সাধারণ জ্ঞান : প্রাণী বৈচিত্র্য - ১

প্রাণী বৈচিত্র্য - ১

হাইড্রা (Hydra) তে থাকে কোনটি? — মেসোগ্লিয়া, সিলেন্টরন এবং নিডোসাউট।

হাইড্রা (Hydra) এর স্বতন্ত্র চলন পদ্ধতি কয়টি? — দুটি। যথা : লুপিং বা হামাগুড়ি এবং সমারসল্টিং বা ডিগবাজী।

হাইড্রার (Hydra) লুপিং বা হামাগুড়ি চলন পদ্ধতি কেমন? — ধীরে চলন পদ্ধতি।

হাইড্রার (Hydra) সমারসল্টিং বা ডিগবাজী চলন পদ্ধতি কেমন? — দ্রুত চলন।

কোন সামুদ্রিক প্রাণী সামনের দিকে সাঁতার কাটতে পারে না? — জেলী ফিস।

ফিতা কৃমি কী ধরনের প্রাণী? — অন্তঃপরজীবী।

গোদ রোগের জন্য দায়ী কোন জীবাণু? — ফাইলেরিয়া কৃমি।

গোদরোগ সৃষ্টিকারী পরজীবীর নাম? — Wuchereria bancrofti

কেঁচো শ্বাসকার্য চালায়? — ত্বকের সাহায্যে।

প্রকৃতির লাঙল বা কৃষকের বন্ধু বলা হয় কাকে? — কেঁচো কে।

মাকড়সা, মাছি এবং ঘাসফড়িং এর পা আছে যথাক্রমে — ৮, ৬ এবং ৬ টি করে।

কোন প্রাণী তার দেহের ওজনের ৫০ গুণ বেশি ওজন বহন করতে পারে? — পিঁপড়া।

মৌমাছি মধু ঋতু কোনটি? — বসন্তকাল।

যে খাদ্যে কখনো পচন ধরে না — মধু।

একটি রাণী মৌমাছি কতবার ডিম পাড়ে? — ১০০০ বার।

মুক্তা হল ঝিনুকের — প্রদাহের ফল।

জলজ শামুক, ঝিনুকের খোলস কি দিয়ে গঠিত? — কার্বনেট।

কোন প্রাণীকে ডেভিল মাছ বলে? — অক্টোপাসকে।

প্রাণী জগতের শ্রেণিবিন্যাস

অ্যানিম্যালিয়া বা প্রাণিজগতের প্রাণীদেরকে দশটি প্রধান পর্বে ভাগ করা হয়েছে। যথা —

(১) প্রোটোজোয়া (Protoza) : এককোষী জীব। যেমন— অ্যামিবা, ম্যালেরিয়া জীবাণু।
(২) পরিফেরা (Porifera) : সরলতম বহুকোষী প্রাণী। যেমন— স্পনজিল, স্কাইফা।
(৩) সিলেন্টারেটা (Coelnterata) : হাইড্রা, জেলী ফিস ইত্যাদি।
(৪) প্লাটিহেলমিনথেস (Platyhelminthes) : ফিতাকৃমি, যকৃতকৃমি ইত্যাদি। ফিতাকৃমি অন্তঃপরজীবী।
(৫) নেমাটোডা (Nematoda) : যেমন— গোলকৃমি, ফাইলোরিয়া কৃমি।
(৬) অ্যানিলিডা (Annelida) : যেমন— জোঁক, কেচো ইত্যাদি।
(৭) আর্থোপোডা (Arthropoda) : প্রাণিজগতের বৃহত্তম পর্ব। যেমন— চিংড়ি, আরশোলা, প্রজাপতি, ফড়িং, কাঁকড়া, মাকড়সা, মাছি, পিঁপড়া, মৌমাছি, রেশম পোকা ইত্যাদি।
(৮) মলাস্কা (Mollusca) : যেমন— শামুক, ঝিনুক, অক্টোপাস ইত্যাদি।
(৯) একাইনোডার্মাটা (Echinodermata) : তারা মাছ, সমুদ্র শসা, একাইনাস ইত্যাদি।
(১০) কর্ডাটা (Chordata) : মানুষ, নীলতিমি, গরু, ছাগল, ব্যাঙ ইত্যাদি।

  • আর্থোপোডা (Arthropoda) পর্বের প্রাণীদের পাগুলো সন্ধিযুক্ত হয়। এদের দেহে হিমোসিল থাকে।
  • রেশম পোকা (Silk Worm) উপকারী পতঙ্গের মধ্যে অন্যতম। এর গুটি থেকে উন্নত মানের সুতা তৈরি হয় যা বস্ত্র শিল্পে ব্যবহৃত হয়। বিপুল ও সোনালী উন্নত জাতের রেশম পোকা। রেশম পোকার বৈজ্ঞানিক নাম: Bombyx mori। এটি তুঁত গাছের পাতা খেয়ে বাঁচে।
  • প্রতি চাকে কয়েকটি পুরুষ মৌমাছি, অসংখ্য কর্মী মৌমাছি এবং একটি রাণী মৌমাছি থাকে।রাণী মৌমাছি ২৩ দিন বয়স থেকে ডিম দেওয়া শুরু করে। একটি রাণী মৌমাছি দিনে ২০০০ টি ডিম দিতে পারে। কর্মী মৌমাছি স্ত্রী হলেও এরা প্রকৃতপক্ষে বন্ধ্যা। মধুতে হাইড্রোস্কোপিক প্রভাব এবং এসিডিক PH মিলে যে অবস্থা সৃষ্টি হয় তা মধু থেকে ব্যাকটেরিয়া অর্থাৎ মধুকে পচন হতে রোধ করে।
  • অক্টোপাসকে ডেভিল ফিস বলা হয় কারণ এদের দেহ হতে নিঃসৃত হয় একধরনের বিষ যার সংস্পর্শে মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা খুব বেশি।
  • ঝিনুক দুই ধরনের খোলসবিশিষ্ট জলজ প্রাণী। মুক্তা হলো ঝিনুকের প্রদাহের ফল। ঝিনুকের দেহ হতে নিঃসৃত পদার্থ জমাট বেঁধে মুক্তা তৈরি হয়।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post