ভাবসম্প্রসারণ : লাইব্রেরি জাতির সভ্যতা ও উন্নতির মানদণ্ড

লাইব্রেরি জাতির সভ্যতা ও উন্নতির মানদণ্ড

মূলভাব : লাইব্রেরি থেকে জ্ঞান ও দিকনির্দেশনা আহরণ করেই জাতির উন্নতি এবং সভ্যতার উৎকর্ষ সাধন করা যায়। আবার লাইব্রেরির মাধ্যমেই একটি জাতির সভ্যতা ও উন্নতির মানের পরিচয় পাওয়া যায়।

সম্প্রসারিত ভাব : লাইব্রেরি দেশ ও জাতির অতীত ও বর্তমানের সেতুবন্ধন। কেননা এতে জাতির রুচির মান, জ্ঞানের গভীরতা ও সভ্যতার অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। একটি জাতি বা দেশের সাহিত্য-শিল্পকলা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, খেলাধুলা-বিনোদন, আচার-অনুষ্ঠান-উৎসব, সুখ-দুঃখ, আন্দোলন-সংগ্রাম, জীবনযাপন ইত্যাদির বাস্তব রূপ ধারণ করে রাখে লাইব্রেরি। সত্য ও জ্ঞান অনুসন্ধানী মানুষ লাইব্রেরিতে এসে নিজেকে সমৃদ্ধ করে। পরবর্তীতে জাতির সভ্যতা লালন এবং এর উন্নতিতে ভূমিকা রাখে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের আকাঙ্ক্ষা। লাইব্রেরি কালের স্বাক্ষী এবং পরম বন্ধু। এখানে এসে বইপত্র-পত্রিকা পাঠ করে ক্লান্তি, মনের দুঃখ-বিষাদ এবং সমস্যাবলি দূর করা যায়। বইয়ের ভুবন একটা আকর্ষণীয় ভুবন। এজন্যই বলা হয়েছে, ‘লাইব্রেরি মনের হাসপাতাল।’ একটি জাতির লাইব্রেরি শুধু সব ধরনের তথ্যই সংরক্ষণ করে না, উন্নতিতেও সহায়তা করে। এ জন্যই বড় বড় যুদ্ধের পরে বিজয়ী শক্তি পরাজিত জাতির লাইব্রেরি ধ্বংস করেছে। কাজেই লাইব্রেরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মন্তব্য : যে জাতি যত উন্নত সে জাতির লাইব্রেরি তত বড় ও সমৃদ্ধ। কাজেই লাইব্রেরিতে পড়া-লেখা করতে এবং নতুন নতুন লাইব্রেরি গড়ে তুলতে আমরা উৎসাহী ও অনুপ্রাণিত হই।

5 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post