ভাষণ : স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য

স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তুমি তোমার বক্তব্য উপস্থাপন কর।

অথবা, মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে তোমাকে এক আলোচনা সভায় ভাষণ দিতে হবে। ভাষণটি তৈরি কর।

অথবা, মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির একটি ভাষণ তৈরি কর।

অথবা, ‘স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান বক্তা হিসেবে একটি ভাষণ তৈরি কর।

‘স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা

অনুষ্ঠানের মাননীয় সভাপতি, সম্মানিত প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, আলোচকবৃন্দ, সুধীমণ্ডলী, পৃথিবীর বহু জাতিই স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছে। যে দিনটিতে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয় সেটি সেই দেশের স্বাধীনতা দিবস। প্রতি বছরই একবার করে সেই স্মরণীয় ও তাৎপর্যময় দিনটি উপস্থিত হয়। তখন সেই জাতি প্রাণশক্তিতে উজ্জীবিত হয়।

স্বাধীনতা একটি জাতির তথা দেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। যে জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ সে জাতির জীবনে কোনো গৌরব নেই। স্বাধীনতা জাতিকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে তোলে। তাই জাতীয় জীবনে স্বাধীনতার গুরুত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

সম্মানিত সুধী,
বাঙালির জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবসের অবদান ও গুরুত্ব ব্যাপক। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এর জন্য বাঙালিকে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সেই ১৯৭১ সালের মহান দিনের কথা স্মরণ করেই প্রতিবছর ছাব্বিশে মার্চ আমরা পালন করি স্বাধীনতা দিবস ।

সুধীমণ্ডলী,
পরাধীনতা আর শোষণের বর্ণনা থেকে আমরা এ দিনে মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করি। স্বাধীনতা দিবসে তাই আমাদের মর্যাদা নতুন করে উপলব্ধি করার সময় ও সুযোগ নিয়ে আসে এ দিনটি।

স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা রক্ষা করতে হলে তার জন্য আমাদের তৈরি হতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কম বড় কাজ নয়। সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য স্বাধীনতা দিবস আমাদের কর্তব্যসচেতন করে। এ দিনটি আমাদেরকে নতুন প্রেরণায় উজ্জীবিত করে তোলে। আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জোগায়। ধন্যবাদ।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post