সাধারণ জ্ঞান : দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার

দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার

দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার কবে জন্মগ্রহণ করেন? — ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দে।

তিনি কোথায় জন্মগ্রহণ করেছেন? — ঢাকার উলাইল গ্রামে।

দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার মূলত কি হিসাবে পরিচিত? — শিশুসাহিত্যিক ও লোক সংগ্রাহক হিসাবে।

তাঁর রচিত প্রবন্ধসমূহ কোন কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়? — 'প্রদীপ' ও 'সাহিত্য পরিষদ পত্রিকা'য়। 

তিনি নিজে কোন পত্রিকাটি প্রকাশ করেছিলেন? — সুধা পত্রিকা। 

তিনি জমিদারীর কাজে দশ বছর ধরে ময়মনসিংহে থেকে কি করেন? — গ্রাম বাংলার লুপ্তপ্রায় কথাসাহিত্য সংগ্রহ করেন এবং সেগুলোর উপর গবেষণা করেন।

তিনি তাঁর সংগ্রহকৃত লোকসংগ্রহ উপাদানগুলো কার পরামর্শে কীভাবে প্রকাশ করেন? — দীনেশচন্দ্র সেনের পরামর্শে রসকথা, ব্রতকথা, রূপকথা ও গীতিকথা এই ৪ ভাগে ভাগ করে তা প্রকাশ করেন।

তিনি কোথায় সভাপতি নির্বাচিত হন? — বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ ও বৈজ্ঞানিক পরিভাষা সমিতির।

তিনি পরিষদ কর্তৃক কোন পত্রিকার সম্পাদক নির্বাচিত হন? — পথ নামক সাময়িকীর।

তাঁর সংগৃহীত কাহিনী নিয়ে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো কী? — ঠাকুরমার ঝুলি, ঠাকুরদাদার ঝুলি, দাদা মশায়ের থলে, ঠানদিদির থলে, খোকা বাবুর খেলা, আমাল বই, কিশোরদের মন, বাংলার সোনার ছেলে, পৃথিবীর রূপকথা ও সবুজ লেখা।

'ঠাকুরমার ঝুলি' সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ। — 'ঠাকুরমার ঝুলি' (১৯০৭) বাংলাদেশে প্রচলিত বিভিন্ন রূপকথার সংকলন। রূপকথার সঙ্গে এখানে উপকথার বৈশিষ্ট্যও আছে। কারণ পশু পাখির মুখ দিয়েও কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এই গল্পগুলি বলার গ্রামীণ রীতি ও ভাষা যথাসম্ভব অক্ষুণ্ণ রেখে দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার সম্পাদনা ও প্রকাশ করে চিরস্মরণীয় হয়েছেন। 

'ঠাকুরমার ঝুলি'র পরবর্তী খণ্ডের নাম কী? — পরবর্তী খণ্ডের নাম 'ঠাকুরদাদার ঝুলি' (১৯০৯)। 'ঠাকুরমার ঝুলি' ও 'ঠাকুরদাদার ঝুলি' শিশুসাহিত্য বটে। কিন্তু এগুলো বাংলা সাহিত্যের লোকসাহিত্যেচর্চার ইতিহাসেও অমূল্য সম্পদ।

তিনি কোন ছদ্মনামে লিখতেন? — দৃষ্টিহীন।

তিনি বাংলায় কিসের পরিভাষা রচনা করেন? — বিজ্ঞানের।

তিনি রূপকথা লেখক হিসেবে কার উচ্ছসিত প্রশংসা লাভ করেন? — বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। 

তিনি কবে মৃত্যুবরণ করেন? — ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post