অনুচ্ছেদ : ইভ টিজিং

ইভ টিজিং


বিভিন্ন সামাজিক সমস্যাগুলোর মধ্যে ইভটিজিং বা নারী উত্যক্তকরণ আমাদের সমাজে একটা মারাত্মক হুমকী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই তীব্র সমস্যাটা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটা নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। টিজিং অর্থ হলো কাউকে দেখে হামা বা তাদেরকে নিয়ে বন্ধুস্থলে কিংবা রাগাতে বা বিব্রত করতে কৌতুক করা। ইভ টিজিং প্রধানত নারীদের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রধানত টিন এজার বা কিশোরী মেয়েরাই এই শিকার। কিছু ভবঘুরে ছেলেরা স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের প্রতি কৌতুক বা চালাকী করতে পছন্দ করে। এই ধরনের ছেলেরা এত বাজে যে তারা কিশোরী মেয়েদের সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। ইভ টিজিং সংঘটনের অনেক কারণ আছে। সামাজিক সচেতনতার অভাব ও যুবকদের নৈতিক অবক্ষয়কেই এর মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। এই ক্ষেত্রে পশ্চিমা সংস্কৃতি একটা বড় ভূমিকা পালন করে। ইভ টিজিং এর ফলাফল বর্ণনাতীত। অনেকে আত্মহত্যা করে অকালে মারা যায়। এটা অন্যান্য মেয়েদেরকেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে নিরুৎসাহিত করে। এটা আমাদের সামাজিক উন্নতি এবং জাতীয় অগ্রগতিকে পিছিয়ে দেয়। যদিও সাধারণ জনগন এটার প্রতিবাদে তৎপর হয়েছে। সরকার এই জঘন্য কাজের নিয়ন্ত্রণে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তবু ইভ টিজিং ঘটেই চলেছে। এই সমস্যা যদি এক্ষুণি সমাধান না করা যায় এটা একটা ঘূর্ণীঝড়ে রূপ নেবে। এই সমস্যা দূর করতে হলে উত্যক্তকারীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এই সম্পর্কিত আইনের অবশ্যই প্রয়োগ করতে হবে। যুবক শ্রেণীকে নৈতিক মূল্যবোধ অনুশীলন করতে হবে।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post