সাধারণ জ্ঞান : পরাগায়ণ (Pollination)

পরাগায়ণ
Pollination

পরাগধানী ফুলের কোথায় থাকে? — উর্বর পুংকেশরের মাথায়।

পরাগধানী হতে পরাগরেণু স্থানান্তরিত হয়ে ফুলের গর্ভমুণ্ডে পতিত হওয়াকে বলে — পরাগায়ণ।

পরাগায়ণ কত প্রকার ও কী কী? — ২ প্রকার। যথা : স্বপরাগায়ণ এবং পরপরাগায়ণ।

স্ব–পরাগায়ণ কাকে বলে? — পরাগধানী হতে পরাগরেণু স্থানান্তরিত হয়ে একই ফুলের গর্ভমুণ্ডে বা একই গাছের অন্য একটি ফুলের গর্ভমুণ্ডে পতিত হওয়া স্ব–পরাগায়ণ বলে।

স্ব–পরাগায়ণ ঘটে এমন কিছু উদ্ভিদের উদাহরণ দাও। — শিম, টমেটো, কানশিরা, তুলা ইত্যাদি।

পরপরাগায়ণ কাকে বলে? — পরাগধানী হতে পরাগরেণু স্থানান্তরিত হয়ে একই প্রজাতির অন্য একটি গাছের ফুলের গর্ভমুণ্ডে পতিত হওয়া পরপরাগায়ণ বলে।

পরপরাগায়ণে সাধারণত মাধ্যম হিসেবে কোনগুলো কাজ করে থাকে? — বায়ু, কীটপতঙ্গ, প্রাণী এবং পানি।

বায়ু পরাগায়ণ কাকে বলে? — যেসব ফুলের পরাগায়ণ বায়ুর মাধ্যমে হয়ে থাকে তাকে বায়ু পরাগায়ণ বলে।

বায়ু পরাগায়ণ ঘটে এমন কিছু উদ্ভিদের উদাহরণ দাও। — ধান, গম, ভুট্টো, ইক্ষু ইত্যাদি।

পতঙ্গ পরাগায়ণের উদাহরণ দাও। — সূর্যমুখী, জুঁই, সরিষা, গোলাপ, পদ্ম, শালুক, জবা, কুমড়ো ইত্যাদি।

প্রাণী পরাগায়ণ কী? — যেসব ফুলের পরাগায়ণ পশুপাখি তথা কাঠবিড়ালি, বাদুর, পাখি ইত্যাদির মাধ্যমে সংঘটিত হয়ে থাকে।

প্রাণী পরাগায়ণের কিছু উদাহরণ দাও। — কদম, কলা, কচু, শিমুল, পলাশ ইত্যাদি।

পানী পরাগী ফুল কী? — যেসব ফুলের পরাগায়ণ পানির মাধ্যমে ঘটে তাকে পানি পরাগায়ণ বলে।

পানি পরাগায়ণের কিছু উদাহরণ দাও। — পাতা শ্যাওলা, কাঁটা শ্যাওলা ইত্যাদি।

ধানের ফুলে পরাগ সংযোগ কিভাবে ঘটে? — বাতাসের সাথে পরাগ ঝড়ে পড়ে।

যেসব ফুল রাতে ফোটে এবং পতঙ্গপরাগী সেসব ফুলে কোনটি থাকে? — তীব্র গন্ধ এবং সাদা পাপড়ী।

ডুমুরের পুংরেণুর সাথে স্ত্রী রেণুর সংযোগ স্থাপনের মাধ্যম  — কালো পিঁপড়া।

পাখি দ্বারা পুষ্পরেণু বহন করাকে বলে — Ornithophily.

