

৫ ডিসেম্বর ২০০৮ জাতিসংঘ ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

বাংলা ভাষাকে দ্বিতীয় মাতৃভাষা দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওন।

সরকারি ভাষা হিসেবে এদেশে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার শুরু হয় ১৮৩৫ সালে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে প্রথমবারের মত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি সম্বলিত ডাকটিকিট প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র।

১৯৭৫ সালের ২১ মার্চ রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাকে রাষ্ট্র ও জাতীয় ভাষা ঘোষণা করেন।

বাংলা ভাষাকে জীবনের সর্বস্তরে ব্যবহারের জন্য জাতীয় সংসদে আইন পাস হয় ১৯৮৭ সালে।

একুশের প্রথম গান — ভুলব না ভুলব না। রচয়িতা — গাজীউল হক।

একুশের প্রথম উপন্যাস আরেক ফাল্গুন — জহির রায়হান।

একুশের প্রথম কবিতা কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি রচয়িতা চট্টগ্রামের মাহবুব-উল-আলম চৌধুরী। কবিতাটি প্রথম আবৃতি করা হয় — লাল দিঘির ময়দানে।

একুশের প্রথম গল্প একুশের গল্প জহির রায়হান।

একুশের প্রথম শহীদ মিনার রাজশাহী কলেজ চত্বরে নির্মাণ করা হয়।

ঢাকার শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউর রহমানের পিতা মৌলভী মাহবুবুর রহমান।

বর্তমান শহীদ মিনারের স্থপতি — হামিদুর রহমান।

একুশের প্রথম নাটক — কবর।

কবর নাটকটি মুনীর চৌধুরী রচনা করেন — ১৭ জানুয়ারি, ১৯৫৩ সালে কেন্দ্রীয় কারাগারে।

নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ করা হয় — ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৩ সালে, কেন্দ্রীয় কারাগারে।

মুনীর চৌধুরী কার অনুরোধে নাটকটি লেখেন — রনেশদাস গুপ্তের অনুরোধে।

একুশের প্রথম সংকলন ও এর সম্পাদক — একুশে ফেব্রুয়ারি (১৯৫৩ সালে প্রকাশিত হয়), হাসান হাফিজুর রহমান।

একুশের প্রথম সংঘঠন ও এর প্রতিষ্ঠাতা — তমুদ্দিন মজলিস (আবুল কাশেম)।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একুশের স্বীকৃতি
জাতিসংঘ — ২০০৮
ইউনেস্কো — ১৯৯৯ (১৭ নভেম্বর) (৩১ তম সম্মেলনে)
মোট দেশ — ১৮৮টি দেশ পালন করে।
প্রথম স্বীকৃতিদান কারি দেশ — কানাডা।

ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য জেলখানায় অনশন করেন — শেখ মুজিবুর রহমান, মহিউদ্দিন আহমেদ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে কার নেতৃত্বে ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে — গাজিউল হক।

বাংলা ভাষার পক্ষে ভূমিকা রাখার জন্য কোন পত্রিকাকে নিষিদ্ধ করা হয় — অবজারভার।

১৯৫২ সালের আগে ভাষা দিবস পালিত হত — ১১ মার্চ।

পাকিস্তানের একমাত্র বাঙ্গালি রাষ্ট্রপতি — খাজা নাজিমুদ্দিন।

ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা — ডাঃ সানজিদা খাতুন।

ভাষা আন্দোলনভিত্তিক যত সাহিত্য কর্ম

উপন্যাস
আরেক ফাল্গুন — জহির রায়হান। (প্রথম)
আর্তনাদ — শওকত ওসমান।
নিরন্তর ঘন্টাধ্বনি — সেলিনা হোসেন।
যাপিত জীবন — সেলিনা হোসেন।

গল্প
একুশের গল্প,সূর্য গ্রহণ — জহির রায়হান।
মৌন নয় — শওকত ওসমান।

নাটক
কবর — মুনীর চৌধুরী।
বিবাহ — মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।

