সাধারণ জ্ঞান : আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক

মংড়ু কোন দু’টি দেশের সীমান্ত এলাকা? – বাংলাদেশ-মায়ানমার।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পূর্ব-পশ্চিম দ্বন্দ্বের ফলে সৃষ্ট পূর্বের অর্থনৈতিক জোটটির নাম ছিল – কমেকন।

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা হলো বিশ্ব পর্যায়ে জাতীয় নিরাপত্তা রা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি নতুন বিষয়ে পরিণত হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নামে পরিচিত। যদিও এটা স্বাধীন ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত কিন্তু একটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি বিশেষ ক্ষেত্র। ১৯৫০ সাল থেকে এটা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। 

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক হল আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষ দুই ক্ষেত্র। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের ক্ষেত্রে আন্তঃরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বলতে দুই বা ততোধিক রাষ্ট্রের পারস্পরিক আচরণগত ধারণাকে বোঝানো হয়। জাতীয় স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে অপরাপর রাষ্ট্রের সাথে কুটনৈতিক কৌশলের ব্যবহারগত পদ্ধতিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বলা হয়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক মূলতঃ স্বাধীন সরকারসমূহের মধ্যে সরকারি যোগাযোগ নির্দেশ করে। 

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্র, কৌশলের ক্ষেত্র ও শান্তির ক্ষেত্র ইত্যাদি বিষয় নিয়েও আলোচনা করে। 

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্র : 
১. অর্থনৈতিক শক্তি 
২. ধর্মীয় ও আদর্শগত দ্বন্দ্ব 
৩. বাণিজ্য, ব্যবসা ও অর্থনৈতিক দ্বন্দ্ব 
৪. শক্তির যোগান 
৫. সামরিক ক্ষমতার প্রথাগত ও গতানুগতিক ধরণ 
৬. যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল 
৭. খাদ্য, এছাড়াও যা মানব নিরাপত্তার প্রতি হুমকি 
৮. জলবায়ুর পরিবর্তন 
৯. অ-রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড 
১০. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 
১১. পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব 
১২. স্বাস্থ্য ও অন্যান্য বিষয়াদি 

বৃহৎ পরিসরে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সকল বিষয়কে নিরাপত্তার মধ্যে আন্তর্ভুক্ত করে কিন্তু প্রথাগত দিক থেকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা শুধু সামরিক দিককে নিরাপত্তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে।

নিরাপত্তার প্রকরণ 

নিরাপত্তা হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে রাষ্ট্র মনে করে যে, তার কোন সামরিক আক্রমণের ভয় নেই, রাজনৈতিক কোন চাপ নেই অথবা অর্থনৈতিক কোন সংঘর্ষ নেই, যাতে সে তার উন্নয়ন ও অগ্রগতি স্বাধীনভাবে সম্পন্ন করতে পারে।

Nayef Al-Rodham নিরাপত্তাকে ৫টি দিক থেকে ব্যাখ্যা করেছেন।
১. মানব নিরাপত্তা
২. পরিবেশের নিরাপত্তা
৩. জাতীয় নিরাপত্তা
৪. আন্তঃরাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা
৫. বৈশ্বিক নিরাপত্তা

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার তত্ত্ব 

বাস্তববাদ (Realism) : বাস্তববাদ যে ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত তা হলো ব্যক্তিকে (individual) প্রধানত স্বার্থপর ও ক্ষমতালোভী হিসেবে দেখা। সকল ব্যক্তি যখন নিজেদের মধ্যে সংগঠিত হয়ে বসবাসের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র গড়ে তুলে তখন প্রতিটি রাষ্ট্র এককভাবে তার নিজের জাতীয় স্বার্থ অনুসরণ করে যা শক্তির (Power) এর পরিভাষা অনুযায়ী সংজ্ঞায়িত হয়। 

এ রাষ্ট্রসমূহ অরাজক আন্তর্জাতিক কাঠামোতে (International Structure) অবস্থিত বলে তাদেরকে নিজেদের উপর নির্ভর করতে হয় এ ব্যাপারে সাধারণত শক্তিসাম্য (Balance of Power) ও পারস্পরিক ভয় দেখিয়ে নিবৃত্ত করার (Deterrence) মত ব্যবস্থাদির উপর নির্ভর করতে হয়। 

উদারনীতি (Liberalism) : উদরনৈতিক তত্ত্বের উদ্ভব হয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইউরোপে জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে উন্নতি বিধানের যুগ শুরু হবার সাথে। এটি উনবিংশ শতাব্দীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদারনীতির মধ্য দিয়ে বিশ্ব শতাব্দীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের আদর্শবাদ প্রচারের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা লাভ করে। উদারতাবাদ-এর বিখ্যাত লেখক হলেন, থমাস পেইন, ইমানুয়েল কন্ট। কন্ট এর মতে, “Perpetual peace is arguably seen as the starting point of contemorary liberal thought.” 

