রচনা : আমার মা

সংসারে হাজার হাজার মেয়ে মানুষ আছে। কত বিচিত্র তাদের চেহারা। কত বিচিত্র তাদের বেশভূষা। কিন্তু তাদের কেউই আমার মায়ের মতো নয়। আমার মাকে দেখলে আমার মন যেমন আনন্দে নেচে ওঠে। এমন আর কাউকে দেখলে হয় না।

মাকে ঘিরেই আমার জগত। এই জগতে আমি আর আমার মা ছাড়া আর কেউ নেই। সুখে-দুঃখে, আনন্দে-বিষাদে আমার মুখ দিতে ‘মা’ কথাটি বের হয়ে পড়ে। আমার প্রাণের ‘মা’ কথাটি মনে হলে, আনন্দে শিহরণ জাগে, আমার দুঃখে সান্ত্বনা পাই।

মা আমাকে নিজের হাতে করে খেতে দেন। ভালো ভালো জিনিস ও ভালো ভালো খাদ্য আমার জন্য সযত্নে লুকিয়ে রাখেন। আমাকে ভালো জামা-কাপড় পরিয়ে, সুস্বাদু খাবার খাইয়ে মা যে কি আনন্দ পান তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। যে দিন মা আমাকে নিজ হাতে খাইয়ে দেন না, বা সাজিয়ে দেন না সেদিন আমার সাজা ও খাওয়া কোনোটাই হয় না।

আমার নিজের কাছে কেমন যেন খারাপ দেখায়, আমি মন মরা হয়ে থাকি। রাতের বেলায় যাদের বিছানায় গলা জড়িয়ে শুই। মা তখন গল্প করেন-শুনতে শুনতে আমি কখন যে ঘুমিয়ে পড়ি, টেরই পাই না। সাকালে মা আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেন। আমি মুখ হাত ধুয়ে আসতেই মা আমার জন্য নাস্তা সাজিয়ে বসে থাকেন।

আমি দুষ্টুমি করলে মা আ্মাকে বকেন। কিন্তু সে বকার মধ্যেও মায়ের স্নেহ উপচিয়ে পড়ে। মায়ের সে মিষ্টি বকা শুনার লোভে আমি মাঝে মধ্যে ইচ্ছে করে দুষ্টুমি করি।

মায়ের বুকে আমার দুনিয়া, আমার বেহে্‌শত। আল্লাহর রাসুল (সঃ) বলেছেন,
“আখেরাতে বেহে্‌শত মায়ের পায়ের নীচে।”

কবি সুরেন্দ্র নাথ মজুমদার ‘মা’ শব্দটিকে কবিতায় রূপ দিয়েছেন এভাবে,
“জনন, পালন, পুনশোধন, তোষণ,
জননী এ সকল করেন,
যার প্রেম সিন্ধু পরে মায়ার তরঙ্গ ভরে
বিশ্ব-বিম্ব বিহরে লীলায়।
প্রসীদ, প্রসন্ন-মনা জননী আমার।”

5 تعليقات

إرسال تعليق
أحدث أقدم