সাহিত্য সংকলন
একুশে ফেব্রুয়ারি — হাসান হাফিজুর রহমান। (গ্রন্থটি প্রকাশের পর নিষিদ্ধ হয়)

চলচ্চিত্র
জীবন থেকে নেয়া — জহির রায়হান। (প্রথম)
Let there be light — জহির রায়হান।

কবিতা ও ছড়া
কাঁদতে আসিনি,ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি — মাহবুব উল আলম চৌধুরী।(প্রথম)
শহীদ স্মরনে — মো.মনিরুজ্জামান।
সংগ্রাম চলবেই — সিকানদার আবু জাফর।
স্মৃতিস্তম্ভ — আলাউদ্দিন আল আজাদ।

গান
ভুলবনা ভুলবনা একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলবনা — ভাষা সৈনিক গাজিউল হক(প্রথম)

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি — আব্দুল গাফফার চৌধুরী।

সালাম সালাম হাজার সালাম — ফজল এ খোদা।

ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায় — আব্দুল লতিফ।

ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র — দৈনিক সৈনিক।

প্রথম শহীদ — রফিক উদ্দিন।

জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে বাংলা ভাষার স্থান — ৭ম।

ভাষা আন্দোলেনের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোথায় ছিলেন — জেলে।

সরকারি ভাষা হিসাবে বাংলার ব্যবহার শুরু হয় — ১৯৫৬ সালে।

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ এ গানের গীতিকার — আব্দুল গাফফার চৌধুরী।

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ এ গানের ১ম সুরকার — আব্দুল লতিফ।

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ এ গানটির বর্তমান সুরকার — আলতাফ মাহমুদ।

‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ এই গানটির গীতিকার — ফজল এ খোদা। সুরকার ও শিল্পী : আবদুল জব্বার।

‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়’ এই গানটির গীতিকার ও সুরকার — আব্দুল লতিফ।

ভাষা আন্দোলন বিষয়ক উপন্যাস — আরেক ফাল্গুন। লেখক : জহির রায়হান।

ভাষা আন্দোলন বিষয়ক নাটক — কবর। লেখক : মুনীর চৌধুরী।

‘কবর’ নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয় কবে — ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪ (কারাগারে)।

স্বাধীনতার পর প্রথম ডাকটিকেটে কিসের ছবি ছিল — শহীদ মিনার।

দেশের বাইরে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয় — জাপানে।

পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দুর পাশাপাশি বংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে ছিলেন — ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।

ভাষা আন্দোলনের মুখপাত্র কোন পত্রিকা — সাপ্তাহিক সৈনিক।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন– নুরুল আমিন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন — খাজা নাজিম উদ্দিন।

‘উর্দু এবং একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’ কে বলেছেন–মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ‘ভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হত — ১১ মার্চ।

বাংলা ভাষা তৎকালীন পাকিস্তান সংবিধানে গৃহীত হয় — ১৯৫৬ সালে।

ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয় — ১৯৪৮ সালে।

ভাষা আন্দোলনের ফলে কোন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়েছিল — বাংলা একাডেমী (১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর)।

বাংলা একাডেমির চত্ত্বরের মুরাল হল — মোদের গরব।

‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ প্রবর্তন করা হয় — ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে।

কোন দেশের দ্বিতীয় ভাষা বাংলা — সিয়েরা লিওন।

‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ স্মরণে দেশের বাইরে বিশ্বের প্রথম স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হয় — অস্ট্রেলিয়া, সিডনি।

বাংলাদেশের বাইরে প্রথম কোথায় বাংলা ভাষা শিক্ষা দেয়া হয় — কানাডার টরেন্টো ইউনিভার্সিটিতে।

‘একুশে পদক’ প্রবর্তন করা হয় — ১৯৭৭ সালে।

কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘একুশে পদক’ লাভ করে — ইউনেস্কো (২০০৩ সালে)।

‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয় — ১৯৪৮ সালে।

‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয় — ৩১ জানুয়ারি, ১৯৫২ সালে।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা সনের কত তারিখ ও কি বার ছিল — ৮ ফাল্গুন ১৩৫৮ সন, বৃহস্পতিবার।

জাতীয় শহীদ মিনারের প্রতীকটি কি প্রকাশ করে — মা তার সন্তানদের মাতৃভাষার গল্প শুনাচ্ছে।

জাতীয়/কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের আয়তন — ১৫০০ বর্গ ফিট বা ১৪০ বর্গ মিটার, উচ্চতা– ৪৬ফিট বা ১৪ মিটার। স্থপতি — হামিদুর রহমান (সহকারী ছিলেন — নভেরা আহমেদ)।

জাতীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন — বরকতের মা হাসিনা বেগম, ১৯৬৩ সালের ২১ফেব্রুয়ারি (প্রথম শহীদ মিনার উদ্ধোধন করেন — শহীদ শফিউরের বাবা)।

ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারীকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় — ১৭ নভেম্বর, ১৯৯৯ সালের ৩০তম সাধারণ অধিবেশনে।

২১শে ফেব্রুয়ারীকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে প্রথম পালন করে — ১৮৮টি দেশ (২০০০সালে)।

২১শের প্রথম সংকলন ‘কাঁদতে আসি নি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ এ কবিতাটি লিখেছেন — মাহবুবুল আলম চৌধুরী।

‘মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা’ এ কবিতাটির লেখক — অতুল প্রসাদ সেন।

‘কুমড়ো ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা’ এ কবিতাটির লেখক — আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ।

‘ফেব্রুয়ারী একুশ তারিখ দুপুর বেলার অক্ত বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায় বরকতেরই রক্ত’ এ কবিতাটির লেখক — আল মাহমুদ।

একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ হয়েছিলেন — ৮ জন (রফিক, বরকত, সালাম, শফিউর, জব্বার, আওয়াল, অলিউল্লাহ ও একজন অজ্ঞাতনামা বালক। ১ম শহীদ হন রফিক।

পাকিস্তান গণ পরিষদে কে বাংলা ভাষা সংক্রান্ত সংশোধনী প্রস্তাব আনেন? — গণ পরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।

উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব প্রথম কবে করা হয়? — ডিসেম্বর, ১৯৪৭ সালে।

উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব প্রথম কোথায় গৃহীত হয়? — করাচির শিক্ষা সম্মেলনে।

তমুদ্দিন মজলিস কী? — একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান।

তমুদ্দিন মজলিস কবে গঠিত হয়? — ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭।

উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার বিরুদ্ধে কবে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়? — ২ মার্চ ১৯৪৮।

ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন? — নুরুল আমিন।

ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন? — খাজা নাজিমউদ্দিন।

প্রথম তৈরি শহীদ মিনার কে উন্মোচন করেন? — শহীদ শফিউরের পিতা।

ভাষা আন্দোলনের শহীদের স্মরণে কবে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়? — ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।

‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’- কথাটি কে বলেছিলেন? — মুহম্মদ আলী জিন্নাহ।

কত সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়? — ১৯৫৬ সালে।

কত তারিখে শহীদ দিবস পালিত হয়? — ২১ ফেব্রুয়ারি।

শহীদ দিবসের আরেকটি নাম কি? — আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

কবে মহান একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়? — ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর।

কোথায় বসে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণা করা হয়? — ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে।

কবে থেকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত হচ্ছে? — ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে।

ভাষা আন্দোলন স্মরণে কী পদক প্রবর্তন করা হয়? — একুশে পদক।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কারা শহীদ হন? — সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বার ও তাজুলসহ অনেকে।

মাতৃভাষার জন্য কারা সংগ্রাম করেছে? — বাংলাদেশ।

1 Comments

  1. প্রবন্ধটি পুনরায় লেখার অনুরোধ একই কথা বারবার এসেছে যে বিরক্তির কারণ

    ReplyDelete
Post a Comment
Previous Post Next Post