আন্তঃরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক 

অধ্যাপক ফে (Sidney B. Fay) বলেছেন, ‘শক্তিসাম্যের অর্থ হলো রাষ্ট্রীয় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শক্তির এমন একটি সঠিক সাম্যাবস্থা, যা কোন একটি রাষ্ট্র যেন অধিক শক্তিশালী হয়ে অপরের উপর তার ইচ্ছাকে জোর করে চাপিয়ে দিতে না পারে সেজন্য বাধা দেবে’। 

আন্তর্জাতিক সম্পর্কে যখন শক্তিসাম্য প্রয়োগ করা হয়, তখন আন্তঃরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক ধারণাটি দ্বারা আমরা বুঝি স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে এমন এক ব্যবস্থা যেখানে কোন একক শক্তি অথবা শক্তির সমবায়কে এমন ক্ষমতাসম্পন্ন হতে দেয়া যায় না যাতে সে অন্যদের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। 

আন্তঃরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ককে চারটি ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা যায়- 
১. মোটামুটিভাবে শক্তির সমবণ্টন
২. শক্তির যে কোন ধরনের বণ্টন
৩. কোন বিশেষ অবস্থা অর্জনের জন্য গৃহীত নীতি
৪. কোন বাস্তব অবস্থা

আন্তঃরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্কের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যসমূহ 

অধ্যাপক Martin Wright বলেন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে শক্তিসাম্যের ধারণাটি ৯টি অর্থে ব্যবহার করা হয়। এগুলো হলো:
১. শক্তির সমবণ্টন নীতি রক্ষার জন্য বিশেষ নীতি গ্রহণ।
২. শক্তির বর্তমান বণ্টন ব্যবস্থার সুবিধা।
৩. ক্ষমতার সমবণ্টনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক রাজনীতির অন্তনির্হিত প্রবণতা।
৪. সমভাবে শক্তি বণ্টনের একটি পদ্ধতি।
৫. শক্তি সমভাবে বণ্টিত হওয়া উচিত এ নীতি।
৬. শক্তির বিদ্যমান বণ্টন ব্যবস্থা।
৭. দুর্বল রাষ্ট্রের স্বার্থ উপেক্ষা করে বৃহৎ রাষ্ট্রের সমভাবে প্রভুত্ব প্রসারের চেষ্টা।
৮. শক্তির অসম বণ্টন প্রতিরোধের জন্য প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের অতিরিক্ত শক্তির দাবি নীতি।

আন্তঃরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য 

আগ্রাসী মনোভাব অর্জন : আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার সকল শক্তিসমূহকে আগ্রাসী মনোভাব পরিত্যাগ করে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। 

জোট গঠন : আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো জোট গঠন ও প্রতিদ্বন্দ্বি জোট গঠন। 

ভারসাম্য অবস্থার টিকিয়ে রাখা : আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্কের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ভারসাম্য অবস্থা কোন রাষ্ট্র বা একাধিক রাষ্ট্র বড় কোন ইস্যু ছাড়া আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে পারে না। 

নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা : নিরাপত্তা সুরক্ষিত করার প্রবণতা শক্তি সাম্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আগ্রাসন বা অস্থিতিশীল অবস্থার উদ্রেক হলে নিরাপত্তা সুরক্ষার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

আন্তঃরাষ্ট্রসমূহের মধ্যে শক্তিসাম্য বজায় রাখার কৌশলসমূহ 

শক্তিসাম্যের ধারণা অনুযায়ী কোন রাষ্ট্রের ক্ষমতা যদি হঠাৎ এমনভাবে বেড়ে যায় যে, সে অপর রাষ্ট্রসমূহের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হয়ে দেখা দেয়, তবে সাম্যাবস্থা বজায় রাখার জন্য তাদের দরকার নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করা অথবা ঐ রাষ্ট্রটির ক্ষমতা হ্রাস করার চেষ্টা চালানো। এটাই শক্তিসাম্য বজায় রাখার উপযোগী বিভিন্ন কৌশলের জন্ম দেয়। 

