অনুচ্ছেদ : বায়োগ্যাস প্লান্ট

বায়োগ্যাস প্লান্ট


মৃত পশু-পাখি, বৃক্ষ, লতা-পাতা, শাক-সবজির ফেলে দেয়া অংশ, গরু মহিষের গোবর, মানুষ, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা বা পঁচনশীল পদার্থের মধ্য থেকে যে গ্যাস উৎপাদিত হয় তাকে বায়োগ্যাস বলে। পঁচনশীল পদার্থ থেকে যে প্রক্রিয়ায় বায়োগ্যাস সংগ্রহ করা হয় সে প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় প্লান্ট। সাধারণত দুই প্রক্রিয়ায় বায়োগ্যাস সংগ্রহ করা হয়। যথা- ভাসমান ডোম প্রক্রিয়া ও অভাসমান ডোম প্রক্রিয়া। ডোম হচ্ছে এমন একটি সিলিন্ডার বা নল যার ভেতরে বায়োগ্যাস উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল হিসেবে পঁচনশীল পদার্থ সমূহ রাখা হয়। সিলিন্ডার বা নলের ভেতরে থাকা যে পঁচনশীল পদার্থগুলো ডুবন্ত অবস্থায় থেকে গ্যাস উৎপাদন করে তাকে বলে অভাসমান ডোম প্রক্রিয়া। বায়োগ্যাস দিয়ে চুলা জ্বালানো যায়। এতে বাড়ি ঘরের রান্না-বান্নার কাজ চলে। এ গ্যাস দিয়ে লাইট জ্বালিয়ে আলোর ব্যবস্থা করা যায়। বৈদ্যুতিক পাখা ও টেলিভিশন চালানো যায়। এমনকি পাওয়ার পাম্প ও জেনারেটর চালানো সম্ভব। বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করে রাষ্ট্রীয় গ্যাস, বিদ্যুতের উপর চাপ কমানো সম্ভব। এটি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের সমাধান করতে পারে। বায়োগ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে পঁচনশীল বর্জ্য পদার্থও সম্পদে পরিণত হতে পারে। এমনকি বায়োগ্যাস উৎপাদনের জন্য গরু, মহিষ, হাঁস, মুরগির খামার সম্প্রসারিত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। যে কোনো পরিবারে বা খামারে অতি অল্প ব্যয়ে একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট যথাযথভাবে নির্মাণ করলে প্লান্টটি একশ বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। বর্তমান সরকার বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের জন্য ঋণ দানের কর্মসূচি গ্রহণ করে প্রকল্প ভিত্তিক আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর উন্নয়নমুখী এ পরিকল্পনাটি দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছেন।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post