মার্চের দিনগুলি

এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা জানিয়ে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি পত্র

তোমার এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য সম্পাদকের নিকট একটি পত্র লেখো। 


২৪ মে, ২০২১

বরাবর
সম্পাদক
দৈনিক জনকণ্ঠ
২৪/এ, নিউ ইস্কাটন
ঢাকা।

বিষয় : নিম্নোক্ত পত্রটি চিঠিপত্র কলামে প্রকাশের জন্য আবেদন।

জনাব,
আপনার সম্পাদিত বহুল প্রচারিত ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’ পত্রিকায় নিম্নলিখিত পত্রটি প্রকাশ করলে বাধিত হব।

নিবেদক-
ইলতাজুল হক
নবাবগঞ্জ

শোল্লা ইউনিয়ন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি 

নবাবগঞ্জ থানা রাজধানী থেকে মাত্র ২৫কি.মি. দূরত্বে হলেও অনেকটা বাতির নিচে অন্ধকারের শামিল। কেননা এ থানার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। সৃষ্ট পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করছে একদল স্বার্থান্বেষী মানুষ, যার ফলে সমাজের সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

বছর কয়েক পূর্বেও নবাবগঞ্জ থানার শোল্লা ইউনিয়ন ছিল অপরাধহীন একটি এলাকা। এলাকার মানুষ রাতে দরজা জানালা লাগাতে ভুলে গেলেও ঘর বাড়ি থেকে কোনো কিছু চুরি হতো না। কিন্তু ইদানিং থানা পুলিশের গাফিলতি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রভাবে খারাপ মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। এরা এলাকায় একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অপকর্মের মধ্যে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি এমনকি মানুষ হত্যার মতো জঘন্য ঘটনাও ঘটছে। যার কারণে এলাকার মানুষ ভীত-শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। 

সন্ত্রাসীদের উৎপাতে এলাকার সাধারণ মানুষ এবং মেয়েরা স্কুল-কলেজে যেতে পারে না। দুর্বত্তরা দলবেঁধে রাস্তায় ঘোরাফেরা করে সুযোগ বুঝে সাধারণ মানুষ ও মেয়েদের টাকা পয়সা, সোনার চেন, ঘড়ি ইত্যাদি ছিনতাই করে। আবার এসব সুযোগ না পেলে দেখা যায় মেয়েদের অশ্লীল-অকথ্য ভাষায় উত্ত্যক্ত করে। যার জন্যে অনেক মেয়েই উপায়ন্তর না দেখে স্কুল কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অতীতের শান্তিপূর্ণ এ এলাকাটি অচিরেই একটি অশান্তির আখড়া হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। 

এ অবস্থায় এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলার জন্যে এলাকাবাসী মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করছে। যাতে প্রশাসনে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়। এলাকাটিতে জরুরিভিত্তিতে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্যে এলাকাবাসী প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছে। 

শোল্লা ইউনিয়নবাসীর পক্ষে 
ইলতাজুল হক 
নবাবগঞ্জ


এই পত্রটি আরেকবার সংগ্রহ করে দেওয়া হলো


২৫ জুলাই, ২০২০

সম্পাদক,
দৈনিক প্রথম আলো
১০০, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত 'দৈনিক প্রথম আলো' পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ বিভাগে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বক্তব্যটি প্রকাশের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।

নিবেদক
গৌতম কুণ্ডু
অভয়নগর, যশোর।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি চাই

যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার জনগণ কতিপয় সন্ত্রাসীর হাতে জিম্মি রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভয়, আতঙ্কে মানুষ তাদের দিন-ক্ষণ অতিবাহিত করছে। এলাকার পুরুষ মানুষগুলো রাতে নিজেদের ঘরে ঘুমোতে পারছে না। স্থানীয় গুটিকতক প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রচ্ছায়ায় এসব সন্ত্রাসী লালিত-পালিত হচ্ছে। অধিকাংশ সন্ত্রাসী সর্বহারার সদস্য। তারা কারণে-অকারণে মানুষের বাড়িতে ঢুকে চাঁদা আদায় করছে। রাতের অন্ধকারে বড় বড় গরু-ছাগলও ধরে নিয়ে গিয়ে উৎসব-আনন্দ করছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই তার ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না।

প্রতি রাতেই কোনো না কোনো বাড়িতে হামলা হচ্ছে। দিনের বেলায়ও রেহাই নেই। উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর রাতে মেহেরপুর বাজারে ডাকাতি হয়েছে। ওই একই রাতে স্থানীয় এক ডাক্তারের বাড়িতে ঢুকে ডাকাতরা সোনার অলংকার ও নগদ সত্তর হাজার টাকা নিয়ে গেছে।

চলমান এ মহাবিপদ থেকে রক্ষার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

গ্রামবাসীর পক্ষে
গৌতম কুণ্ডু
অভয়নগর, যশোর।

4 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post