মার্চের দিনগুলি

ভাবসম্প্রসারণ : মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয় / আড়ালে তার সূর্য হাসে, / হারাশশীর হারা হাসি / অন্ধকারেই ফিরে আসে।

মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয়
আড়ালে তার সূর্য হাসে,
হারাশশীর হারা হাসি
অন্ধকারেই ফিরে আসে।

মানব জীবন যেন সুখ ও দুঃখ দিয়ে গড়া এক বিচিত্র মালা। সে জীবনে একটানা দুঃখ কেউ পায় না, চিরায়ত সুখের মুখও কেউ দেখে না। নদীর জোয়ার-ভাঁটার মতো তাতে সুখের পর আসে দুঃখ, দুঃখের পর সুখ। এই সুখ-দুঃখের দোলাচল নিয়েই মানুষের জীবন হয় পূর্ণ, উপভোগ্য।

মানব জীবনকে তুলনা করা চলে আকাশের সঙ্গে। সূর্যের আলোয় উদ্ভাসিত আকাশের মতোই মানুষের জীবনের দিনগুলো সুখময়, আনন্দময়। সে আকাশ কখনো কখনো ছেয়ে যায় কালো মেঘে, ঢাকা পড়ে সূর্য। মানুষের জীবনও তেমনি ঢেকে যায় দুঃখ-দুর্দশার কালো মেঘে। ঝড়-ঝঞ্ঝার সেই মেঘ দেখে দুর্বলচিত্ত মানুষ হয়ে পড়ে ভীতিবিহ্বল। কিন্তু দুর্যোগের কালো মেঘই মানব জীবনের চিরন্তন সত্য নয়। মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা সূর্যের মতোই তা সাময়িক। তাই আকস্মিক দুর্যোগ ও বিপদে ভেঙে না পড়ে প্রতিকূলতা মোকাবেলায় ধৈর্য ধরতে হয় দৃঢ়চিত্ত মানুষকে। বিপদ-বাধাকে জয় করার জন্যে নিতে হয় সংগ্রামের প্রস্তুতি। দুঃখ-কষ্ট-বিপদ-বাধা শেষে আবার মানবজীবনে দেখা দেয় সুখ-সূর্যের আলো। তেমনি জীবনে অমারাত্রির কালো আঁধার দেখেও শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। কারণ, নিকষ কালো অন্ধকারই কেবল মানুষের জীবনে অনিবার্য সত্য নয়, সেই আঁধারের বুকেই আবার উদিত হয় অস্তমিত চাঁদ। অপরূপ মাধুর্যময় করে তোলে জীবনকে। মানুষের জীবনে দুঃখ-দুর্যোগ সাময়িক। তা দেখে তাই ভেঙে পড়লে চলে না। আর সেই জন্যেই উচ্চারিত হয় কবিপ্রজ্ঞা :
’দেখেছি নিত্যের জ্যোতি দুর্যোগের মায়ার আড়ালে।’


এই ভাবসম্প্রসারণটি অন্য বই থেকেও সংগ্রহ করে দেয়া হলো


মানুষের জীবনে সুখ-দুঃখ পালাক্রমে আসে। কাজেই কখনো দুঃখ এল ভেঙে পড়লে চলবে না, কারণ দুঃখের আড়ালেই সুখ লুক্কায়িত।

মানুষের জীবন হলো সুখ এবং দুঃখ দিয়ে গাঁথা এক বিচিত্র মালার মতো। নিরবচ্ছিন্ন সুখ কিংবা নিরবচ্ছিন্ন দুঃখ কোনো মানুষের জীবনে স্থায়ী হয় না। তার জীবনে যখন আসে দুঃখ-বেদনার সেই অমানিশা, দুঃখ-বেদনা তখন অসহ্য বোধ হয়। মনে হয় সেই দুঃখরজনীর বুঝি শেষ নেই। কিন্তু অবশেষে তার দুঃখ-বেদনার সেই অমানিশার অবসান হয়। পূর্বদিগন্তে উদিত হয় সুখের সূর্য। কাজেই দুঃখ-কষ্ট, বিপদ-বাধা সাময়িক। তা দেখে মানুষের ভয় পাওয়া বা বেদনায় ভেঙে পড়া উচিত নয়। তাই আকস্মিক দুর্যোগ ও বিপদে ভেঙে না পড়ে প্রতিকূলতা মোকাবেলায় ধৈর্য ধরতে হয় দৃঢ়চিত্তে। বিপদ-বাধাকে জয় করার জন্য নিতে হয় সংগ্রামের প্রস্তুতি। তাই জীবনে অমারাত্রির কালো আঁধার দেখে শঙ্কিত হওার কারণ নেই। কারণ, নিকষ কালো অন্ধকারই কেবল মানুষের জীবনে অনিবার্য সত্য নয়, সেই আঁধারের বুকেই আবার উদিত হয় অস্তমিত চাঁদ। মানুষের জীবনেও তেমনি দুঃখের আঁধারে সুখের আলো লোপ পায়, কিন্তু তা ক্ষণিকের জন্যে।

মানব জীবনে আলো-আন্ধকার, সুখ-দুঃখ পালাক্রমে আসে। এর কোনোটিই এককভাবে আসে না। সুখ-দুঃখ, সাফল্য-ব্যর্থতা ইত্যাদির পালাবদলের মধ্য দিয়েই মানুষের জীবনচক্র পূর্ণ হয়।

5 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post