মার্চের দিনগুলি

অনুচ্ছেদ : জাতীয় পতাকা

জাতীয় পতাকা


জাতীয় পতাকা যেকোনো দেশের স্বাধীনতা, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ঐতিহ্যের প্রতীক। আমাদের জাতীয় পতাকাও অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত। এ পতাকা স্বাধীনতা ও আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। আমাদের কাছে এ পতাকা অত্যন্ত প্রিয় ও পবিত্র। আমাদের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০:৬। পতাকার মাঝখানের লাল বৃত্তটির পরিমাপ দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ। আমাদের জাতীয় পতাকার রং গাঢ় সবুজ এবং মাঝখানে লাল বৃত্ত। সবুজ হচ্ছে সজীবতা ও প্রাচুর্যের প্রতীক, আর উদীয়মান লাল সূর্য রক্তাক্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতিবাহী। সবুজ অর্থ শস্যের প্রাচুর্য, জীবনের উচ্ছলতা ও তারুণ্যের অফুরন্ত আনন্দ। আর সূর্যের লাল রং শহীদদের বুকের তাজা রক্তের চিহ্ন। আমাদের পতাকা বহন করে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্রের মহাবাণী। হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই মিলেমিশে এ পতাকাতলে সমবেত হয়, দেশকে ভালোবাসার ব্রত গ্রহণ করে। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ সরকারের নির্দেশে যেকোনো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রত্যেক কর্মদিবসে সরকারি ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা ও এর মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের সব নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব। এ পতাকার সম্মান ও গৌরব আমরা জীবন দিয়ে সমুন্নত রাখব।


একই অনুচ্ছেদ আরেকবার সংগ্রহ করে দেয়া হলো


জাতীয় পতাকা একটি স্বাধীন জাতির মর্যাদা ও স্বকীয়তার প্রতীক। প্রতিটি স্বাধীন জাতির নিজস্ব জাতীয় পতাকা রয়েছে। জাতীয় পতাকাই প্রমাণ করে দেশটি স্বাধীন ও সর্বময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী। তাই জাতীয় পতাকার মূল্য অপরিসীম। এ পতাকা দুর্বলচিত্তের প্রাণে বল সঞ্চার করে, ভীরুকে সাহস দেয়, অকর্মণ্যকে করে কর্মঠ ও হতাশাগ্রস্তদের শোনায় আশার বাণী। দেশকে গড়ে তোলার জন্য জাতীয় পতাকা সকল মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। আমরা বাংলাদেশি- আমাদের দেশের নাম বাংলাদেশ। বহু সংগ্রাম ও রক্তদানের বিনিময়ে পরাধীনতার গ্লানি মুছে পৃথিবীর বুকে আমরা স্বাধীন জাতির মর্যাদা অর্জন করেছি। আমাদের মতো এত রক্তের বিনিময়ে জাতীয় পতাকা অর্জন পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের ইতিহাসে নেই। আমাদের দেশের জাতীয় পতাকায় আয়তাকার সবুজ রঙের মাঝখানে লাল বৃত্ত চিত্রিত। দৈর্ঘ্য প্রস্থের অনুপাত ১০:৬। অর্থাৎ যদি দৈর্ঘ্য ৩০৫ সে.মি. (১০ ফুট) হয় প্রস্থ ১৮৩ সে.মি. (৬ ফুট) হবে। বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকা বিভিন্ন রঙের ও বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে। জাতীয় পতাকা দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে অত্যন্ত গৌরবের। এজন্য জাতীয় পতাকার প্রতি সকলে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে থাকে। জাতীয় পতাকা আমাদের দেশপ্রেমের শিক্ষা দেয়। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করে থাকে। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের উচিত জাতীয় পতাকাকে যথাযথ সম্মান করা। বুকের রক্ত দিয়ে হলেও পতাকার মর্যাদা রক্ষা করা উচিত।

4 Comments

  1. add a point saying "the designer of this flag was kamrul hassan and it contained the map of bangladesh before"... sounds even better... overall... nice job author!

    ReplyDelete
  2. Yes you are right (unknown) but it's not bad keep going author

    ReplyDelete
Post a Comment
Previous Post Next Post