গবেষকগণ এ পর্যন্ত প্রধানত : ছয়টি পদ্ধটি পদ্ধতি উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছেন। এগুলো হচ্ছে-
১. মৈত্রীজোট
২. অস্ত্রীকরণ ও নিরস্ত্রীকরণ
৩. ক্ষতিপূরণ
৪. সংঘর্ষ নিবারক রাষ্ট্র
৫. হস্তক্ষেপ
৬. বিভক্তিকরণ ও শাসন

আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্কের গুরুত্ব 

স্নায়ুদ্ধোত্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব ব্যবস্থায় একমেরুকেন্দ্রিকতা সৃষ্টি করেছে, যেটা বিশ্বশান্তির অন্তরায়। গোটা বিশ্বকে তারা তাদের ক্রীড়ানকে পরিণত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে বিশ্ব নেতৃত্বে সে একক ক্ষমতাধর দেশ। 

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু কিছু রাষ্ট্র মিলে অর্থনৈতিক জোট, সামরিক জোট গড়ে উঠছে, যারা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানো একদম সহ্য করে না। উদাহরণ স্বরূপ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় অর্থনৈতিক জোট হিসেবে অনেক বেশি শক্তিশালী। শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকে নয় সামরিক দিক থেকে ও অনেক বেশি শক্তিশালী। ইউরোপের কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। 

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য স্থায়ী রাষ্ট্রসমূহ বেশ শক্তিশালী, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মাঝে মধ্যে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়। 

সমষ্টিগত নিরাপত্তা (Collective Security) 

সমষ্টিগত নিরাপত্তা হলো প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নিয়মের বিরুদ্ধে কোন আক্রমণ হলে তাকে নিবারণ অথবা প্রতিহত করতে একত্রে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপায় অবলম্বন করা। 

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যদি কোন রাষ্ট্র অথবা রাষ্ট্রজোট অন্য রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রসমূহের উপর আক্রমণ চালায় তবে আক্রান্ত রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য অবশিষ্ট রাষ্ট্রসমূহ কর্তৃক আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে যে পদ্ধতির মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয় তাই সমষ্টিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। 

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা রক্ষায় সমষ্টিগত নিরাপত্তার ভূমিকা 

সমষ্টিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সফলভাবে কার্যকর হওয়ার জন্য এ ব্যবস্থার মাধ্যমে শান্তিরক্ষাকারী রাষ্ট্রগুলোর সম্মিলিত শক্তি, শান্তি বিঘ্নকারী রাষ্ট্রগুলোর সম্মিলিত শক্তি অপেক্ষা বেশি থাকতে হবে। সেই সাথে যখনই কোথাও কোন রাষ্ট্র আগ্রাসনে লিপ্ত হবে, তখন তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থার মাধ্যমে উপযুক্ত কর্মপন্থা নেয়ার জন্য শান্তিকামী রাষ্ট্রগুলোর অবশ্যই তৈরি ও ইচ্ছুক থাকতে হবে। আর এই রাষ্ট্রগুলোর সমষ্টিগত নিরাপত্তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা সম্ভব। 

আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় হুমকিসমূহ :
১. পারমানবিক শক্তি
২. রাসায়নিক অস্ত্র
৩. প্রতাগত অস্ত্র প্রতিযোগিতা
৪. জলবায়ু পরিবর্তন
৫. রোগ
৬. ক্ষমতার অসমতা
৭. রাষ্ট্রসমূহের অর্থনৈতিক দুর্বলতা

আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় পদক্ষেপসমূহ 

১. আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় আঞ্চলিক পদ্ধতির ব্যবহার
২. উপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদ দূর করা
৩. পারমাণবিক যুদ্ধ এড়ানোর জন্য সহযোগিতা বাড়ানো ও পদক্ষেপ নেয়া
৪. অস্ত্র সীমিতকরণও নিরস্ত্রীকরণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া
৫. নিরস্ত্রীকরণের চুক্তিসমূহ বাস্তবায়ন করা
৬. রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো
৭. জাতিসংঘকে শক্তিশালী করা
৮. অস্ত্রীকরণ ও নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের ভূমিকা জোরদার করা
৯. শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধের নিষ্পত্তিতে জাতিসংঘের ভূমিকা বাড়ানো
১০. শান্তিরক্ষায় সক্ষমতা বাড়ানো
১১. আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানো।
১২. শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহাবস্থান।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post