ফলের উৎস ও প্রকৃতি অনুসারে ফলকে প্রধানত কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে?এবং সেগুলো কী কী। — ৩টি। যথা : সরল ফল, গুচ্ছ ফল এবং যৌগিক ফল।

ফলের সাধারণত কয়টি অংশ থাকে? — ৩টি। (বহিঃত্বক, মধ্যত্বক এবং অন্তঃত্বক)।

সরল ফল কাকে বলে? — যে ফল একটি ফুলের একটি মাত্র গর্ভপত্র বা একাধিক যুক্ত গর্ভপত্রবিশিষ্ট ডিম্বাশয় থেকে সৃষ্টি হয়, তাকে সরল ফল বলে।

কিছু সরল ফলের উদাহরণ দাও। — আম, জাম, কলা, মটর, শিম, সরিষা, ঢেঁড়স ইত্যাদি।

গুচ্ছ ফল কাকে বলে? — যে ফল একটি ফুলের একাধিক মুক্ত গর্ভপত্রবিশিষ্ট ডিম্বাশয় থেকে সৃষ্টি হয়, তাকে গুচ্ছ ফল বলে।

কয়েকটি গুচ্ছ ফলের উদাহরণ দাও। — আতা, পদ্ম, চম্পা, নয়নতারা, আকন্দ, আতা, শরীফা ইত্যাদি।

যৌগিক ফল কাকে বলে? — যখন একটি পুষ্প মঞ্জুরির সব ফুল মিলে একটিমাত্র ফলে পরিণত হয়, তখন তাকে যৌগিক ফল বলে।

কিছু যৌগিক ফলের উদাহরণ দাও। — আনারস, কাঁঠাল, ডুমুর ইত্যাদি।

একটি আদর্শ ফলে পাওয়া যায় — বহিঃত্বক, মধ্যত্বক এবং অন্তঃত্বক।

আনারস কোন জাতীয় ফল? — যৌগিক ফল।

পৃথিবীর সবচেয়ে সুস্বাদু ফল — আম।

মরিচে ঝাল লাগার কারণ কোনটি? — ক্যাপসিসিন।

৪০ প্রজাতির ফল একগাছে'র আবিষ্কারক হচ্ছেন — অধ্যাপক স্যাম ভন অ্যাকেন।

বীজের বিস্তরণ কী? — মাতৃ উদ্ভিদ হতে ফল ও বীজ বিভিন্ন উপায়ে দূর–দূরান্তে ছড়িয়ে পড়াকে বীজের বিস্তরণ বলে।

বটের বীজের বিস্তারণ কিভাবে ঘটে? — পাখির সাহায্যে।

অঙ্কুরোদগম বলে? — বীজ থেকে শিশু উদ্ভিদ উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াকে অঙ্কুরোদগম বলে।

যথাযথভাবে অঙ্কুরোদগম হওয়ার জন্য কিসের প্রয়োজন হয়? — পানি, তাপ ও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়।

বীজের অঙ্কুরোদগম প্রধানত কভাগে বিভক্ত? — ৩ ভাগে (মৃৎগত, মৃৎভেদী, জরায়ুজ)।

মৃৎগত অঙ্কুরোদগম ঘটে এমন উদ্ভিদের উদাহরণ দাও। — আম, ছোলা, মটরশুটি, ধান, গম ইত্যাদি।

কিছু মৃৎভেদী অঙ্কুরোদগম উদ্ভিদের উদাহরণ দাও। — তেঁতুল, লাউ, পেঁয়াজ, কুমড়া, শিম, রেড়ী ইত্যাদি।

লোনা পানির অধিকাংশ উদ্ভিদে যে বিশেষ অঙ্কুরোদগম দেখা যায় তাকে বলে — জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম।

কোন উদ্ভিদে জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম ঘটে? — কেওড়া, গরান ও সুন্দরী ইত্যাদি।

বীজের বিস্তার ঘটে কিসের সাহায্যে? — পাখির সাহায্যে।

বীজের অঙ্কুরোদগমের জন্যে বিশেষ অত্যাবশ্যকীয় উপাদান কোনটি? — পানি–তাপ–বায়ু।

1 Comments

  1. শাপলা ফুল এর পরাগায়ন মাধ্যম কোনটি,
    বায়ু,পানি,পতঙ্গ নাকি প্রাণী

    ReplyDelete
Post a Comment
Previous Post Next Post