মার্চের দিনগুলি

অনুচ্ছেদ : নারী শিক্ষা

নারী শিক্ষা


বিশ্বের প্রতিটি শিশু মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়ে চোখ খুলে পায় মা ও মাতৃভূমির প্রতিকৃতি। বড় হয় মা ও মাটির স্নেহে। প্রথম শিক্ষাগ্রহণ করে মায়ের কাছ থেকে। শিক্ষিত মা মানেই শিক্ষিত সন্তান। শিক্ষিত সন্তান মানে উন্নত নাগরিক, উন্নত জাতি। তাই একটি জাতির শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে বড় হয়ে ওঠার প্রথম শর্ত শিক্ষিত মায়ের আঁচলে থেকে শিক্ষাগ্রহণ করা। তাছাড়া নারী ও পুরুষ মানব সমাজের ভারসাম্য ও স্থিতির সমরূপ। নারী ও পুরুষের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশ। ফলে নারীকে পুরুষের সমান শিক্ষার সুযোগ না দিলে সে পিছিয়ে পড়বে। সভ্যতা বিকাশের গতি অনেকটা মন্থর হয়ে পড়বে। তাই জ্ঞান-বিজ্ঞান ও কর্মের ক্ষেত্রে নারীর আসন কার্যকর করা প্রয়োজন এবং তার পূর্বশর্ত নারী শিক্ষা। উচ্চশিক্ষার ফলে নারী আজ সমাজের উন্নয়নে অর্থনীতি, রাজনীতি সর্বক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রশাসনিক ক্ষেত্রে আজ নারীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। নারী শিক্ষার প্রসার আজ সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অত্যাবশ্যক। নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য সে পদক্ষেপগুলো নেয়া উচিত, সেগুলো হলো – ১. নারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ২. প্রয়োজনীয় স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা যাতে শুধু নারী/মেয়েরা পড়ালেখা করতে পারে, ৩. নারী নির্যাতন বন্ধ করা, ৪. মেয়েদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবার জন্য পৃথক পরিবহন, ৫. বয়স্ক নারীদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা, ৬. শিক্ষাব্যবস্থা অবৈতনিক ও বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা, ৭. শিক্ষাগ্রহণে নারীদের উৎসাহ দান করা, ৮. উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা। সবশেষে বলা যায়ত, “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।” একথা মনে রেখে, আমাদের স্বাধীন দেশে নারীকে শিক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত পর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে তুলতে হবে। তবেই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হবে। 


একই অনুচ্ছেদ আরেকবার সংগ্রহ করে দেয়া হলো


মানুষের মনুষ্যত্ব বিকাশের জন্য শিক্ষার প্রয়োজন। আর মা-ই হচ্ছে সন্তানের শিক্ষক। ‘আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদেরকে একটি শিক্ষিত জাতি দেবো’ নেপোলিয়ানের এই চিরন্মরণীয় কথার প্রতিধ্বনি আজো বিশ্বব্যাপী অনুরণিত হচ্ছে। কেননা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ নারী আজো শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ফলে সন্তানের প্রথম শিক্ষকই থেকে যাচ্ছে শিক্ষার অন্তরালে। উন্নত জাতি গঠনে তৈরি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতাা। সন্তান শিক্ষিত না হলে স্বাভাবিকভাবেই জাতির ভবিষ্যত অন্ধকার। কেননা আজকের শিশুই তো আগামী দিনের কর্ণধার। ফলে একটি দেশের সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবার, সে স্বদেশের উন্নয়ন ও সার্বভৌম রক্ষায় এমনকি ব্যক্তিগত উৎকর্ষের ক্ষেত্রেও নারী শিক্ষার আয়োজন। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন নারী শিক্ষা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘নারীশিক্ষা একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রধান উপকরণসমূহের একটি।’ তাই আজ সভ্যতার বিকাশে নারীশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন সারাজীবন নারীশিক্ষার জন্য আন্দোলন করে গেছেন। কেননা তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও হতে হবে শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী। নচেৎ বাঙালি পুরুষ একাকী উন্নতির শিকরে আরোহন করতে পারবে না। আজ একবিংশ শতাব্দীর এই অগ্রগতির সময়েও আমাদের অধিকাংশ নারীই শিক্ষাবঞ্চিত। ফলে নারীশিক্ষার অগ্রগতির জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করে অবৈতনিক করতে হবে। বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সহায়তা করতে তৈরি করতে হবে শিক্ষা কারিকুলাম। সর্বোপরি, নারীশিক্ষার ব্যাপক অগ্রগতি সাধনের লক্ষ্যে সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।


একই অনুচ্ছেদ আরেকবার সংগ্রহ করে দেয়া হলো


‘আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষত জাতি দেব’- নেপোলিয়ানের এই চিরস্মরণীয় কথার প্রতিধ্বনি আজও বিশ্বব্যাপী অনুরণিত হচ্ছে। কেননা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ নারী এখনো শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ফলে সন্তানের প্রথম শিক্ষকই থেকে যাচ্ছে শিক্ষার অন্তরালে। উন্নত জাতি গঠনে তৈরি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা। সন্তান শিক্ষিত না হলে স্বাভাবিকভাবেই জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কেননা আজকের শিশুই তো আগামী দিনের কর্ণধার। ফলে একটি দেশের সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবার, সে দেশের উন্নয়ন ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এমনকি ব্যক্তিগত, উৎকর্ষের ক্ষেত্রেও নারীশিক্ষার প্রয়োজন। নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন নারীশিক্ষা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘নারীশিক্ষা একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রধান উপকরণসমূহের মধ্যে অন্যতম।’ তাই আজ সভ্যতার বিকাশে নারীশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন সারাজীবন নারীশিক্ষার জন্য লেখালেখি করেছেন। কেননা তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, পুরুষ একাকি উন্নতির শিখরে আরোহন করতে পারবে না। আজ একবিংশ শতাব্দীর এই অগ্রগতির সময়েও আমাদের অধিকাংশ নারীই শিক্ষাবঞ্চিত। ফলে নারীশিক্ষার অগ্রগতির জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করে নারীর শিক্ষা গ্রহণের পথকে সুগম করে দিতে হবে। বয়স্ক নারীদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থা অবৈতনিক করতে হবে। বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সহায়তা করতে হবে, ব্যবস্থা করতে হবে উপবৃত্তির। শুধু তাই নয়, নারীদের মানসিক জগতের নানা বিষয়-বৈচিত্র্যকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করতে হবে শিক্ষা ব্যবস্থা। সর্বোপরি, নারীশিক্ষার ব্যাপক অগ্রগতি সাধনের লক্ষ্যে সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।


আরো দেখুন :

5 Comments

  1. ভালো উপকার হয়ছে আমার এটা পড়ার পর

    ReplyDelete
  2. ধন্যবাদ আপনাকে ভালো লাগলো

    ReplyDelete
  3. Thanks.This paragraph is very good and great.

    ReplyDelete
  4. Thanks for writting.This pargraph is very nice.

    ReplyDelete
Post a Comment
Previous Post Next Post