অনুচ্ছেদ : তথ্যপ্রযুক্তি

তথ্যপ্রযুক্তি


বিজ্ঞানের জ্ঞানকে যে পদ্ধতির মাধ্যমে বিভিন্ন আবিষ্কার ও উৎপাদনে রূপ দেওয়া হয় তাকে বলে প্রযুক্তি। আর সেই প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য বিনিময় করে সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ত্বরান্বিত ও নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তার নাম তথ্যপ্রযুক্তি। তথ্যপ্রযুক্তি এখন মানুষের জীবনযাপনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করছে না। টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, ই-মেইলের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিদেশের যেকোনো খবর মুহূর্তের মধ্যেই পৌঁছে দেওয়া যায় দূরদূরান্তে। ই-মেইলের মাধ্যমে চিঠিপত্র, দরকারি ফাইল প্রেরণ করা যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক তথ্য সংগ্রহ করা যায়। ব্যবসায়-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক লেনদেন, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা, শিক্ষার যেকোনো তথ্য বা বিষয় সংগ্রহ করা যায়। এছাড়া মোবাইলে মেমোরি সেট ব্যবহার করে দেশ-বিদেশের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির তথ্যচিত্র ও বিনোদন উপভোগ করা যায়। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক বিভিন্ন প্রকাশনা, জার্নাল, ফিচার ইত্যাদি আমাদের গবেষণা ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক। বিভিন্ন পরীক্ষার ফল প্রকাশ, টেক্‌স্ট বুক সফ্টকপির ব্যবস্থা, অনলাইনে চাকরির আবেদন, ফি জমাদান, ভর্তির আবেদন ইত্যাদি কাজ সহজেই করা যায়। ডিজিটাল কৃষিব্যবস্থা, ডিজিটাল ভূমি জরিপ, ই-কমার্স, ই-লার্নিং, ই-বুকিং, ই-ভোটিংয়ের মতো আরও অনেক কাজ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অনায়াসে করা যাচ্ছে। একসময় যা ছিল কল্পনা আজ তা হাতের মুঠোয় এসে গেছে। আগামী দিনে এই তথ্যপ্রযুক্তিই বিশ্বের সামগ্রিক কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করবে, এমন ধারণা করা অসম্ভব নয়।


একই অনুচ্ছেদ আরেকবার সংগ্রহ করে দেয়া হলো


বর্তমান সময় তথ্যপ্রযুক্তির সময়। বিজ্ঞানের অব্যাহত জয়যাত্রার সঙ্গী হয়ে আমরা একুশ শতকে পা রেখেছি। এই অগ্রযাত্রায় অন্যতম প্রধান সহায়ক শক্তি হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি (Information Technology)। আজ আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া প্রায় অচল। ‘তথ্য’ কথাটি নানান অর্থে ব্যবহৃত হয়, যেমন- যথার্থতা, সত্যতা, প্রকৃত অবস্থা, তত্ত্ব, সত্য ইত্যাদি। অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তির আলোচনায় বলা যেতে পারে, তথ্য হলো বিজ্ঞানের জ্ঞান আর প্রযুক্তি হচ্ছে সে জ্ঞানের প্রায়োগিক দিকসমূহ। অর্থাৎ তথ্যের প্রয়োগ, সংরক্ষণ ও প্রচারের কৌশলকে তথ্যপ্রযুক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে প্রযুক্তিবিদ্যারও ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যার সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হচ্ছে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রা ও এর ব্যবহার আমাদের জীবনকে করেছে আরও সহজ ও গতিময়। স্থানিক দূরত্ব ঘুচিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের সামনে সম্ভাবনার নতুন নতুন দ্বার উন্মোচন করে দিচ্ছে। মৌলিক চাহিদা পূরণ থেকে শুরু করে জীবনমানের আরও আধুনিকায়নে তথ্যপ্রযুক্তি নিরন্তর অবদান রেখে চলেছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে চিকিৎসা-সংশ্লিষ্ট তথ্যের আদানপ্রদান এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সুফল বয়ে আনছে, পীড়িত মানুষের মুখে স্বস্তির হাসি ফোটাচ্ছে। আধুনিক বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের এই যুগে বাংলাদেশও এ বিষয়ে পিছিয়ে নেই। জনসাধারণ তাদের প্রাত্যহিক জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির নানাবিধ সুফল ইতিমধ্যে ভোগ করেছে। সেই সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তিপ্রেমী করে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ বিষয়টি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির এমন ইতিবাচক চর্চা ও ব্যবহার অব্যাহত রাখা বাঞ্ছনীয়। তাহলেই আমরা তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণ এবং প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারে গড়তে পারবে সমৃদ্ধ এক নতুন আগামী।


একই অনুচ্ছেদ আরেকবার সংগ্রহ করে দেয়া হলো


তথ্য প্রযুক্তি বলতে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার ও এর অধ্যয়নকে বোঝায়। এটি একটি গণভুক্ত নাম, যা প্রযুক্তি, শিক্ষা ও তথ্যের আন্তঃসম্পর্কীয় উন্নয়নের কারণে বর্তমান বিশ্বে সংঘটিত সব প্রকার উন্নয়নকে প্রদান করা হয়েছে। শব্দটি উন্নততর প্রযুক্তির ফলে পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে নির্দেশ করে। এর মধ্যে রয়েছে অসংখ্য আধুনিক সাফল্য যেমন কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট, সার্ফিং, ই-মেইল, ই-কমার্স, ই-গভর্নেন্স, ভিডিও কনফারেন্স, সেলুলার ফোন, পেজিং, ফ্যাক্স মেশিন, স্মাট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, এটিএম কার্ড প্রভৃতি। এর বিশাল গুরুত্ব রয়েছে। তথ্য মজুদ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, নিশ্চিতকরণ, প্রেরণ, গ্রহণ এবং তথ্য পুনরুদ্ধারে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এটি গাণিতিক ও যৌক্তিক সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়। প্রকল্প ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতেও তথ্য প্রযুক্তি সহায়তা করে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরণে অভিগমন করতে পারে। এর মাধ্যমে আমরা অন্যের সাথে যোগাযোগও করতে পারি। পৃথিবী এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখনও এই প্রযুক্তি পুরো দেশজুড়ে বিস্তৃত হয়নি। কেবলমাত্র ঢাকা, চট্টগ্রাম প্রভৃতির মতো বড় শহরের লোকেরাই এর সুবিধা ভোগ করছে। গ্রামাঞ্চলের লোকেরা এখনও এর সুবিধা হতে বঞ্চিত। এর প্রধান কারণ হলো সেখানে নেটওয়ার্কের অপ্রাপ্যতা। এর পাশাপাশি লোকেরা এগুলো ব্যবহার ও কাজে লাগানোর জন্য যথেষ্ট শিক্ষিত নয়। সরকারের উচিত এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া। তথ্যপ্রযুক্তির গুরুত্ব অনুধাবন করতে আমাদেরও উচিত লোকদের সাহায্য করা।

1 Comments

  1. khub boro. aro choto kore pulish korben. nahole mukhusto kora kothin hobe

    ReplyDelete
Post a Comment
Previous Post Next Post