অনুচ্ছেদ : পেগাসাস

পেগাসাস


বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত স্পাইওয়্যার সফটওয়্যার হলো ‘পেগাসাস’, যা গোয়েন্দা নজরদারির কাজে ব্যবহার করা হয়। স্পাইওয়্যারটির নামকরণ করা হয় পৌরাণিক ডানাযুক্ত ঘোড়া পেগাসাসের নামানুসারে। ইসরায়েলভিত্তিক গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান NSO Group এর উদ্ভাবক। ধারণা করা হয়, ২০১৬ সাল থেকে পেগাসাস কখনো ‘কিউ সুইট’, কখনো ‘ট্রাইডেন্ট’ নামে ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে অত্যাধুনিক স্পাইওয়্যার সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে পেগাসাসকে সবচেয়ে কার্যকর বলে মনে করা হয়। এটি সহজেই আইওএস, অ্যাপল ও অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে অনুপ্রবেশ করতে পারে। এটা এতটাই ভয়ংকর যে একবার কারো মোবাইল ফোনে ঢুকলে ফোনের পুরো সিস্টেম নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় এবং এর মাধ্যমে নজরদারি প্রতিষ্ঠান সেই ফোনের মেসেজ, ছবি বা ইমেইল হস্তগত করতে পারে, ফোনে কথাবার্তা রেকর্ড করতে পারে এবং গোপনে এর মাইক্রোফোন চালু করতে পারে, এমনকি ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে গোপনে ভিডিও ধারণ করতে পারে। পেগাসাসের প্রথম সংস্করণের কথা গবেষকরা জানতে পারেন ২০১৬ সালে। পরবর্তীতে NSO তাদের এই নজরদারির যন্ত্রের অনেক উন্নয়ন ঘটায়। ২০১৯ সাল থেকে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানসহ ১৬টি সংবাদপত্র 'পেগাসাস প্রোজেক্ট' নামে একটি তদন্ত করে। সম্প্রতি তারা পেগাসাসের হ্যাকিংয়ের ঘটনা ফাঁস করেছে। ফাঁস হওয়া একটি ডেটাবেইসে ৪৫টি দেশের ৫০,০০০-এর বেশি ফোন নম্বর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৬ সাল থেকে NSO'র গ্রাহক এদের বিষয়ে তৎপর ছিল।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post