সাধারণ জ্ঞান : বঙ্গবন্ধু টানেল

২৮ অক্টোবর ২০২৩ চট্টগ্রামের পতেঙ্গা প্রান্তে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’-এর উদ্বোধন করা হয়। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম এই সুড়ঙ্গপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটিই দক্ষিণ এশিয়ায় নদী তলদেশের প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথ। টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এবং দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে। কর্ণফুলী নদীর উভয় পাশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং চীনের সাংহাই শহরের ন্যায় চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি অ্যান্ড টু টাউন’ মডেলে গড়ে তোলাই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। ২৯ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। টানেলের দুই টিউবের চার লেন দিয়ে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এতে কর্ণফুলী নদী পাড়ি দিতে ৩-৪ মিনিট সময় লাগবে। চীনা প্রতিষ্ঠান China Communication and Construction Company Limited এই সুড়ঙ্গ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন দায়িত্ব পালন করে। প্রতিষ্ঠানটি টানেল রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের দায়িত্বও পালন করবে। দুই টিউববিশিষ্ট চার লেনের টানেল প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ৫০ টাকার স্মারক নোট, স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু টানেল
Bangabandhu Tunnel - Toll Side

প্রশ্নোত্তরে বঙ্গবন্ধু টানেল-

বঙ্গবন্ধু টানেল হলো – কর্ণফুলী নদীর নিচে অবস্থিত বাংলাদেশের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ পথ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করেন – ২৮ অক্টোবর ২০২৩।

বঙ্গবন্ধু টানেলে নির্মাণ করা হয়েছে – কর্ণফুলী নদীতে।

বঙ্গবন্ধু টানেলের অপর নাম – কর্ণফুলী টানেল।

বঙ্গবন্ধু টানেলের পূর্ণ নাম – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল (Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Tunnel)

টানেলের ভূমিকম্প সহনীয় মাত্রা – রিখটার স্কেলে ৭,৫।

বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের সর্বপ্রথম যাত্রা শুরু হয় – ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।

বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন হয় – ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১৯

বঙ্গবন্ধু টানেল অবস্থিত – চট্টগ্রাম জেলায়।

টানেলটি সংযুক্ত হয়েছে – পতেঙ্গা ৪১নং ওয়ার্ডের নেভাল একাডেমির বন্দর অঞ্চল থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত।

মূল টানেলের দৈর্ঘ্য – ৩.৩২ কিলোমিটার।

সংযোগ সড়কসহ টানেলের মোট দৈর্ঘ্য – ৯.৩৯ কি.মি.।

বঙ্গবন্ধু টানেলের বায়ুচলাচল ফ্যান আছে – ৮টি।

বঙ্গবন্ধু টানেলের জেট ফ্যান সংখ্যা – ১২৬টি।

বঙ্গবন্ধু টানেলের টিউবের সংখ্যা – ২টি।

২টি টিউবে লেনের সংখ্যা – ৪টি।

দুইটি টিউবের প্রতিটির দৈর্ঘ্য – ২.৪৫ কিলোমিটার।

প্রতিটি টিউবের প্রস্থ – ৩৫ ফুট।

দুইটি টিউবের মধ্যবর্তী ব্যবধান – ১১মিটার।

দুইটি টিউবের উচ্চতা – ১৬ ফুট।

বঙ্গবন্ধু টানেলের ব্যাস – ১০.৮০ মিটার।

জিডিপিতে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি বাড়াবে – ০.১৬৬%।

সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য – উভয় দিকে মোট ৫.৩৫ কি.মি.।

বঙ্গবন্ধু টানেলের যানবাহনের গতিসীমা – ৮০ কি.মি./ঘণ্টা।

বঙ্গবন্ধু টানেলের গভীরতা – সর্বোচ্চ গভীরতা ১৫০ মিটার।

বঙ্গবন্ধু টানেলের যানবাহন চলাচল ক্ষমতা – প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৮০০০টি।

বঙ্গবন্ধু টানেল অর্থায়ন করে – বাংলাদেশ সরকার (৪৪৬১ কোটি ২৩ লাখ টাকা) এবং চীনের এক্সিম ব্যাংক (৫৯১৩ কোটি টাকা)।

বঙ্গবন্ধু টানেলের ইংরেজি অপর নাম – Two towns – one city।

বঙ্গবন্ধু টানেলের স্বত্বাধীকারী – বাংলাদেশ সরকার।

নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম টানেল – বঙ্গবন্ধু টানেল।

বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণে আর্থিক সহায়তাকারী দেশ – চীন।

বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রবেশপথ – চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট থেকে কর্ণফুলী নদীর ২ কি.মি. ভাটির দিকে নেভি কলেজের নিকট।

বিশ্বের যে শহরের মতো চট্টগ্রাম ওয়ান সিটি-টু টাউন (এক নগর দুই শহর) – চীনের সাংহাই নগরীর মতো।

বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ (বাস্তবায়ন) করে – চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন এ্যান্ড কনস্ট্রাশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)

বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প ব্যায় – প্রায় ১০৬৮৯.৭১ কোটি টাকা।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post